ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যা : নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর দেশে এখন কিসের রাজত্ব চলছে?
চরম প্রতিকূলতাতেও অটুট জনসমর্থন: আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন চায় না দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ
আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির মারপ্যাঁচ: ঢাকায় মার্কিন যুদ্ধ-বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতি
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ফ্যাসিবাদ’ ও ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েমের অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সখ্য: জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতি চরম ঝুঁকির মুখে
ছয় বছরের শান্তি, মাত্র ছয় মাসেই নরক : নোবেলজয়ী ইউনুস সরকারের আরেকটি অর্জন সুন্দরবনে!
সুদখোরের দেশে রিকশাচালকের মৃত্যু : যে লোক নোবেল পেয়েছিল গরিবের রক্ত চুষে
ঝিনাইদহ শত্রুমুক্ত: পশ্চিমাঞ্চলীয় রণাঙ্গনে যৌথবাহিনীর জয়যাত্রা অব্যাহত
আজ ৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সংযোজিত হলো আরও একটি সোনালি অধ্যায়। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর অসীম সাহসিকতার মধ্য দিয়ে আজ হানাদারমুক্ত হলো ঝিনাইদহ। দুপুরের পর থেকেই পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী প্রাণভয়ে শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করে। বিকেলের পড়ন্ত রোদে ঝিনাইদহ শহরের বুকে পতপত করে উড়ছে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।
আজ ভোর থেকেই ঝিনাইদহ শহরের উপকণ্ঠে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়তে থাকে। মুক্তিবাহিনীর ৮ নম্বর সেক্টরের বীর যোদ্ধারা এবং মিত্রবাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে ‘সাঁড়াশি আক্রমণ’ পরিচালনা করে। বিশেষ করে যশোর রোডের দিক থেকে এবং চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনা হয়ে এগিয়ে আসা যৌথবাহিনীর ট্যাংকের গর্জন পাকিস্তানি সেনাদের মনোবল ধূলিসাৎ করে দেয়।
শহরের প্রবেশমুখে বিষয়খালীতে পাকবাহিনী শক্ত প্রতিরোধ গড়ে
তোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ এবং মিত্রবাহিনীর বিমান হামলার মুখে তাদের সেই ‘ডিফেন্স লাইন’ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। দুপুর ২টার দিকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ঝিনাইদহের পতন আসন্ন। শত্রুর পলায়ন ও মাগুরা-কুষ্টিয়ার দিকে যাত্রা মুক্তিবাহিনীর ত্রিমুখী আক্রমণের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি বাহিনী। উপায়ন্তর না দেখে বিকেলে তারা ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ এবং শহরের প্রধান ক্যাম্পগুলো ছেড়ে মাগুরা ও কুষ্টিয়ার দিকে পিছু হটে। পলায়নপর পাকিস্তানি সেনারা যাতে মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারে, সে লক্ষ্যে তারা বেশ কয়েকটি ছোট কালভার্ট ও ব্রিজ ধ্বংস করার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। তবে তাদের দ্রুত পলায়নের কারণে বড় ধরনের কোনো ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে তারা ব্যর্থ হয়। সামরিক বিশ্লেষকদের
মতে, আজকের এই বিজয় যুদ্ধের মোড় সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দিয়েছে। গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত হওয়ার পর ঝিনাইদহের পতন ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ঝিনাইদহ জংশন ও মহাসড়কগুলো এখন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে। এর ফলে কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী এবং ফরিদপুরের দিকে যৌথবাহিনীর এগিয়ে যাওয়া এখন আরও সহজ হলো। মূলত, ঝিনাইদহ মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পাকিস্তানি বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই শহরের চিত্র পাল্টে যায়। এতদিন ধরে পাকিস্তানি জান্তা ও তাদের দোসর রাজাকারদের ভয়ে তটস্থ থাকা মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ঝিনাইদহের আকাশ-বাতাস। শহরের পায়রা চত্বরসহ বিভিন্ন মোড়ে স্থানীয় জনতা মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে
বরণ করে নেয়। স্থানীয় এক প্রবীণ স্কুলশিক্ষক অশ্রুসজল চোখে বলেন, “গত নয়টি মাস আমরা যে নরকে ছিলাম, আজ তা থেকে মুক্তি পেলাম। আমাদের ছেলেরা ফিরে এসেছে, এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কিছু হতে পারে না।” ঝিনাইদহ মুক্ত হওয়ার সংবাদে মুজিবনগর সরকার এবং স্বাধীন বাংলা বেতারেও আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। রণাঙ্গনের পরিস্থিতি বলছে, চূড়ান্ত বিজয় এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। ঢাকার দিকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে মুক্তিপাগল জনতা ও যৌথবাহিনী।
তোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ এবং মিত্রবাহিনীর বিমান হামলার মুখে তাদের সেই ‘ডিফেন্স লাইন’ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। দুপুর ২টার দিকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ঝিনাইদহের পতন আসন্ন। শত্রুর পলায়ন ও মাগুরা-কুষ্টিয়ার দিকে যাত্রা মুক্তিবাহিনীর ত্রিমুখী আক্রমণের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি বাহিনী। উপায়ন্তর না দেখে বিকেলে তারা ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ এবং শহরের প্রধান ক্যাম্পগুলো ছেড়ে মাগুরা ও কুষ্টিয়ার দিকে পিছু হটে। পলায়নপর পাকিস্তানি সেনারা যাতে মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারে, সে লক্ষ্যে তারা বেশ কয়েকটি ছোট কালভার্ট ও ব্রিজ ধ্বংস করার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। তবে তাদের দ্রুত পলায়নের কারণে বড় ধরনের কোনো ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে তারা ব্যর্থ হয়। সামরিক বিশ্লেষকদের
মতে, আজকের এই বিজয় যুদ্ধের মোড় সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দিয়েছে। গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত হওয়ার পর ঝিনাইদহের পতন ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ঝিনাইদহ জংশন ও মহাসড়কগুলো এখন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে। এর ফলে কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী এবং ফরিদপুরের দিকে যৌথবাহিনীর এগিয়ে যাওয়া এখন আরও সহজ হলো। মূলত, ঝিনাইদহ মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পাকিস্তানি বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই শহরের চিত্র পাল্টে যায়। এতদিন ধরে পাকিস্তানি জান্তা ও তাদের দোসর রাজাকারদের ভয়ে তটস্থ থাকা মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ঝিনাইদহের আকাশ-বাতাস। শহরের পায়রা চত্বরসহ বিভিন্ন মোড়ে স্থানীয় জনতা মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে
বরণ করে নেয়। স্থানীয় এক প্রবীণ স্কুলশিক্ষক অশ্রুসজল চোখে বলেন, “গত নয়টি মাস আমরা যে নরকে ছিলাম, আজ তা থেকে মুক্তি পেলাম। আমাদের ছেলেরা ফিরে এসেছে, এর চেয়ে বড় আনন্দ আর কিছু হতে পারে না।” ঝিনাইদহ মুক্ত হওয়ার সংবাদে মুজিবনগর সরকার এবং স্বাধীন বাংলা বেতারেও আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। রণাঙ্গনের পরিস্থিতি বলছে, চূড়ান্ত বিজয় এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। ঢাকার দিকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে মুক্তিপাগল জনতা ও যৌথবাহিনী।



