ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ট্রাম্পের নির্দেশ: নাইজেরিয়ায় ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামরিক প্রস্তুতির আহ্বান
সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড়, এক সপ্তাহেই ২১ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার
ভারতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১৫
মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপমূলক নীতি থেকে সরছে যুক্তরাষ্ট্র: তুলসি গ্যাবার্ড; ট্রাম্পের ফোকাস অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
আল-ফাশির দখলে নিয়ে যুদ্ধাপরাধ করছে আরএসএফ : জাতিসংঘ
নেপালে এভারেস্টের পাদদেশে আটকা শতাধিক পর্যটক
পাকিস্তান কি গোপনে ভয়ংকর কোনো অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে?
তুলসি গ্যাবার্ডের ঘোষনা ‘ওয়াশিংটনের পুরানো রেজিম চেঞ্জের যুগ শেষ’
ওয়াশিংটন/ঢাকা, ২ নভেম্বর ২০২৫: মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক (DNI) তুলসি গ্যাবার্ডের সাম্প্রতিক বক্তব্য বিশ্বব্যাপী তুলকালাম তুলেছে। দুবাইয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, “ওয়াশিংটনের পুরোনো রেজিম চেঞ্জ ও আমাদের পছন্দমতো শাসনব্যবস্থা বা জাতি সৃষ্টির যুগ শেষ।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটি স্টাডিজ (IISS)-এর বার্ষিক নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলন ‘মানামা ডায়ালগ’-এর উদ্বোধনী সভায় গ্যাবার্ড বলেন “ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ, অসংখ্য মানুষের মৃত্যু—বিনিময়ে বন্ধুর চেয়ে শত্রুর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আইএসআইএস-এর মতো ইসলামী সন্ত্রাসবাদের উত্থান, এবং অনেক ক্ষেত্রে আরও বেশি অনিরাপদ পরিস্থিতি সৃষ্টি—সেই বিদেশনীতির যুগ শেষ।”
এই ঘোষণা ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির প্রতিফলন, যা পূর্বের মানবাধিকার-কেন্দ্রিক হস্তক্ষেপকে ছুঁড়ে ফেলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার দিকে ঝুঁকছে।
কিন্তু এই বক্তব্যের আলোকে বাংলাদেশের ২০২৪-এর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ‘রেজিম চেঞ্জ’ অভিযোগগুলো আবার উঠে এসেছে, যেখানে মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’-এর ফান্ডিংয়ের অভিযোগ ট্রাম্পের নিজস্ব বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে। গ্যাবার্ড জোর দিয়ে বলেছেন, পূর্বের ‘ওয়ান-সাইজ-ফিটস-অল’ কৌশল—যেমন শাসন উৎখাত, অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া গণতন্ত্র এবং অজানা সংঘাতে হস্তক্ষেপ—শুধুমাত্র শত্রু বাড়িয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্পের অধীনে এখন ফোকাস অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং স্থিতিশীলতায়, যেমন অ্যাব্রাহাম অ্যাকর্ডসের মতো চুক্তিগুলোর মাধ্যমে। এটি গাজার ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি এবং ইরানের পারমাণবিক হুমকির প্রেক্ষাপটে আরও তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের “কালার রেভ্যুলুশন” বা রেজিম চেঞ্জ কিন্তু এই ‘যুগের অবসান’-এর ঘোষণা বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক, কারণ ২০২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে ‘ডিপ স্টেট’-প্রায়োজিত রেজিম চেঞ্জ বলে
অভিহিত। এই অভ্যুত্থানে ৬০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়, এবং শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ক্লাসিক ‘কালার রেভল্যুশন’—ইরান (১৯৫৩), ইউক্রেন (২০১৪) মতো, যেটা বাংলাদেশে ঘটেছে। এই অভিযোগের সাথে যুক্ত হয়েছে ট্রাম্পের নিজস্ব বক্তব্য। ট্রাম্পের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (DOGE) USAID-এর ২৯ মিলিয়ন ডলারের ‘পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ ফান্ডিং বাতিল করেছিলেন, যা বাংলাদেশে ‘রাজনৈতিক পরিবর্তন’-সম্পর্কিত বলে অভিযোগ ছিল। এলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন DOGE-এর এই পদক্ষেপকে ‘ডিপ স্টেট বাজ’-সমূহের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের যুদ্ধ বলা হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ফান্ডিংয়ের অভিযোগগুলো গভীর। মে ২০২৪-এ মার্কিন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড লু ঢাকায় সফর করেন, এবং মাত্র এক মাস পর জুলাইয়ে অভ্যুত্থান শুরু হয়। অভিযোগ, USAID
এবং জর্জ সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন BRAC-এর মতো এনজিওগুলোর মাধ্যমে ছাত্র গ্রুপগুলোকে ফান্ড করেছে, যাতে BNP এবং জামায়াত-ই-ইসলামীর মতো বিরোধীদের ব্যবাহার করে “কোটা আন্দোলন” এর মতো নিরীহ ইস্যুকে সরকার পতনের আন্দোলনে রুপ দেয়া যায়। শেখ হাসিনা ২০২৩-এর নির্বাচনের আগে ওয়াশিংটনকে ‘রেজিম চেঞ্জ’-এর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন, এবং রাশিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিসেম্বর ২০২৩-এ সতর্ক করে যে, নির্বাচন যদি বাইডেনের পক্ষে না যায়, তাহলে ‘আরব স্প্রিং’-এর মতো অপারেশন বাংলাদেশে হবে। এই অভ্যুত্থানের পর ইউনুসের সাথে অ্যালেক্স সোরোসের বৈঠক এবং USAID-এর ফান্ডিং বন্ধ করার ঘটনা ট্রাম্পের বক্তব্যকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছিল। গ্যাবার্ডের বক্তব্য বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য একটি স্বস্তির খবর, কারণ এটি ভবিষ্যতে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা
কমায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যদি ‘ডিপ স্টেট’-এর যুগ শেষ হয়, তাহলে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানের দায় কার? তবে এটা পরিষ্কার যে, ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপে যেই যেই দেশে রেজিম চেঞ্জ হয়েছে, সেই সকল দেশে ওয়াশিংটন বানিজ্যিক উদ্দেশ্য ছাড়া উক্ত দেশে “পাপেট সরকার” কে আর সহযোগীতা করবে না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সম্ভবত বিভিন্ন বিষয়ে দেশের সরকার পরিচালনায় মার্কিন এম্বেসির প্রভাব বা নাক গোলানো বন্ধ হতে যাচ্ছে। এবং এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে ড ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার, যাদের ওয়াশিংটন ক্ষমতায় বসিয়েছে, হয়তো অভিভাবকহীন হয়ে পড়তে যাচ্ছেন!
