ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মাদক ও নারী সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে এনসিপি নেতা মোতালেব গুলিবিদ্ধ
মাথাব্যথা সারাতে মাথা কাটার পরামর্শ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের
রাজাকারের উত্তরাধিকারীরা পায় উন্নত চিকিৎসা, মুক্তিযোদ্ধারা মারা যায় বিনা চিকিৎসায়
হিন্দুদের জ্যান্ত পোড়ানোর পরিকল্পনা, জামায়াত-শিবিরের আগুনে তটস্থ বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পষ্ট বার্তা
সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন কংগ্রেস
প্রশাসনের সর্বত্র আদর্শের ছায়া,একদলীয় দখলের অভিযোগ দলীয় পরিচয় থাকলে আইন দরকার হয় না কাজ হয়ে যায়
দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামার আহ্বান শেখ হাসিনার
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় নেতা-কর্মীদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী দল নয়। যারা এই দলকে নিষিদ্ধ করার কথা বলছেন, তাদের উদ্দেশে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে টিকে থাকা এই দলকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়।
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, "আজ দেশের মানুষ সবচেয়ে কষ্টে আছে। আমি প্রায় পাঁচ কোটি মানুষকে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উন্নীত করেছিলাম, কিন্তু আজ আবার ছয় কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র্যের নিচে নেমে গেছে।" ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লক্ষ্য করে তিনি
মন্তব্য করেন, "দারিদ্র্য না থাকলে তো ইউনুসের সুদের ব্যবসাও চলবে না—এটাই বাস্তবতা।" দলের বর্তমান নাজুক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি জানান, সাবেক এমপি গোলাপসহ তৃণমূলের অসংখ্য নেতাকর্মী বর্তমানে কারাগারে বন্দি। ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা সত্ত্বেও প্রায় ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে বন্দি করে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও দাবি করেন, কারাগারে বন্দিদের ঠিকমতো খাবার, সুপেয় পানি এবং অসুস্থদের চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। শেখ হাসিনা বলেন, আজ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার অপরাধে শিশুদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, যারা এসব করছে, তাদের প্রত্যেকের ছবি ও প্রমাণ সংগ্রহ করে রাখতে হবে—কারণ একদিন এসবের বিচার হবে। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী
প্রস্তুতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ শতাংশ ভোটারকেই বাদ দেওয়া হয়েছে, সেখানে কিসের নির্বাচন? কার ভোটে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়—এই প্রশ্নের উত্তর তাদের দিতে হবে।" তিনি মনে করিয়ে দেন যে, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১৩ বার নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৯ বার সরকার গঠন করেছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিজের শাসনামলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছিল এবং দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "আজ আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। প্রশ্ন করি—কোথায় আমি গণহত্যা করেছি? ৭.৬২ বুলেট কোথা থেকে এলো? কে অস্ত্র সরবরাহ করলো?" শেখ হাসিনা
অভিযোগ করেন যে, বর্তমানে বিচার বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়—সব জায়গায় দখলদারি চলছে। বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হলেও আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পড়াশোনার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের সার্টিফিকেট বাতিল করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। বক্তব্যের শেষে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, "আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু তারা ভুলে যাচ্ছে—আওয়ামী লীগ জনগণের দল।" তিনি সবাইকে যার যা সামর্থ্য আছে তা নিয়ে মাঠে নেমে স্বাধীনতার চেতনা ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করেন, "দারিদ্র্য না থাকলে তো ইউনুসের সুদের ব্যবসাও চলবে না—এটাই বাস্তবতা।" দলের বর্তমান নাজুক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি জানান, সাবেক এমপি গোলাপসহ তৃণমূলের অসংখ্য নেতাকর্মী বর্তমানে কারাগারে বন্দি। ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা সত্ত্বেও প্রায় ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে বন্দি করে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও দাবি করেন, কারাগারে বন্দিদের ঠিকমতো খাবার, সুপেয় পানি এবং অসুস্থদের চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। শেখ হাসিনা বলেন, আজ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার অপরাধে শিশুদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, যারা এসব করছে, তাদের প্রত্যেকের ছবি ও প্রমাণ সংগ্রহ করে রাখতে হবে—কারণ একদিন এসবের বিচার হবে। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী
প্রস্তুতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ শতাংশ ভোটারকেই বাদ দেওয়া হয়েছে, সেখানে কিসের নির্বাচন? কার ভোটে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়—এই প্রশ্নের উত্তর তাদের দিতে হবে।" তিনি মনে করিয়ে দেন যে, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১৩ বার নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৯ বার সরকার গঠন করেছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিজের শাসনামলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছিল এবং দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "আজ আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। প্রশ্ন করি—কোথায় আমি গণহত্যা করেছি? ৭.৬২ বুলেট কোথা থেকে এলো? কে অস্ত্র সরবরাহ করলো?" শেখ হাসিনা
অভিযোগ করেন যে, বর্তমানে বিচার বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়—সব জায়গায় দখলদারি চলছে। বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলা হলেও আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পড়াশোনার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের সার্টিফিকেট বাতিল করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। বক্তব্যের শেষে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, "আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু তারা ভুলে যাচ্ছে—আওয়ামী লীগ জনগণের দল।" তিনি সবাইকে যার যা সামর্থ্য আছে তা নিয়ে মাঠে নেমে স্বাধীনতার চেতনা ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।



