চরম প্রতিকূলতাতেও অটুট জনসমর্থন: আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন চায় না দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ৪:৪৫ অপরাহ্ণ

আরও খবর

চরম প্রতিকূলতাতেও অটুট জনসমর্থন: আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন চায় না দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৪:৪৫ 16 ভিউ
অন্তর্বর্তী সরকারের নিষেধাজ্ঞা, শীর্ষ নেতাদের জেল-জরিমানা এবং দলটির বিরুদ্ধে চলমান ব্যাপক নেতিবাচক প্রচারণার মধ্যেও দেশের সাধারণ মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। উল্টো, দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মনে করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ জরুরি। প্রথম আলো পরিচালিত সাম্প্রতিক জনমত জরিপে উঠে এসেছে দলটির এই শক্ত গণভিত্তির চিত্র। জরিপের ফলাফল বলছে, দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ (৬৯.২%) মানুষ শর্তহীন কিংবা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগকে ভোটের মাঠে দেখতে চান। সংকটে অটুট ‘কোর ভোটব্যাংক’ জরিপের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় যেখানে দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং শীর্ষ নেতৃত্ব পলাতক বা দণ্ডপ্রাপ্ত, সেখানেও ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ ‘বিনা শর্তে’ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে

চান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চরম দুঃসময়েও প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষের এই শর্তহীন সমর্থন প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগের ‘ভোটব্যাংক’ বা তৃণমূলের ভিত্তি অত্যন্ত মজবুত। শত প্রতিকূলতা ও নেতৃত্বের অনুপস্থিতি দলটির এই বিশাল সমর্থকগোষ্ঠীকে টলাতে পারেনি। ‘মাইনাস ফর্মুলা’ প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ জরিপের ফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বিরাজনীতিকরণ বা কোনো দলকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৯ দশমিক ২ শতাংশই মনে করেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের বাইরে রাখা উচিত নয়। কেউ কেউ সংস্কার বা ক্ষমা প্রার্থনার কথা বললেও, দিনশেষে তারা ব্যালট পেপারে নৌকার উপস্থিতি চান। এটি প্রমাণ করে যে, অন্তর্বর্তী সরকার দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করলেও (মে মাসে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী),

সাধারণ জনগণ সেই সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি গ্রহণ করেনি। তারা একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। গণতান্ত্রিক অপরিহার্যতা ২৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন ‘শান্তি ও সংস্কার’ হলে এবং ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন ‘ক্ষমা চাইলে’ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। এই পরিসংখ্যান ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন দলটির শুভানুধ্যায়ীরা। এর অর্থ হলো, জনগণ আওয়ামী লীগকে বাতিল করে দেয়নি, বরং তারা দলটির কাছ থেকে ইতিবাচক পরিবর্তন ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে। এটি দলটির ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটি বড় সুযোগ ও রোডম্যাপ। ভবিষ্যৎ রাজনীতির ইঙ্গিত যদিও জরিপে দলটির জয়ের সম্ভাবনা কম দেখানো হয়েছে, কিন্তু রাজনীতির মাঠে টিকে থাকার বা প্রাসঙ্গিক থাকার যে পরীক্ষা, তাতে আওয়ামী

লীগ সফল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী ঝড়ের মধ্যেও দেশের এক বিশাল অংশের মানুষের সমর্থন প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ এখনো একটি অপরিহার্য শক্তি। জনগণ প্রতিহিংসার বদলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সব দলের সহাবস্থানকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যা : নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর দেশে এখন কিসের রাজত্ব চলছে? ঝিনাইদহ শত্রুমুক্ত: পশ্চিমাঞ্চলীয় রণাঙ্গনে যৌথবাহিনীর জয়যাত্রা অব্যাহত চরম প্রতিকূলতাতেও অটুট জনসমর্থন: আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন চায় না দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির মারপ্যাঁচ: ঢাকায় মার্কিন যুদ্ধ-বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতি মাদারীপুরে ৬ বছরের মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ফ্যাসিবাদ’ ও ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েমের অভিযোগ পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক সখ্য: জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতি চরম ঝুঁকির মুখে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর ছয় বছরের শান্তি, মাত্র ছয় মাসেই নরক : নোবেলজয়ী ইউনুস সরকারের আরেকটি অর্জন সুন্দরবনে! সুদখোরের দেশে রিকশাচালকের মৃত্যু : যে লোক নোবেল পেয়েছিল গরিবের রক্ত চুষে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতৃত্বকে দুর্বল করতে পরিকল্পিত আগুন–সন্ত্রাস? জামায়েতকে ভোট না দিলে পিঠের চামড়া থাকবে না —ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন প্রার্থীরা বহুদিন ধরে বিএনপি–জামায়াত এবং সুশীল সমাজের একটি অংশ ২০১৩ সালের ৫ মে আওয়ামী লীগ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দিনেদুপুরে মা মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা GSOMIA এবং ACSA চুক্তি সরাসরি নাকচ, ফলে আমেরিকার সাথে পূর্ণ দ্বৈরথ শেখ হাসিনার! ‘দেশ ধ্বংস করে ফেলছে এই স্টুপিড জেনারেশন’—জুলাই থেকে চলমান অরাজকতায় অতিষ্ঠ জনতা, ভাইরাল নারীর ক্ষোভ ঢাকার ডেমরায় ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা মাইকিং নিষিদ্ধ, রাতের আঁধারে তড়িঘড়ি দাফন: তবুও দমানো গেল না যুবলীগ নেতা রেজাউলের জানাজার জনস্রোত ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১