ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বাংলাদেশে হিংসার নেপথ্যে পাকিস্তানের ‘ঢাকা সেল’? ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
কারা হেফাজতে ফের মৃত্যু: বিনা চিকিৎসায় আ.লীগ নেতাকে ‘পরিকল্পিত হত্যার’ অভিযোগ
গণমাধ্যমের বর্তমান ভূমিকা ও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শেখ হাসিনা: ‘আমার সময়ে সমালোচনার পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল’
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই বড় পদক্ষেপ! ৭১-এর যুদ্ধে লড়া ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন ত্রিপুরায়
ধর্ম অবমাননা’র গুজবে সংখ্যালঘু নিধন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও মব জাস্টিসের ভয়াবহ বিস্তার
‘মৌলবাদীরা ভারত-বিদ্বেষ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে’: টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে রোকেয়া প্রাচী
‘মৌলবাদীরা ভারত-বিদ্বেষ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে’: টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে রোকেয়া প্রাচী
ছাত্রনেতার মুখোশে গুন্ডামি: রাকসু জিএসের ‘সন্ত্রাসী’ আস্ফালন
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক বা জিএস পদটি অত্যন্ত সম্মান ও দায়িত্বের। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে মেলবন্ধন তৈরির কারিগর হওয়ার কথা যার, সেই রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার আজ খবরের শিরোনাম হয়েছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তার নেতৃত্ব বা ছাত্রবান্ধব কোনো কর্মসূচি নয়, বরং তার ‘সন্ত্রাসী’ আচরণ, শিক্ষকদের প্রতি হুমকি এবং ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাম্প্রতিক বিবৃতি এবং আম্মারের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, একজন ছাত্রপ্রতিনিধি কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হলো শহীদ ড. সৈয়দ শামসুজ্জোহার স্মৃতিবিজড়িত ক্যাম্পাস, যেখানে শিক্ষকের মর্যাদার জন্য জীবন দেওয়ার ইতিহাস
রয়েছে। সেই ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে শিক্ষকদের ‘বেঁধে রাখা’ কিংবা ‘বাকিটা বুঝিয়ে দেওয়া’র মতো হুমকি প্রদান কোনো সুস্থ ছাত্ররাজনীতির ভাষা হতে পারে না। জিএস আম্মার ফেসবুকে যে ভাষায় ডিনদের হুমকি দিয়েছেন এবং পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়ে যেভাবে নিজেই পদত্যাগপত্র লিখে এনে চাপ সৃষ্টি করেছেন, তা সুস্পষ্টভাবে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ শামিল। শিক্ষকদের ফোন করে শাসানো, প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া এবং সাবেক উপাচার্যকে খুঁজতে যাওয়ার যে ধৃষ্টতা তিনি দেখিয়েছেন, তা ‘মব-জাস্টিস’ বা সংঘবদ্ধ গুন্ডাতন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। ছাত্রদল তাদের বিবৃতিতে যথার্থই বলেছে, শিক্ষকদের সঙ্গে এমন মারমুখী আচরণ ফ্যাসিবাদের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে যদি নতুন করে আরেক ‘ছাত্র-ফ্যাসিস্ট’ এর জন্ম হয়, তবে তা
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চরম লজ্জার। বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানচর্চার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। সেখানে ডিনস কমপ্লেক্স বা প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া কোনো যৌক্তিক প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। এটি পেশিশক্তির প্রদর্শন মাত্র। জিএস আম্মারের এই কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে, তিনি গঠনমূলক সমালোচনার চেয়ে ভীতি প্রদর্শন ও জিম্মি করার রাজনীতিতে বেশি বিশ্বাসী। তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ঢালাওভাবে শিক্ষকদের ‘ট্যাগিং’ করা এবং তাদের লাঞ্ছিত করার চেষ্টা মূলত ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল ও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির একটি গভীর ষড়যন্ত্র। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে যখন দেশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের দিকে এগোচ্ছে, তখন সমন্বয়ক বা ছাত্রনেতার তকমা লাগিয়ে এমন উশৃঙ্খল আচরণ মূলত মূল আন্দোলনের স্পিরিটকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আম্মারের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, তিনি
নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করছেন। ছাত্রদলের হুঁশিয়ারি—শক্ত হাতে প্রতিহত করার ঘোষণা—প্রমাণ করে যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বা অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো এই ‘মব-কালচার’ মেনে নিতে নারাজ। সালাহউদ্দিন আম্মার তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাকসু জিএস পদের পবিত্রতা নষ্ট করেছেন। শিক্ষকদের হুমকি দেওয়া এবং ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা কোনোভাবেই ছাত্রনেতার কাজ হতে পারে না; বরং এটি একজন ‘সন্ত্রাসীর’ বৈশিষ্ট্য। যদি কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তবে তার বিচার প্রচলিত আইনে বা প্রশাসনিক তদন্তের মাধ্যমে হতে পারে। কিন্তু নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া এবং গুন্ডাতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এখনই যদি এই ‘সন্ত্রাসী’ মানসিকতার লাগাম টেনে ধরা না হয়, তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার
পরিবেশ এক ভয়াবহ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হবে।
রয়েছে। সেই ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে শিক্ষকদের ‘বেঁধে রাখা’ কিংবা ‘বাকিটা বুঝিয়ে দেওয়া’র মতো হুমকি প্রদান কোনো সুস্থ ছাত্ররাজনীতির ভাষা হতে পারে না। জিএস আম্মার ফেসবুকে যে ভাষায় ডিনদের হুমকি দিয়েছেন এবং পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়ে যেভাবে নিজেই পদত্যাগপত্র লিখে এনে চাপ সৃষ্টি করেছেন, তা সুস্পষ্টভাবে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ শামিল। শিক্ষকদের ফোন করে শাসানো, প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া এবং সাবেক উপাচার্যকে খুঁজতে যাওয়ার যে ধৃষ্টতা তিনি দেখিয়েছেন, তা ‘মব-জাস্টিস’ বা সংঘবদ্ধ গুন্ডাতন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। ছাত্রদল তাদের বিবৃতিতে যথার্থই বলেছে, শিক্ষকদের সঙ্গে এমন মারমুখী আচরণ ফ্যাসিবাদের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে যদি নতুন করে আরেক ‘ছাত্র-ফ্যাসিস্ট’ এর জন্ম হয়, তবে তা
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চরম লজ্জার। বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানচর্চার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। সেখানে ডিনস কমপ্লেক্স বা প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া কোনো যৌক্তিক প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। এটি পেশিশক্তির প্রদর্শন মাত্র। জিএস আম্মারের এই কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে, তিনি গঠনমূলক সমালোচনার চেয়ে ভীতি প্রদর্শন ও জিম্মি করার রাজনীতিতে বেশি বিশ্বাসী। তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ঢালাওভাবে শিক্ষকদের ‘ট্যাগিং’ করা এবং তাদের লাঞ্ছিত করার চেষ্টা মূলত ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল ও ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির একটি গভীর ষড়যন্ত্র। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে যখন দেশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের দিকে এগোচ্ছে, তখন সমন্বয়ক বা ছাত্রনেতার তকমা লাগিয়ে এমন উশৃঙ্খল আচরণ মূলত মূল আন্দোলনের স্পিরিটকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আম্মারের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, তিনি
নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করছেন। ছাত্রদলের হুঁশিয়ারি—শক্ত হাতে প্রতিহত করার ঘোষণা—প্রমাণ করে যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বা অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো এই ‘মব-কালচার’ মেনে নিতে নারাজ। সালাহউদ্দিন আম্মার তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাকসু জিএস পদের পবিত্রতা নষ্ট করেছেন। শিক্ষকদের হুমকি দেওয়া এবং ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা কোনোভাবেই ছাত্রনেতার কাজ হতে পারে না; বরং এটি একজন ‘সন্ত্রাসীর’ বৈশিষ্ট্য। যদি কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তবে তার বিচার প্রচলিত আইনে বা প্রশাসনিক তদন্তের মাধ্যমে হতে পারে। কিন্তু নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া এবং গুন্ডাতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এখনই যদি এই ‘সন্ত্রাসী’ মানসিকতার লাগাম টেনে ধরা না হয়, তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার
পরিবেশ এক ভয়াবহ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হবে।



