ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সুদখোরের দেশে রিকশাচালকের মৃত্যু : যে লোক নোবেল পেয়েছিল গরিবের রক্ত চুষে
বহুদিন ধরে বিএনপি–জামায়াত এবং সুশীল সমাজের একটি অংশ ২০১৩ সালের ৫ মে আওয়ামী লীগ
‘দেশ ধ্বংস করে ফেলছে এই স্টুপিড জেনারেশন’—জুলাই থেকে চলমান অরাজকতায় অতিষ্ঠ জনতা, ভাইরাল নারীর ক্ষোভ
দুর্নীতির বরপুত্র’র মুখে নীতি কথা
শীতের ভরা মৌসুমেও অসহনীয় সবজির দাম
দুবাইয়ের চাকরির প্রলোভনে পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ
ঐতিহাসিক অডিওতে জিয়ার স্বীকারোক্তি: বঙ্গবন্ধুর নামেই স্বাধীনতার ঘোষণা, স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’
ছয় বছরের শান্তি, মাত্র ছয় মাসেই নরক : নোবেলজয়ী ইউনুস সরকারের আরেকটি অর্জন সুন্দরবনে!
সরকার পরিচালনায় অক্ষমতার নমুনা এখন আর শুধু ঢাকার রাস্তায় সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন এখন পরিণত হয়েছে ডাকাত-দস্যুদের স্বর্গরাজ্যে। ছয় বছরের শান্ত পরিবেশ মাত্র কয়েক মাসে উবে গেছে। বনজীবীদের জীবন এখন আতঙ্কে, ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, আর সাধারণ জেলেরা প্রতিদিন মুক্তিপণের ভয়ে কাঁপছেন।
২০১৮ সালে দস্যুমুক্ত ঘোষিত সুন্দরবনে এখন কমপক্ষে ২০টি সশস্ত্র দস্যু বাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যারা একসময় আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিল, তারা আবার হাতে তুলে নিয়েছে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র। জাহাঙ্গীর, মঞ্জুর, দাদাভাই বাহিনীর মতো আত্মসমর্পণকারীরা এখন আবার সক্রিয়। নতুন যুক্ত হয়েছে দুলাভাই বাহিনীসহ আরও অনেক নাম। গত এক বছরে তিন শতাধিক জেলে ও বনজীবী অপহরণের শিকার হয়েছেন, যাদের অনেকেই
গোপনে বিকাশে মুক্তিপণ পরিশোধ করে ফিরেছেন। এই পরিস্থিতি সৃষ্টিতে ইউনুস ও তার তথাকথিত সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যে সরকার বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় এসেছে, তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে এটা আশা করাই ছিল বোকামি। কিন্তু বাস্তবতা প্রত্যাশার চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে যে নৈরাজ্য দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তার থাবা এখন সুন্দরবনের গহীনেও পৌঁছেছে। বিষয়টি আরও গভীর যখন জানা যায় যে জেল ভেঙে পালানো কয়েদিরাও এখন এই দস্যু দলগুলোতে যোগ দিয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা কারাগার ভাঙচুরের পর পালিয়ে যাওয়া নারী পাচারকারী আবদুল্লাহ তরফদার এখন নিজের দল নিয়ে সুন্দরবনে সক্রিয়। এই ধরনের অপরাধীদের পালিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে আরও বড় অপরাধে জড়িয়ে
পড়ার ঘটনা প্রমাণ করে যে দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা এখন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। অথচ এই সরকারের কাছে সময় ছিল না সুন্দরবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার। তারা ব্যস্ত ছিল নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে, বিরোধীদের দমন করতে, আর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে নিজেদের বৈধতা প্রমাণ করতে। ইউনুস সাহেব যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির জন্য, তিনি এখন ব্যস্ত আছেন দেশ পরিচালনায়, যেখানে তার কোনো জনগণের ম্যান্ডেট নেই, নেই কোনো নির্বাচনী বৈধতা। সুন্দরবনে বর্তমান পরিস্থিতি শুধু আইনশৃঙ্খলা সমস্যা নয়, এটি অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আগাম সংকেত। জেলেরা বনে যেতে ভয় পাচ্ছেন। প্রতি নৌকায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা না দিলে মাছ ধরা সম্ভব নয়। আর অপহরণ হলে মুক্তিপণ
