চোখ রাঙাচ্ছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘ঈশান’, প্লাবনের শঙ্কা

দেশের আবহাওয়ায় নতুন করে হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে একটি শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়, যার নামকরণ করা হয়েছে ‘ঈশান’। বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)-এর মতে, এটি চলতি বছরের ১০ম বৃষ্টিবলয় এবং ষষ্ঠ মৌসুমি বৃষ্টিবলয়, যা ইতোমধ্যেই উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত হয়ে দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
বিডব্লিউওটি জানিয়েছে, ‘ঈশান’ একটি প্রায় পূর্ণাঙ্গ ও সুসংহত বৃষ্টিবলয়, যার প্রভাবে দেশের ৯০ শতাংশ এলাকাতেই কোনো না কোনো সময় বৃষ্টি হবে। এই বৃষ্টিবলয় সর্বাধিক সক্রিয় থাকবে ৪ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত, এবং ৯ আগস্ট নাগাদ রংপুর দিয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।
যেসব অঞ্চলে বেশি প্রভাব পড়বে
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ: রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট। প্রবল বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া হতে পারে রাজশাহী,
চট্টগ্রাম ও ঢাকা অঞ্চলে। এছাড়া মাঝারি প্রভাব পড়তে পারে বরিশাল ও খুলনা বিভাগে। বন্যা ও দুর্যোগের শঙ্কা ঈশানের প্রভাবে উজান ও দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারী বর্ষণ হলে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও সুরমা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিডব্লিউওটি আরও জানিয়েছে, এই সময়কালে নদীগুলোর পানি হঠাৎ বাড়তে পারে, যার ফলে পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ঘটতে পারে। পাহাড়ধসের আশঙ্কা সিলেট ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে ভারী ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীরা যেন অস্থায়ী আশ্রয়ে চলে যান এবং স্থানীয় প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বজ্রপাত এবং দমকা
হাওয়ার পূর্বাভাস ঈশানের সময় বজ্রপাতের হারও বেশি থাকবে, বিশেষ করে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে। দমকা হাওয়া বৃষ্টিবাহী এলাকায় বিরাজ করতে পারে, যদিও বড় কোনো ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের আশঙ্কা নেই। আবহাওয়ার ধরন: অধিকাংশ এলাকায় আংশিক থেকে মেঘলা, উত্তরাঞ্চলে সম্পূর্ণ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। তাপমাত্রা: উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে আবহাওয়া আরামদায়ক থাকবে। দক্ষিণাঞ্চলে ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে, বিশেষ করে বৃষ্টি না থাকলে। জরুরি করণীয় ও প্রস্তুতি বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উচ্চ সতর্কতায় থাকতে বলা হয়েছে। নিচু এলাকাগুলোতে নজরদারি, বাঁধ ও কাঁচা রাস্তার স্থিতিশীলতা পরীক্ষা, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাসের প্রতিফলন এর আগেও আবহাওয়াবিদরা হিমালয়
ঘেঁষা অঞ্চলে ‘মেঘের উড়ন্ত নদী’ (Atmospheric River) গঠনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। ঈশান এই প্রবণতার একটি শক্তিশালী রূপ হতে পারে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় বৃষ্টির নতুন ধারাবাহিকতা তৈরি করছে। বিশ্লেষকদের মতে, বৃষ্টিবলয় ‘ঈশান’ বাংলাদেশের জন্য নতুন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলেও, এটি যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সক্রিয় হয়, তবে উত্তরাঞ্চল ও পাহাড়ি অঞ্চলে মানুষের জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রস্তুতি নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
চট্টগ্রাম ও ঢাকা অঞ্চলে। এছাড়া মাঝারি প্রভাব পড়তে পারে বরিশাল ও খুলনা বিভাগে। বন্যা ও দুর্যোগের শঙ্কা ঈশানের প্রভাবে উজান ও দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারী বর্ষণ হলে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও সুরমা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিডব্লিউওটি আরও জানিয়েছে, এই সময়কালে নদীগুলোর পানি হঠাৎ বাড়তে পারে, যার ফলে পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ঘটতে পারে। পাহাড়ধসের আশঙ্কা সিলেট ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে ভারী ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীরা যেন অস্থায়ী আশ্রয়ে চলে যান এবং স্থানীয় প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বজ্রপাত এবং দমকা
হাওয়ার পূর্বাভাস ঈশানের সময় বজ্রপাতের হারও বেশি থাকবে, বিশেষ করে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে। দমকা হাওয়া বৃষ্টিবাহী এলাকায় বিরাজ করতে পারে, যদিও বড় কোনো ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের আশঙ্কা নেই। আবহাওয়ার ধরন: অধিকাংশ এলাকায় আংশিক থেকে মেঘলা, উত্তরাঞ্চলে সম্পূর্ণ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। তাপমাত্রা: উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে আবহাওয়া আরামদায়ক থাকবে। দক্ষিণাঞ্চলে ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে, বিশেষ করে বৃষ্টি না থাকলে। জরুরি করণীয় ও প্রস্তুতি বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উচ্চ সতর্কতায় থাকতে বলা হয়েছে। নিচু এলাকাগুলোতে নজরদারি, বাঁধ ও কাঁচা রাস্তার স্থিতিশীলতা পরীক্ষা, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাসের প্রতিফলন এর আগেও আবহাওয়াবিদরা হিমালয়
ঘেঁষা অঞ্চলে ‘মেঘের উড়ন্ত নদী’ (Atmospheric River) গঠনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। ঈশান এই প্রবণতার একটি শক্তিশালী রূপ হতে পারে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় বৃষ্টির নতুন ধারাবাহিকতা তৈরি করছে। বিশ্লেষকদের মতে, বৃষ্টিবলয় ‘ঈশান’ বাংলাদেশের জন্য নতুন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলেও, এটি যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সক্রিয় হয়, তবে উত্তরাঞ্চল ও পাহাড়ি অঞ্চলে মানুষের জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রস্তুতি নেওয়া এখন সময়ের দাবি।