ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
লাশের রাজনীতি, পরিকল্পিত সন্ত্রাসঃ ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত রূপ
কপালে আঘাতের দগদগে চিহ্ন দিচ্ছে খুনের সাক্ষ্য: আশিকুরের মৃত্যু ‘স্বাভাবিক’ নয়, ‘রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড’ এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
২০ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে জিন্নাহ উৎসব: স্বাধীনতাবিরোধীদের নতুন বার্তা
‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদি মৃত্যুর পর কাল্টে পরিণত, সরকার তার আদর্শ উদ্যাপন করছে’: ভারতীয় গণমাধ্যম
ভারতের সাথে বৈরিতা এখনই বন্ধ করুন: ঢাকাকে রাশিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি
‘আপনারাই হাদিকে হত্যা করিয়েছেন, এখন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন’: অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ওমর বিন হাদি
বাংলাদেশের দায়িত্বহীনতায় বিপন্ন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে রুশ রাষ্ট্রদূতের কড়া সতর্কবার্তা
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের চরম অবনতি: যুক্তরাষ্ট্রের পিছুটান ও ভারতীয় হাই কমিশনারকে তলব
বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে বড়সড় ফাটল দেখা দিয়েছে। একদিকে যখন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরাশক্তি বাংলাদেশের বর্তমান জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে নিজেদের কৌশলে গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যকার উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে—যা গত ১০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে আনার (downgrading ties) কথাও বিবেচনা করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘পিছুটান’ ও নতুন সমীকরণ
গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার আমেরিকান ক্লাবে আয়োজিত একটি থ্যাঙ্কসগিভিং অনুষ্ঠানে মার্কিন কূটনীতিকরা ইঙ্গিত দেন যে, তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি থেকে ক্রমশ
সরে আসছেন। ‘আমেরিকান এক্সচেঞ্জ অ্যালামনাই’-এর ব্যানারে আয়োজিত ওই চা-চক্রে ১৯ ডিসেম্বর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার এবং ছায়ানটের অফিসে অগ্নিসংযোগ ও হামলার বিষয়টি উঠে আসে। উপস্থিত বাংলাদেশি সাংবাদিকরা এই হামলায় মৌলবাদী গোষ্ঠীর ইন্ধন থাকার বিষয়টি উত্থাপন করলে মার্কিন কূটনীতিকরা জানান, তারা চলমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ থেকে ক্রমশ দূরত্ব বজায় রাখছেন। বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বর্তমান মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নিজেদের সম্পৃক্ততা কমাচ্ছে। এর প্রমাণ মেলে ২৩ ডিসেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক টুইটে, যেখানে রাজনীতি নয় বরং বাণিজ্যের মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন বিশেষ দূত সার্জিও গোরের ফোনালাপের কথা
উল্লেখ করা হয়। সোমবার সকাল ৯টায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের দপ্তরে তলব করা হয়। জানা গেছে, হাই কমিশনারকে সাক্ষাতের জন্য অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। এর আগে ২১ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় মিশনগুলোর কাছে বিক্ষোভের ঘটনায় দিল্লির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে এবং কড়া ভাষা ব্যবহার করে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কঠোর অবস্থান দুই দেশের সম্পর্ককে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। চলমান এই উত্তজনা প্রশমনে মুখ খুলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার খোযিন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের
স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত ও রাশিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, "যত দ্রুত উত্তেজনা কমানো যাবে, ততই মঙ্গল। ঐতিহাসিকভাবে ভারত, বাংলাদেশ ও রাশিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে।" গত ১২ ডিসেম্বর এক রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ও খুলনায় ভারতীয় মিশনে হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ভারত চট্টগ্রাম মিশনে ভিসা কার্যক্রম স্থগিত করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশও দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা ও শিলিগুড়িতে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের উদ্বেগকে প্রত্যাখ্যান করেছে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে একে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, ভারত একটি বিচ্ছিন্ন অপরাধকে
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছে। দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ এবং ঢাকায় ভারতবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধির ফলে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক এখন এক নজিরবিহীন সংকটের মুখে দাঁড়িয়েছে।
সরে আসছেন। ‘আমেরিকান এক্সচেঞ্জ অ্যালামনাই’-এর ব্যানারে আয়োজিত ওই চা-চক্রে ১৯ ডিসেম্বর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার এবং ছায়ানটের অফিসে অগ্নিসংযোগ ও হামলার বিষয়টি উঠে আসে। উপস্থিত বাংলাদেশি সাংবাদিকরা এই হামলায় মৌলবাদী গোষ্ঠীর ইন্ধন থাকার বিষয়টি উত্থাপন করলে মার্কিন কূটনীতিকরা জানান, তারা চলমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ থেকে ক্রমশ দূরত্ব বজায় রাখছেন। বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বর্তমান মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নিজেদের সম্পৃক্ততা কমাচ্ছে। এর প্রমাণ মেলে ২৩ ডিসেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক টুইটে, যেখানে রাজনীতি নয় বরং বাণিজ্যের মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন বিশেষ দূত সার্জিও গোরের ফোনালাপের কথা
উল্লেখ করা হয়। সোমবার সকাল ৯টায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের দপ্তরে তলব করা হয়। জানা গেছে, হাই কমিশনারকে সাক্ষাতের জন্য অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। এর আগে ২১ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় মিশনগুলোর কাছে বিক্ষোভের ঘটনায় দিল্লির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে এবং কড়া ভাষা ব্যবহার করে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কঠোর অবস্থান দুই দেশের সম্পর্ককে সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে। চলমান এই উত্তজনা প্রশমনে মুখ খুলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার খোযিন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের
স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত ও রাশিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, "যত দ্রুত উত্তেজনা কমানো যাবে, ততই মঙ্গল। ঐতিহাসিকভাবে ভারত, বাংলাদেশ ও রাশিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে।" গত ১২ ডিসেম্বর এক রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ও খুলনায় ভারতীয় মিশনে হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ভারত চট্টগ্রাম মিশনে ভিসা কার্যক্রম স্থগিত করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বাংলাদেশও দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা ও শিলিগুড়িতে ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের উদ্বেগকে প্রত্যাখ্যান করেছে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে একে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, ভারত একটি বিচ্ছিন্ন অপরাধকে
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছে। দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ এবং ঢাকায় ভারতবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধির ফলে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক এখন এক নজিরবিহীন সংকটের মুখে দাঁড়িয়েছে।