দিতে হয় ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত। এই অর্থনৈতিক চাপ শুধু জেলে পরিবারগুলোর ওপর নয়, পুরো উপকূলীয় অর্থনীতির ওপর পড়ছে। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো পরিবেশগত ক্ষতি। দস্যু বাহিনীগুলো শুধু জেলেদের লুটপাট করছে না, তারা বাঘ ও হরিণ শিকার করে তাদের চামড়া, মাংস ও কঙ্কাল পাচার করছে। মূল্যবান কাঠ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য যা বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণ করা হয়েছে, তা এখন ধ্বংসের মুখে। এই ক্ষতি অপূরণীয়, যার দায় সরাসরি এই অবৈধ সরকারের ওপর বর্তায়। আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের কথা শুনলে আরেকটি বিষয় স্পষ্ট হয়। তারা জানিয়েছেন যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েও তাদের সামাজিক মর্যাদা মেলেনি। কাজ পাননি, পেয়েছেন শুধু হয়রানি আর
মামলার ভয়। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩২৮ জন দস্যু যখন ৪৬২টি অস্ত্র নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল, তখন তাদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি কার্যকর হওয়ার আগেই সেই নির্বাচিত সরকারকে ক্যু করে ফেলে দেয়া হয়ে গেছে! আর ক্ষমতা দখল করা ইউনুসের অ-সরকারের কাছে এসব প্রতিশ্রুতি কাগুজে বাক্য ছাড়া আর কিছু নয়। বন বিভাগ, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ সবাই জানে এই দস্যু বাহিনীগুলোর অবস্থান সম্পর্কে। জেলে ও বনজীবীরা নিয়মিত তথ্য দিচ্ছেন। তবুও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এর কারণ কী? কারণ হলো সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় সুন্দরবন বা সাধারণ জেলেদের নিরাপত্তা নেই। তারা ব্যস্ত আছেন নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার রাজনীতিতে। স্থানীয়ভাবে গডফাদার ও সোর্সদের
নেটওয়ার্ক এই দস্যুতন্ত্র টিকিয়ে রেখেছে। এই গডফাদাররা বসবাস করেন লোকালয়ে, তাদের রয়েছে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব। জেলেপল্লী ও মৎস্য আড়তে তাদের চোখ কান সবসময় খোলা। কোনো জেলে মুখ খুললেই তার পরিণতি ভোগ করতে হয় বনে গিয়ে। এই ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে সরকারের নিষ্ক্রিয়তার কারণে। মজার বিষয় হলো, দস্যুরা এখন সংকেতযুক্ত টোকেন ইশু করছে। কোন বাহিনীর টোকেন নৌকায় থাকলে তারা নিরাপদ থাকবে। এটা কোনো সরকার পরিচালিত এলাকার চিত্র নয়, এটা হলো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের লক্ষণ। যেখানে সরকারের পরিবর্তে অপরাধীরা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে, সেখানে রাষ্ট্র বলে আর কিছু থাকে না। ইউনুস সরকার দাবি করে তারা দেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সুন্দরবনের বাস্তবতা বলছে