কিন্তু এই বক্তব্যের আলোকে বাংলাদেশের ২০২৪-এর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ‘রেজিম চেঞ্জ’ অভিযোগগুলো আবার উঠে এসেছে, যেখানে মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’-এর ফান্ডিংয়ের অভিযোগ ট্রাম্পের নিজস্ব বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে। গ্যাবার্ড জোর দিয়ে বলেছেন, পূর্বের ‘ওয়ান-সাইজ-ফিটস-অল’ কৌশল—যেমন শাসন উৎখাত, অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া গণতন্ত্র এবং অজানা সংঘাতে হস্তক্ষেপ—শুধুমাত্র শত্রু বাড়িয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্পের অধীনে এখন ফোকাস অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং স্থিতিশীলতায়, যেমন অ্যাব্রাহাম অ্যাকর্ডসের মতো চুক্তিগুলোর মাধ্যমে। এটি গাজার ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি এবং ইরানের পারমাণবিক হুমকির প্রেক্ষাপটে আরও তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের “কালার রেভ্যুলুশন” বা রেজিম চেঞ্জ কিন্তু এই ‘যুগের অবসান’-এর ঘোষণা বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক, কারণ ২০২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে ‘ডিপ স্টেট’-প্রায়োজিত রেজিম চেঞ্জ বলে
অভিহিত। এই অভ্যুত্থানে ৬০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়, এবং শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ক্লাসিক ‘কালার রেভল্যুশন’—ইরান (১৯৫৩), ইউক্রেন (২০১৪) মতো, যেটা বাংলাদেশে ঘটেছে। এই অভিযোগের সাথে যুক্ত হয়েছে ট্রাম্পের নিজস্ব বক্তব্য। ট্রাম্পের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (DOGE) USAID-এর ২৯ মিলিয়ন ডলারের ‘পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ’ ফান্ডিং বাতিল করেছিলেন, যা বাংলাদেশে ‘রাজনৈতিক পরিবর্তন’-সম্পর্কিত বলে অভিযোগ ছিল। এলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন DOGE-এর এই পদক্ষেপকে ‘ডিপ স্টেট বাজ’-সমূহের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের যুদ্ধ বলা হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ফান্ডিংয়ের অভিযোগগুলো গভীর। মে ২০২৪-এ মার্কিন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড লু ঢাকায় সফর করেন, এবং মাত্র এক মাস পর জুলাইয়ে অভ্যুত্থান শুরু হয়। অভিযোগ, USAID
এবং জর্জ সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন BRAC-এর মতো এনজিওগুলোর মাধ্যমে ছাত্র গ্রুপগুলোকে ফান্ড করেছে, যাতে BNP এবং জামায়াত-ই-ইসলামীর মতো বিরোধীদের ব্যবাহার করে “কোটা আন্দোলন” এর মতো নিরীহ ইস্যুকে সরকার পতনের আন্দোলনে রুপ দেয়া যায়। শেখ হাসিনা ২০২৩-এর নির্বাচনের আগে ওয়াশিংটনকে ‘রেজিম চেঞ্জ’-এর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিলেন, এবং রাশিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিসেম্বর ২০২৩-এ সতর্ক করে যে, নির্বাচন যদি বাইডেনের পক্ষে না যায়, তাহলে ‘আরব স্প্রিং’-এর মতো অপারেশন বাংলাদেশে হবে। এই অভ্যুত্থানের পর ইউনুসের সাথে অ্যালেক্স সোরোসের বৈঠক এবং USAID-এর ফান্ডিং বন্ধ করার ঘটনা ট্রাম্পের বক্তব্যকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছিল। গ্যাবার্ডের বক্তব্য বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য একটি স্বস্তির খবর, কারণ এটি ভবিষ্যতে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা
কমায়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যদি ‘ডিপ স্টেট’-এর যুগ শেষ হয়, তাহলে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানের দায় কার? তবে এটা পরিষ্কার যে, ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপে যেই যেই দেশে রেজিম চেঞ্জ হয়েছে, সেই সকল দেশে ওয়াশিংটন বানিজ্যিক উদ্দেশ্য ছাড়া উক্ত দেশে “পাপেট সরকার” কে আর সহযোগীতা করবে না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সম্ভবত বিভিন্ন বিষয়ে দেশের সরকার পরিচালনায় মার্কিন এম্বেসির প্রভাব বা নাক গোলানো বন্ধ হতে যাচ্ছে। এবং এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে ড ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার, যাদের ওয়াশিংটন ক্ষমতায় বসিয়েছে, হয়তো অভিভাবকহীন হয়ে পড়তে যাচ্ছেন!



