ত্রিশ লক্ষ শহীদের পবিত্র রক্ত বিধৌত বাংলার সবুজ জমিন ফুঁড়ে উদিত হওয়া স্বাধীনতার রক্তলাল সূর্য খচিত আমাদের জাতিয় পতাকা। – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ১০:০৫ অপরাহ্ণ

ত্রিশ লক্ষ শহীদের পবিত্র রক্ত বিধৌত বাংলার সবুজ জমিন ফুঁড়ে উদিত হওয়া স্বাধীনতার রক্তলাল সূর্য খচিত আমাদের জাতিয় পতাকা।

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১০:০৫ 12 ভিউ
শৈশবে স্কুলের প্রাত্যহিক সমাবেশে জাতিয় পতাকা উত্তোলন, জাতিয় পতাকার প্রতি সালাম প্রদর্শন এবং সমবেত কন্ঠে জাতিয় সংগীত পরিবেশনের সময় নিজের ভিতর এক রকম শিহরণ কাজ করতো ; যখন প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকে এসে জাতিয় পতাকা এবং জাতিয় সঙ্গীতের মান এবং ভাব একটু একটু করে বুঝতে শিখছি তখন প্রাত্যহিক সমাবেশে নিজের অনুভবে কিছুটা পরিবর্তন টের পেলাম ! কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো- কী আঁচল বিছায়েছ বটের মুলে, নদীর কুলে কুলে । মা, তোর মুখের বানী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায় হায়রে- এই পঙতি গাওয়ার সময় আমার ভিতর শিহরণের পাশাপাশি ভাবাবেগ তৈরী হতো ; চোখের সমানে ভেসে উঠতো মাতৃভূমির রূপ-সুধার

কল্পিত দৃশ্যপটের। অতঃপর --- মা তোর বদনখানি মলিন হলে, আমি নয়ন ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি । সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি ।। এই পঙতি গাইতে গিয়ে প্রতিটা দিন আমি অনুভব করতাম শরীরের পশম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে , চোয়াল শক্ত হয়ে আসছে । আজকের এই পরিণত বয়সে এসে জাতিয় দিবস কিংবা কোন অনুষ্ঠানে জাতিয় সংগীত যখন শুনি তখন অবচেতন মনে ঠোঁট মেলাই এবং শৈশব-কৈশোরের ঠিক একই অনুভব টের পাই; তবে এর সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে চোখ ভিজে আসা , কখনো আবার দু'এক ফোটা জল চোখের কোন বেয়ে গড়িয়ে পড়া !! আমি জানি না এই অনুভবের নাম কি ! আবেগ , ভালোবাসা নাকি অপার্থিব প্রেম ??? বাঙালী জাতি

সত্তার ইতিহাস অন্তত দশ হাজার বছরের পুরোনো । এই আবহান বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ভাষার উপর ভীনদেশী প্রভাব চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ কিংবা প্রতিরোধের হাজার বছরের লালিত্য আরাধনার নামই স্বাধীনতা ।। হালের "বাংলাদেশ পন্হি" ; শব্দযুগল বেশ চমকপ্রদ ! অথচ এটি স্বাধীনতাকামী বাঙ্গালীর মনস্তত্ত্ব নয় ।। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি নিজেদের মতবাদকে এদেশে জিইয়ে রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নিজেদের আড়ালে রেখে "বাংলাদেশ পন্হি" শব্দযুগল তাদের আকর্ষণীয় মুখোশ/লেবাস মাত্র । সুকৌশলে এই বয়াণ সমাজে ডুকিয়ে দিতে পারলেই তাদের পুরোণো মনোবাসনা পূর্ণ হয়; বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি আঘাতপ্রাপ্ত হয় ! হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাসে ভূরাজনীতির কবলে পড়ে ব্রিটিশ বেনিয়াদের হাতে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার

সীমানা রেখার বয়স একশ বছরও পূর্ণ হয়নি ! অথচ বাংলাদেশ পন্হা'র নামে পশ্চিম বাংলার সাহিত্য, সংস্কৃতিকে ভারতীয় আগ্রাসন বলে বিভাজন কিংবা সমাজকে দ্বিধান্বীত বিভ্রান্ত করবার প্রচেষ্টা চলমান । মুখোশধারী এই উম্মাদেরা জানেই না যে সীমানা রেখা ; সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভাষা এবং মর্যাদার ক্ষেত্রে কোন বিভাজন টানতে পারে না। চট্টগ্রামের সাথে যেমন পঞ্চগড়ের কোন সাংস্কৃতিক বিরোধ নেই; ঠিক তেমন। ব্যাপারটা খুউব অদ্ভুত ঠেকছে তাইতো! খেয়াল করে দেখুনতো ; বাংলাদেশ পন্হিদের নিশানা গুলো কি কি??? তাদের সর্বপ্রথম নিশানাই হলো জাতিয় সংগীত অতঃপর বাঙালীর নিজস্ব সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং লোকশিল্প ধ্বংস করা। সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে ; যে বা যারা চক্ষু লজ্জা এবং বর্তমান সামাজিক বাস্তবতায় সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের

