
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ

আ.লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন ড. ইউনূস

শহিদ বাবার পাশেই চির নিদ্রায় শায়িত হলেন লামিয়া, জানাজায় মানুষের ঢল

ইউআইইউ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

কুতুবদিয়ায় প্রাচীন ঐতিহ্যের হাতছানি

ডাস্টবিনে মিলল নবজাতকের লাশ

ধানমন্ডি থেকে সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেফতার
তদন্ত শেষে মিলবে নির্দোষীদের মুক্তি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হতাহতের ঘটনায় ঢালাওভাবে মামলা করা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন আইন বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকারকর্মীরা। এরপর এসব মামলায় প্রকৃত আসামির বাইরে নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি না করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্র্রণালয়সহ পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে একাধিক নির্দেশনা। তবে ৮ মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত হয়রানিমূলক কোনো মামলা নিষ্পত্তি হয়নি।
পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষ না হলেও বহু মামলার কার্যক্রম অনেকদূর এগিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়-এমন ব্যক্তিদের হয়রানি না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে উচ্চ আদালত এ নির্দেশনা স্থগিত করেন। ফলে আতঙ্কিত ভুক্তভোগীদের অনেকে উচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেওয়ার পরই নিরপরাধ ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হলে
তারা পুরোপুরিভাবে অভিযোগ থেকে পরিত্রাণ পাবেন। এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করে মামলার কার্যক্রম মনিটরিংয়ের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলাকারীদের যথাযথ শাস্তির আওতায় আনার কথা বলেছেন। সাবেক আইজিপি, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা এসব কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম ও অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা থেকে নাম বাদ দিতে টাকা চাওয়াসহ ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে মামলা দায়েরের বেশকিছু ঘটনা আমরা পেয়েছি। এছাড়া একটি বড় সংখ্যক মামলায় প্রকৃত ভুক্তভোগী ছাড়া বাদী নিজেদের মনের মাধুরী মিশিয়ে অভিযোগ লিখেছেন এবং ঢালাও আসামি করেছেন। আমরা কখনোই চাই না, অহেতুক কেউ হয়রানির শিকার হোক। এ নিয়ে ডিএমপির
পক্ষ থেকেও পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে সেটি আদালত স্থগিত করে দিয়েছেন। আমরা চাই তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয়টি উঠে আসুক। তদন্ত ও প্রতিবেদন দাখিলের আগে নিরপরাধ ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়ার কোনো বিধান নেই। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানা আদালতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ড ও আহত হওয়ার ঘটনায় অনেক মামলা হয়েছে। শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল-এসব মামলায় প্রকৃত ও সন্দেহজনক আসামির পাশাপাশি হয়রানিমূলকভাবে ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও সাধারণ ব্যক্তিকে আসামি কর হয়েছে। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো ও আর্থিক বাণিজ্যের জন্য এভাবে ঢালাও আসামি করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে এমন অসঙ্গতি ধরা পড়লে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ও পুলিশ প্রধানের পক্ষ থেকে যাচাই-বাছাই ছাড়া মামলার আসামিদের কাউকে গ্রেফতার না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সবশেষে গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকেও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এ নির্দেশনার পর সমালোচনা হলে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করলে ওই নির্দেশনা স্থগিত করেন আদালত। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সাধারণত ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। ডিএমপির নির্দেশনা স্থগিত করা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আপিল করা হয়নি। ফলে আতঙ্কিত ভুক্তভোগীদের অনেকে আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষায় তাকিয়ে আছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতসহ বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ১ হাজার ৪৯৯টি
মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলা ৫৯৯টি ও অন্যান্য ৯০০টি। এসব মামলায় ১০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাদী, আসামিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হয়রানিমূলক আসামি করার ক্ষেত্রে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী, অসাধু আইনজীবী, পুলিশ সদস্য ও দালাল চক্র জড়িত। কোথাও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে, কোথাও চাঁদাবাজির জন্য, কোথাও ব্যক্তিগত বা পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, কোনো মামলা দায়ের, তদন্ত, নিষ্পত্তি পর্যন্ত কারা তদারকি করবেন সবকিছু আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। বাদী যে কাউকে আসামি করতে পারেন। তবে কোনো ঘটনার বিবরণে সন্দেহ হলে
থানা পুলিশ আন-অফিশিয়ালি বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেলে মামলা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে দেশে সে রকম যাচাই-বাছাইয়ের পরিস্থিতি ও সুযোগ ছিল না। থানা কিংবা আদালতকে চাপে পড়ে বহু মামলা নিতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ঢালাও আসামি থেকে নিরপরাধ ব্যক্তিদের পরিত্রাণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের সমন্বয়ে একটি টিম করে মামলাগুলো মনিটরিং করা যেতে পারে। এই টিম যথাযথভাবে তদন্ত ও নিষ্পত্তির জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেবেন। মাসে একদিন বা দুদিন নিজেরা বসে কোনগুলো ভুয়া মামলা, কারা হয়রানিমূলক আসামি, সেগুলো চিহ্নিত করে নিষ্পত্তি করবেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক)
