ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
অপারেশন নাট ক্র্যাক: আখাউড়া দখলের যুদ্ধ
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ফ্যাসিবাদ’ ও ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েমের অভিযোগ: ফার্স্টপোস্টে ছাত্রলীগের সভাপতির নিবন্ধ
‘স্বাধীনতা বিরোধী’ ও চীনপন্থীদের কবজায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্যানেল, বিতাড়িত সব ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী
‘দেশের প্রশংসনীয় অগ্রগতি রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের ফল’: মাহফুজ আনাম
রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যা : নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর দেশে এখন কিসের রাজত্ব চলছে?
ঝিনাইদহ শত্রুমুক্ত: পশ্চিমাঞ্চলীয় রণাঙ্গনে যৌথবাহিনীর জয়যাত্রা অব্যাহত
চরম প্রতিকূলতাতেও অটুট জনসমর্থন: আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন চায় না দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ
জরিপে ধস: অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে ‘চরম অসন্তুষ্ট’ ৯২ শতাংশ মানুষ, তলানিতে জনপ্রিয়তা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচালিত সাম্প্রতিক একটি জনমত জরিপে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জনপ্রিয়তায় বড় ধরণের ধসের চিত্র ফুটে উঠেছে। ‘দৈনিক আজকের কণ্ঠ’ নামক একটি পেজ থেকে পরিচালিত এই জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের একচেটিয়া একটি অংশ সরকারের বর্তমান কার্যক্রমে চরম বিরক্তি ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারের পক্ষে সন্তুষ্টির হার এক অঙ্কের ঘরেও পৌঁছাতে পারেনি।
জরিপের পরিসংখ্যান ও শতকরা হিসাব:
গত ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে পরিচালিত এই জরিপে মোট প্রায় ১২,০০০ (১২ হাজার) ফেসবুক ব্যবহারকারী তাদের মতামত জানান। জরিপের শর্ত অনুযায়ী ‘হা-হা’ (Haha) রিঅ্যাকশনকে ‘চরম অসন্তুষ্ট’ এবং ‘লাভ’ (Love) ও ‘লাইক’ (Like) রিঅ্যাকশনকে যথাক্রমে ‘চরম সন্তুষ্ট’ ও ‘মোটামুটি সন্তুষ্ট’ হিসেবে ধরা
হয়েছিল। ফলাফলের শতকরা বিশ্লেষণ নিচে তুলে ধরা হলো: ১. চরম অসন্তুষ্ট (৯১.৬৬%): মোট ১২ হাজার প্রতিক্রিয়ার মধ্যে প্রায় ১১,০০০ মানুষই ‘হা-হা’ রিঅ্যাকশন দিয়েছেন। অর্থাৎ, জরিপে অংশ নেওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৯২ জনই সরকারের কার্যক্রমে চরমভাবে অসন্তুষ্ট। ২. মোটামুটি সন্তুষ্ট (৪.৬৪%): সরকারের কাজে ‘মোটামুটি সন্তুষ্টি’ বা ‘লাইক’ দিয়েছেন মাত্র ৫৫৭ জন। যা মোট অংশগ্রহণকারীর ৫ শতাংশেরও কম। ৩. চরম সন্তুষ্ট (২.১১%): সরকারের কার্যক্রমে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হয়ে ‘লাভ’ রিঅ্যাকশন দিয়েছেন মাত্র ২৫৪ জন। যা পরিসংখ্যানের বিচারে অতি নগণ্য। নেতিবাচক বিশ্লেষণ ও জনমতের প্রতিফলন: এই জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনমানুষের আস্থার সংকটের ভয়াবহ চিত্রটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে: জনপ্রিয়তায় ধস: যেখানে ১১ হাজার মানুষ নেতিবাচক বা
অসন্তোষের ভোট দিয়েছেন, সেখানে ইতিবাচক বা চরম সন্তুষ্টির ভোট মাত্র ২৫৪টি। অর্থাৎ, একজন সন্তুষ্ট ব্যক্তির বিপরীতে প্রায় ৪৩ জন অসন্তুষ্ট ব্যক্তি রয়েছেন। এটি সরকারের জনপ্রিয়তার তলানিতে নামার ইঙ্গিত দেয়। গণ-অনাস্থা: সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘হা-হা’ রিঅ্যাকশন ট্রল বা হাস্যরস হিসেবে ব্যবহৃত হলেও, এই জরিপে এটিকে সুনির্দিষ্টভাবে ‘চরম অসন্তোষ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল। বিপুল সংখ্যক মানুষের এই অপশনটি বেছে নেওয়া প্রমাণ করে যে, তারা সরকারের সিদ্ধান্ত বা কার্যক্রমকে কেবল অপছন্দই করছেন না, বরং তা প্রত্যাখ্যান করছেন। ব্যর্থতার বার্তা: শতকরা হিসেবে ইতিবাচক মতামতের (লাইক ও লাভ মিলে) হার মাত্র ৬.৭৫ শতাংশের আশেপাশে। বাকি বিশাল অংশই নেতিবাচক। এটি নির্দেশ করে যে, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সরকার
অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়েছে এবং জনমনে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। সোশ্যাল মিডিয়ার এই পালস বা জনমত উপেক্ষা করা হলে ভবিষ্যতে সরকারের প্রতি জনরোষ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
হয়েছিল। ফলাফলের শতকরা বিশ্লেষণ নিচে তুলে ধরা হলো: ১. চরম অসন্তুষ্ট (৯১.৬৬%): মোট ১২ হাজার প্রতিক্রিয়ার মধ্যে প্রায় ১১,০০০ মানুষই ‘হা-হা’ রিঅ্যাকশন দিয়েছেন। অর্থাৎ, জরিপে অংশ নেওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৯২ জনই সরকারের কার্যক্রমে চরমভাবে অসন্তুষ্ট। ২. মোটামুটি সন্তুষ্ট (৪.৬৪%): সরকারের কাজে ‘মোটামুটি সন্তুষ্টি’ বা ‘লাইক’ দিয়েছেন মাত্র ৫৫৭ জন। যা মোট অংশগ্রহণকারীর ৫ শতাংশেরও কম। ৩. চরম সন্তুষ্ট (২.১১%): সরকারের কার্যক্রমে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হয়ে ‘লাভ’ রিঅ্যাকশন দিয়েছেন মাত্র ২৫৪ জন। যা পরিসংখ্যানের বিচারে অতি নগণ্য। নেতিবাচক বিশ্লেষণ ও জনমতের প্রতিফলন: এই জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনমানুষের আস্থার সংকটের ভয়াবহ চিত্রটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে: জনপ্রিয়তায় ধস: যেখানে ১১ হাজার মানুষ নেতিবাচক বা
অসন্তোষের ভোট দিয়েছেন, সেখানে ইতিবাচক বা চরম সন্তুষ্টির ভোট মাত্র ২৫৪টি। অর্থাৎ, একজন সন্তুষ্ট ব্যক্তির বিপরীতে প্রায় ৪৩ জন অসন্তুষ্ট ব্যক্তি রয়েছেন। এটি সরকারের জনপ্রিয়তার তলানিতে নামার ইঙ্গিত দেয়। গণ-অনাস্থা: সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘হা-হা’ রিঅ্যাকশন ট্রল বা হাস্যরস হিসেবে ব্যবহৃত হলেও, এই জরিপে এটিকে সুনির্দিষ্টভাবে ‘চরম অসন্তোষ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল। বিপুল সংখ্যক মানুষের এই অপশনটি বেছে নেওয়া প্রমাণ করে যে, তারা সরকারের সিদ্ধান্ত বা কার্যক্রমকে কেবল অপছন্দই করছেন না, বরং তা প্রত্যাখ্যান করছেন। ব্যর্থতার বার্তা: শতকরা হিসেবে ইতিবাচক মতামতের (লাইক ও লাভ মিলে) হার মাত্র ৬.৭৫ শতাংশের আশেপাশে। বাকি বিশাল অংশই নেতিবাচক। এটি নির্দেশ করে যে, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সরকার
অনেকাংশেই ব্যর্থ হয়েছে এবং জনমনে ক্ষোভ দানা বাঁধছে। সোশ্যাল মিডিয়ার এই পালস বা জনমত উপেক্ষা করা হলে ভবিষ্যতে সরকারের প্রতি জনরোষ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।



