ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
অপারেশন নাট ক্র্যাক: আখাউড়া দখলের যুদ্ধ
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ফ্যাসিবাদ’ ও ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েমের অভিযোগ: ফার্স্টপোস্টে ছাত্রলীগের সভাপতির নিবন্ধ
‘স্বাধীনতা বিরোধী’ ও চীনপন্থীদের কবজায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্যানেল, বিতাড়িত সব ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী
জরিপে ধস: অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে ‘চরম অসন্তুষ্ট’ ৯২ শতাংশ মানুষ, তলানিতে জনপ্রিয়তা
রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যা : নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর দেশে এখন কিসের রাজত্ব চলছে?
ঝিনাইদহ শত্রুমুক্ত: পশ্চিমাঞ্চলীয় রণাঙ্গনে যৌথবাহিনীর জয়যাত্রা অব্যাহত
চরম প্রতিকূলতাতেও অটুট জনসমর্থন: আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন চায় না দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ
‘দেশের প্রশংসনীয় অগ্রগতি রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের ফল’: মাহফুজ আনাম
টানা ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন হয়েছে, তা রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার যোগ্য ও অবিচল নেতৃত্বের ফল বলে মন্তব্য করেছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহফুজ আনাম। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মাত্র মাস দেড়েক আগে, ২৯শে জুন প্রকাশিত এক উপসম্পাদকীয়তে তিনি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার শাসনামল নিয়ে এই মূল্যায়ন করেছিলেন।
সম্প্রতি ডেইলি স্টারের সেই উপসম্পাদকীয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। ‘ফ্রম পিপল টু অ্যা বাবল’ (জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বুদবুদে বসবাস) শিরোনামে লেখা ওই কলামে মাহফুজ আনাম উল্লেখ করেন, ক্যাপাসিটি চার্জের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হলেও বিদ্যুৎ উৎপাদন ও অবকাঠামো নির্মাণে শেখ হাসিনার অর্জন অসামান্য
এবং প্রশংসার দাবিদার। মাহফুজ আনাম তার লেখায় উল্লেখ করেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের রাজনৈতিক দলগুলোর তুলনায় আওয়ামী লীগের রেকর্ড ঈর্ষণীয়। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালির সব গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিল এই দল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যারা ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, তারা বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রমুগ্ধকর ভাষণ এবং পাকিস্তানের শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে তার রুখে দাঁড়ানোর সাহস দেখে বিস্মিত হয়েছি। তিনি তার অতুলনীয় কারিশমায় বাঙালিদের একাত্ম করেছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ ছিল আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিক ও আইনি বৈধতার এক বিশাল ভিত্তি, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতার ঘোষণা ও সশস্ত্র সংগ্রামের
পথ প্রশস্ত করে। মুজিবনগর সরকার এবং যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ভূমিকাও অনবদ্য ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগ বড় ধরনের অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। মাহফুজ আনাম লেখেন, ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে ফিরে শেখ হাসিনা দলের হাল ধরেন এবং গত ৪৩ (বর্তমানে ৪৪) বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি কেবল দলটিকে পুনর্গঠিতই করেননি, দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে দলকে ক্ষমতায়ও ফিরিয়ে এনেছিলেন। প্রশংসার পাশাপাশি ওই একই কলামে মাহফুজ আনাম আওয়ামী লীগের তৎকালীন অবস্থার তীব্র সমালোচনাও করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবে যাত্রা শুরু করা দলটি ধীরে ধীরে একক কণ্ঠের দলে পরিণত হয়েছে।’ তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, দলটি
যত ক্ষমতায় থেকেছে, এর কার্যক্রম ততই কেন্দ্রীভূত হয়েছে এবং নেতৃত্ব কাঠামোর প্রতিটি স্তরে কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। দলের নেতাকর্মীদের জবাবদিহিতার অভাব এবং দলের প্রতি দায়িত্বহীনতার বিষয়টিও তিনি তার লেখায় তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, মাহফুজ আনামের এই লেখাটি প্রকাশের মাত্র দেড় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মূল্যায়নের ধরন অনেকটাই পাল্টে যায়।
এবং প্রশংসার দাবিদার। মাহফুজ আনাম তার লেখায় উল্লেখ করেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের রাজনৈতিক দলগুলোর তুলনায় আওয়ামী লীগের রেকর্ড ঈর্ষণীয়। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালির সব গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিল এই দল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যারা ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, তারা বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রমুগ্ধকর ভাষণ এবং পাকিস্তানের শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে তার রুখে দাঁড়ানোর সাহস দেখে বিস্মিত হয়েছি। তিনি তার অতুলনীয় কারিশমায় বাঙালিদের একাত্ম করেছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ ছিল আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিক ও আইনি বৈধতার এক বিশাল ভিত্তি, যা পরবর্তীতে স্বাধীনতার ঘোষণা ও সশস্ত্র সংগ্রামের
পথ প্রশস্ত করে। মুজিবনগর সরকার এবং যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ভূমিকাও অনবদ্য ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগ বড় ধরনের অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। মাহফুজ আনাম লেখেন, ১৯৮১ সালে নির্বাসন থেকে ফিরে শেখ হাসিনা দলের হাল ধরেন এবং গত ৪৩ (বর্তমানে ৪৪) বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি কেবল দলটিকে পুনর্গঠিতই করেননি, দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে দলকে ক্ষমতায়ও ফিরিয়ে এনেছিলেন। প্রশংসার পাশাপাশি ওই একই কলামে মাহফুজ আনাম আওয়ামী লীগের তৎকালীন অবস্থার তীব্র সমালোচনাও করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবে যাত্রা শুরু করা দলটি ধীরে ধীরে একক কণ্ঠের দলে পরিণত হয়েছে।’ তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, দলটি
যত ক্ষমতায় থেকেছে, এর কার্যক্রম ততই কেন্দ্রীভূত হয়েছে এবং নেতৃত্ব কাঠামোর প্রতিটি স্তরে কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। দলের নেতাকর্মীদের জবাবদিহিতার অভাব এবং দলের প্রতি দায়িত্বহীনতার বিষয়টিও তিনি তার লেখায় তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, মাহফুজ আনামের এই লেখাটি প্রকাশের মাত্র দেড় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মূল্যায়নের ধরন অনেকটাই পাল্টে যায়।