সাবেক নির্বাহী পরিচালক মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, জুলাই আন্দোলনের বহু মামলায় এমন ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে, যাদের অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। এক্ষেত্রে যারা এসব মামলা দায়ের করেছে, আসামিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং যারা এ ধরনের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তার মতে, নিরপরাধ ব্যক্তিদের পরিত্রাণের জন্য যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মামলাগুলোর কার্যক্রম শুরু করা উচিত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে মামলাগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য ৩ বা ৫ সদস্যের একটি টিম করে দেবেন। তারা প্রাথমিক তদন্ত করবে এবং সেটি জনগণকে জানাবেন। এর আগে যেন কাউকে অযথা হয়রানি না করা হয় এবং কাউকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজির সুযোগ না পায়, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। সাবেক আরেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, কোনো মামলা হলেই কাউকে গ্রেফতার করতে হবে আইনে এমনটি বলা নেই। এক্ষেত্রে তদন্তকারী ও তার ওপরের তত্ত্বাবধায়ককে দেখতে হবে, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়। মাঠপর্যায়ে যথাযথভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হলে নিরপরাধীরা মুক্তি পাবে আর প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে।
তারা পুরোপুরিভাবে অভিযোগ থেকে পরিত্রাণ পাবেন। এক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করে মামলার কার্যক্রম মনিটরিংয়ের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলাকারীদের যথাযথ শাস্তির আওতায় আনার কথা বলেছেন। সাবেক আইজিপি, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা এসব কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম ও অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা থেকে নাম বাদ দিতে টাকা চাওয়াসহ ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে মামলা দায়েরের বেশকিছু ঘটনা আমরা পেয়েছি। এছাড়া একটি বড় সংখ্যক মামলায় প্রকৃত ভুক্তভোগী ছাড়া বাদী নিজেদের মনের মাধুরী মিশিয়ে অভিযোগ লিখেছেন এবং ঢালাও আসামি করেছেন। আমরা কখনোই চাই না, অহেতুক কেউ হয়রানির শিকার হোক। এ নিয়ে ডিএমপির
পক্ষ থেকেও পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে সেটি আদালত স্থগিত করে দিয়েছেন। আমরা চাই তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয়টি উঠে আসুক। তদন্ত ও প্রতিবেদন দাখিলের আগে নিরপরাধ ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়ার কোনো বিধান নেই। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন থানা আদালতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ড ও আহত হওয়ার ঘটনায় অনেক মামলা হয়েছে। শুরু থেকেই অভিযোগ ছিল-এসব মামলায় প্রকৃত ও সন্দেহজনক আসামির পাশাপাশি হয়রানিমূলকভাবে ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও সাধারণ ব্যক্তিকে আসামি কর হয়েছে। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো ও আর্থিক বাণিজ্যের জন্য এভাবে ঢালাও আসামি করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে এমন অসঙ্গতি ধরা পড়লে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ও পুলিশ প্রধানের পক্ষ থেকে যাচাই-বাছাই ছাড়া মামলার আসামিদের কাউকে গ্রেফতার না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সবশেষে গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকেও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এ নির্দেশনার পর সমালোচনা হলে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করলে ওই নির্দেশনা স্থগিত করেন আদালত। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সাধারণত ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পেতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। ডিএমপির নির্দেশনা স্থগিত করা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আপিল করা হয়নি। ফলে আতঙ্কিত ভুক্তভোগীদের অনেকে আদালতের পরবর্তী পদক্ষেপের অপেক্ষায় তাকিয়ে আছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতসহ বিভিন্ন ঘটনায় অন্তত ১ হাজার ৪৯৯টি
মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলা ৫৯৯টি ও অন্যান্য ৯০০টি। এসব মামলায় ১০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাদী, আসামিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হয়রানিমূলক আসামি করার ক্ষেত্রে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী, অসাধু আইনজীবী, পুলিশ সদস্য ও দালাল চক্র জড়িত। কোথাও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে, কোথাও চাঁদাবাজির জন্য, কোথাও ব্যক্তিগত বা পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ বলেন, কোনো মামলা দায়ের, তদন্ত, নিষ্পত্তি পর্যন্ত কারা তদারকি করবেন সবকিছু আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। বাদী যে কাউকে আসামি করতে পারেন। তবে কোনো ঘটনার বিবরণে সন্দেহ হলে
থানা পুলিশ আন-অফিশিয়ালি বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেলে মামলা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে দেশে সে রকম যাচাই-বাছাইয়ের পরিস্থিতি ও সুযোগ ছিল না। থানা কিংবা আদালতকে চাপে পড়ে বহু মামলা নিতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ঢালাও আসামি থেকে নিরপরাধ ব্যক্তিদের পরিত্রাণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের সমন্বয়ে একটি টিম করে মামলাগুলো মনিটরিং করা যেতে পারে। এই টিম যথাযথভাবে তদন্ত ও নিষ্পত্তির জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেবেন। মাসে একদিন বা দুদিন নিজেরা বসে কোনগুলো ভুয়া মামলা, কারা হয়রানিমূলক আসামি, সেগুলো চিহ্নিত করে নিষ্পত্তি করবেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক)
সাবেক নির্বাহী পরিচালক মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, জুলাই আন্দোলনের বহু মামলায় এমন ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে, যাদের অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। এক্ষেত্রে যারা এসব মামলা দায়ের করেছে, আসামিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং যারা এ ধরনের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তার মতে, নিরপরাধ ব্যক্তিদের পরিত্রাণের জন্য যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মামলাগুলোর কার্যক্রম শুরু করা উচিত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে মামলাগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য ৩ বা ৫ সদস্যের একটি টিম করে দেবেন। তারা প্রাথমিক তদন্ত করবে এবং সেটি জনগণকে জানাবেন। এর আগে যেন কাউকে অযথা হয়রানি না করা হয় এবং কাউকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজির সুযোগ না পায়, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে। সাবেক আরেক আইজিপি নুরুল হুদা বলেন, কোনো মামলা হলেই কাউকে গ্রেফতার করতে হবে আইনে এমনটি বলা নেই। এক্ষেত্রে তদন্তকারী ও তার ওপরের তত্ত্বাবধায়ককে দেখতে হবে, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়। মাঠপর্যায়ে যথাযথভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হলে নিরপরাধীরা মুক্তি পাবে আর প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে।