ছুটির দিনেও গাজীপুরে চালু ৩০ শতাংশ কারখানা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ছুটির দিনেও গাজীপুরে চালু ৩০ শতাংশ কারখানা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৫:০৫ 139 ভিউ
গাজীপুরের প্রায় ৩০ শতাংশ কারখানা শুক্রবার ছুটির দিনেও চালু রাখা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে চলা শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকপক্ষ। পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় আজ সকাল থেকেই শুরু হয় কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম। বিকেল সাড়ে ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো শ্রমিক বিক্ষোভ বা বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন দাবিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলছে শ্রমিক অসন্তোষ। এতে একধরনের অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয় শিল্পনগর গাজীপুরে। দাবি আদায়ে কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। ঝামেলা এড়াতে কোনো কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা, আবার কোনো কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা

হয়। এতে কারখানাগুলোর উৎপাদন কমে দাঁড়ায় শূন্যের কোঠায়। দেখা দিয়েছে আর্থিক সংকট। সেই সংকট কাটিয়ে নিতে আজ খোলা রাখা হয়েছে অনেক কারখানা। গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলম বলেন, মূলত আজ পোশাকশ্রমিকদের ছুটির দিন। কিন্তু গত কয়েক দিনের বিক্ষোভে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতেই মালিকপক্ষের লোকজন কারখানা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ পুরো জেলায় মোট কারখানার প্রায় ৩০ ভাগ চালু রয়েছে। তবে যে আটটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, সেগুলো আজও বন্ধই আছে। মোহাম্মদ সারওয়ার আলম আরও বলেন, আজ সকাল থেকেই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন কারখানায় পাহারা দিচ্ছেন। যেসব কারখানায় অসন্তোষের আশঙ্কা রয়েছে, সেসব কারখানার সামনে

পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কোথাও কোনো ঝামেলার খবর পাওয়া যায়নি। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, পুরো জেলায় সব মিলিয়ে নিবন্ধিত কারখানা রয়েছে ২ হাজার ৬৩৩টি। এর বাইরে অনিবন্ধিত কারখানা আছে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০টি। এসব কারখানায় শ্রমিক কাজ করেন প্রায় ২২ লাখ। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে গত বুধবার গাজীপুর নগরের ভবানীপুর এলাকায় বিক্ষোভ করছিলেন বেক্সিমকো গ্রুপের একটি কারখানার শ্রমিকেরা। একপর্যায়ে তারা আশপাশের কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর চালান। কিছু শ্রমিক বিগবস নামের একটি কারখানায় আগুন দেন। একইভাবে শ্রমিক অসন্তোষ চলে টঙ্গী, সালনা, কাশিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়। এ জেরে গতকাল

বৃহস্পতিবার ৩০টি কারখানায় সাধারণ ছুটি এবং ৮টি কারখানা অনিদির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার জেলার তিনটি কারখানা বন্ধ ঘোষণাসহ ছুটি ঘোষণা করা হয় পাঁচটি কারখানা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
গাজার ত্রাণের বস্তায় নেশার বিষ নতুন পাইপলাইন প্রকল্পে ট্যাংকার শিল্পে বিপর্যয় এবার দুদকের মামলায় খালাস গোল্ডেন মনির ‘প্যাডসর্বস্ব’ রাজনৈতিক দলগুলোও তৎপর ধরাছোঁয়ার বাইরে বেশ কিছু মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান ব্যবসা-বাণিজ্য মহাসংকটে দুর্বল ১২ ব্যাংক পেল ৫৩ হাজার কোটি টাকা কুমিল্লায় নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কমল স্বর্ণের দাম বিশ্বে ১ কোটি ৩৩ লাখ শিশু শরণার্থী পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ ইস্পাহানের ভূগর্ভেই ইরানের ‘পারমাণবিক শক্তি’ চীনে ২০টি নতুন ভাইরাসের সন্ধান থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নের পদত্যাগের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ড. ইউনূস, আলী রীয়াজ ও আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে মিশিগান কোর্টে মামলা মব পেল বৈধতা, ইউনূসের নেতৃত্বে রক্তাক্ত বাংলাদেশ ‘বিচ্ছেদ’ গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া খামেনির প্রাণ বাঁচিয়েছি, ধন্যবাদ লাগবে না: ট্রাম্প এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা পাকিস্তানে আত্মঘাতি হামলায় ১৬ সেনা নিহত