ভিন্ন কথা। যেখানে সাধারণ মানুষ নিরাপদে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে না, সেখানে গণতন্ত্রের কথা বলা শুধুই প্রহসন। সাড়ে তিনশ জেলে গত এক বছরে অপহৃত হয়েছেন, এখনো দেড় থেকে বিশজন জিম্মি অবস্থায় আছেন। এই পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যা নয়, এগুলো হলো জীবন্ত মানুষ, যাদের পরিবার প্রতিদিন আতঙ্কে কাটাচ্ছে। সবচেয়ে হতাশাজনক দিক হলো এই সরকারের কাছে কোনো সমাধান নেই। তাদের নেই জনগণের আস্থা, নেই নৈতিক বৈধতা, নেই প্রশাসনিক দক্ষতা। যে সরকার নিজেই অবৈধ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় এসেছে, তারা কীভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করবে? যে সরকার দেশজুড়ে সহিংসতা উসকে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের কাছে শান্তি প্রত্যাশা করা বোকামি। সুন্দরবনের সংকট শুধু একটি আঞ্চলিক সমস্যা নয়, এটি পুরো দেশের ব্যর্থ শাসন ব্যবস্থার প্রতিফলন। উপকূলীয় অর্থনীতি বিপন্ন, পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে, মানুষের জীবন অনিশ্চয়তায় ভরা। এর জন্য দায়ী শুধুমাত্র ইউনুস ও তার নিযুক্ত করা অদক্ষ উপদেষ্টামণ্ডলী, যারা প্রতিদিন প্রমাণ করছেন যে দেশ পরিচালনা করা মাইক্রোফাইন্যান্স চালানোর মতো সহজ কাজ নয়।
গোপনে বিকাশে মুক্তিপণ পরিশোধ করে ফিরেছেন। এই পরিস্থিতি সৃষ্টিতে ইউনুস ও তার তথাকথিত সরকারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যে সরকার বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় এসেছে, তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে এটা আশা করাই ছিল বোকামি। কিন্তু বাস্তবতা প্রত্যাশার চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে যে নৈরাজ্য দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তার থাবা এখন সুন্দরবনের গহীনেও পৌঁছেছে। বিষয়টি আরও গভীর যখন জানা যায় যে জেল ভেঙে পালানো কয়েদিরাও এখন এই দস্যু দলগুলোতে যোগ দিয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা কারাগার ভাঙচুরের পর পালিয়ে যাওয়া নারী পাচারকারী আবদুল্লাহ তরফদার এখন নিজের দল নিয়ে সুন্দরবনে সক্রিয়। এই ধরনের অপরাধীদের পালিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে আরও বড় অপরাধে জড়িয়ে
পড়ার ঘটনা প্রমাণ করে যে দেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা এখন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। অথচ এই সরকারের কাছে সময় ছিল না সুন্দরবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার। তারা ব্যস্ত ছিল নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে, বিরোধীদের দমন করতে, আর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে নিজেদের বৈধতা প্রমাণ করতে। ইউনুস সাহেব যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির জন্য, তিনি এখন ব্যস্ত আছেন দেশ পরিচালনায়, যেখানে তার কোনো জনগণের ম্যান্ডেট নেই, নেই কোনো নির্বাচনী বৈধতা। সুন্দরবনে বর্তমান পরিস্থিতি শুধু আইনশৃঙ্খলা সমস্যা নয়, এটি অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আগাম সংকেত। জেলেরা বনে যেতে ভয় পাচ্ছেন। প্রতি নৌকায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা না দিলে মাছ ধরা সম্ভব নয়। আর অপহরণ হলে মুক্তিপণ
দিতে হয় ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত। এই অর্থনৈতিক চাপ শুধু জেলে পরিবারগুলোর ওপর নয়, পুরো উপকূলীয় অর্থনীতির ওপর পড়ছে। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো পরিবেশগত ক্ষতি। দস্যু বাহিনীগুলো শুধু জেলেদের লুটপাট করছে না, তারা বাঘ ও হরিণ শিকার করে তাদের চামড়া, মাংস ও কঙ্কাল পাচার করছে। মূল্যবান কাঠ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য যা বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণ করা হয়েছে, তা এখন ধ্বংসের মুখে। এই ক্ষতি অপূরণীয়, যার দায় সরাসরি এই অবৈধ সরকারের ওপর বর্তায়। আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের কথা শুনলে আরেকটি বিষয় স্পষ্ট হয়। তারা জানিয়েছেন যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েও তাদের সামাজিক মর্যাদা মেলেনি। কাজ পাননি, পেয়েছেন শুধু হয়রানি আর