বিরোধিতা এবং পাকিস্তানের পক্ষ নিতে পারেনা তারাই বাংলাদেশ পন্হা'র নামে ভারতকে গালি দিয়ে নিজেদের অন্তর জ্বালা মেটায়। মিলিয়ে দেখুনতো ; মিলে কিনা দেখেন ! আমদের সন্তানরা না বুঝেই তাদের এই বিষাক্ত আফিম চেখে দেখতে গিয়ে মোহগ্রস্ত হয়ে পড়ছে; হয়েছে বিপদগামী । অভিভাবকদের প্রতি করজোড় অনুরোধ থাকবে, সন্তানের মানসিক স্বাস্হ্যের যত্ন নিন এবং বন্ধু হিসেবে তার পাশে দাঁড়ান । আত্মবিনাশী পথ থেকে ফিরিয়ে এনে তার নিকট আপনি নিজেই হোন সত্যের দিশারী ।। আমার দৃঢ় বিশ্বাস , জাতিয় পতাকা এবং জাতিয় সংগীত শুনলে আমার মতোন আপনাদের অনুভবেও একই রকম অনুরণন সৃষ্টি হয়। আমি এটাও বিশ্বাস করি যে , জাতিয় পতাকার দিকে তাকিয়ে এবং জাতিয় সংগীত শুনে যাদের

অনুভবে শিহরণ জাগে না ; মনের দিক থেকে তারা না বাঙালী , না বাংলাদেশী । তারা সুযোগ সন্ধানী , সুবিদাবাদি কিংবা পরাজিত শক্তির উত্তরসূরী । দেশ-মাটি-মানুষের প্রতি তাদের কোন মমত্ব নেই, নেই কোন প্রেম ।। আবহমান বাংলার সংস্কৃতি, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, জাতিয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীতকে স্বাধীন বাংলার জনগণ যতদিন একান্তই নিজের না ভেবে আওয়ামীলীগের সম্পদ বা অর্জন মনে করে আওয়ামীলীগ বিরোধিতার নামে বাংলাদেশ পন্হা'র বয়াণ হাজির করে দেশ, জাতি এবং রাষ্ট্রের মৌল ভিত্তির বিরোধিতা করবেন ততোদিন জাতিগত ঐক্যতো দুরে থাক; বরং পুনঃ পুনঃ ধ্বংসোৎব অতঃপর ক্রমাগত অধঃপতন থেকে এ জাতির মানবিক মুক্তি মিলবে না ।। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ'র ভাষায় বলতে

হয়... জাতির রক্ত ফের আনাবিল মমতা আসুক জাতির রক্তে ফের সুকঠোর সততা আসুক আসুক জাতির প্রানে সমতার সঠিক বাসনা ।।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বিজয় দিবসের দিন জামায়াত আমিরের অভিনব প্রতারণা পাহাড়ে শিবিরের গোপন প্রশিক্ষণ নির্বাচন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাকায় ইন্ডিয়া ভিসা সেন্টার সাময়িক বন্ধ নিয়োগ থেকে টেন্ডার: দুদকের অভিযানের পরও বহাল সিন্ডিকেট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পরিচালক ডা. আবু হানিফ–নেটওয়ার্কের অদম্য দাপট ক্ষমতার পালাবদলের পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ইতিহাস হত্যা, অঘোষিত বাতিল বিজয় দিবস কূটনৈতিক টানাপোড়েনের ইঙ্গিত: নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তলব। ত্রিশ লক্ষ শহীদের পবিত্র রক্ত বিধৌত বাংলার সবুজ জমিন ফুঁড়ে উদিত হওয়া স্বাধীনতার রক্তলাল সূর্য খচিত আমাদের জাতিয় পতাকা। সদ্য অব্যাহতি পাওয়া উপদেষ্টা আসিফ ভুঁইয়ার নিয়োগ বাণিজ্য গাজীপুরে সিইও নিয়োগে ৬৫ কোটি টাকার ডিল! ‘চর দখল–চাঁদাবাজি’: হান্নান মাসউদের তিন সমর্থক রক্তাক্ত রাজাকার পাঠ্যমঞ্চ নাটকে বাধা জামায়াত নেতার উদারতা: নববি চরিত্রের সার্বজনীন বার্তা রুপার দাম রেকর্ড ছুঁয়েছে, প্রযুক্তি ও বিনিয়োগে বাড়ছে চাহিদা মোদি সরকার প্রকল্প থেকে বাদ দিলেন ‘মহাত্মা গান্ধী’র নাম সাইকেলে চড়ে ১৮ হাজার কিমি পথ পাড়ি হংকংয়ের গণমাধ্যমকর্মীকে মুক্তি দিতে ট্রাম্পের অনুরোধ, যুক্তরাজ্যের নিন্দা বিজয় দিবসে রাহুলের পোস্টেও নেই বাংলাদেশের নাম জরুরি অবতরণের সময় বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৭ তাসকিনকে নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি কেউ, ডাক পায়নি বাকিরা নিলাম শেষে কেমন হলো মোস্তাফিজদের দল হোয়াটসঅ্যাপ থেকে টাকা আয়ের উপায়