মামলার ভয়। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ৩২৮ জন দস্যু যখন ৪৬২টি অস্ত্র নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল, তখন তাদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি কার্যকর হওয়ার আগেই সেই নির্বাচিত সরকারকে ক্যু করে ফেলে দেয়া হয়ে গেছে! আর ক্ষমতা দখল করা ইউনুসের অ-সরকারের কাছে এসব প্রতিশ্রুতি কাগুজে বাক্য ছাড়া আর কিছু নয়। বন বিভাগ, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ সবাই জানে এই দস্যু বাহিনীগুলোর অবস্থান সম্পর্কে। জেলে ও বনজীবীরা নিয়মিত তথ্য দিচ্ছেন। তবুও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। এর কারণ কী? কারণ হলো সরকারের অগ্রাধিকার তালিকায় সুন্দরবন বা সাধারণ জেলেদের নিরাপত্তা নেই। তারা ব্যস্ত আছেন নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার রাজনীতিতে। স্থানীয়ভাবে গডফাদার ও সোর্সদের
নেটওয়ার্ক এই দস্যুতন্ত্র টিকিয়ে রেখেছে। এই গডফাদাররা বসবাস করেন লোকালয়ে, তাদের রয়েছে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব। জেলেপল্লী ও মৎস্য আড়তে তাদের চোখ কান সবসময় খোলা। কোনো জেলে মুখ খুললেই তার পরিণতি ভোগ করতে হয় বনে গিয়ে। এই ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে সরকারের নিষ্ক্রিয়তার কারণে। মজার বিষয় হলো, দস্যুরা এখন সংকেতযুক্ত টোকেন ইশু করছে। কোন বাহিনীর টোকেন নৌকায় থাকলে তারা নিরাপদ থাকবে। এটা কোনো সরকার পরিচালিত এলাকার চিত্র নয়, এটা হলো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের লক্ষণ। যেখানে সরকারের পরিবর্তে অপরাধীরা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে, সেখানে রাষ্ট্র বলে আর কিছু থাকে না। ইউনুস সরকার দাবি করে তারা দেশকে গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সুন্দরবনের বাস্তবতা বলছে
ভিন্ন কথা। যেখানে সাধারণ মানুষ নিরাপদে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে না, সেখানে গণতন্ত্রের কথা বলা শুধুই প্রহসন। সাড়ে তিনশ জেলে গত এক বছরে অপহৃত হয়েছেন, এখনো দেড় থেকে বিশজন জিম্মি অবস্থায় আছেন। এই পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যা নয়, এগুলো হলো জীবন্ত মানুষ, যাদের পরিবার প্রতিদিন আতঙ্কে কাটাচ্ছে। সবচেয়ে হতাশাজনক দিক হলো এই সরকারের কাছে কোনো সমাধান নেই। তাদের নেই জনগণের আস্থা, নেই নৈতিক বৈধতা, নেই প্রশাসনিক দক্ষতা। যে সরকার নিজেই অবৈধ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় এসেছে, তারা কীভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করবে? যে সরকার দেশজুড়ে সহিংসতা উসকে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের কাছে শান্তি প্রত্যাশা করা বোকামি। সুন্দরবনের সংকট শুধু একটি আঞ্চলিক সমস্যা নয়, এটি পুরো দেশের ব্যর্থ শাসন ব্যবস্থার প্রতিফলন। উপকূলীয় অর্থনীতি বিপন্ন, পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে, মানুষের জীবন অনিশ্চয়তায় ভরা। এর জন্য দায়ী শুধুমাত্র ইউনুস ও তার নিযুক্ত করা অদক্ষ উপদেষ্টামণ্ডলী, যারা প্রতিদিন প্রমাণ করছেন যে দেশ পরিচালনা করা মাইক্রোফাইন্যান্স চালানোর মতো সহজ কাজ নয়।



