ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
আইনশৃঙ্খলার অজুহাতে আবহমান বাংলার সংস্কৃতির ওপর পরিকল্পিত আঘাত—ফরিদপুরে বন্ধ ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব!
আওয়ামী লীগবিহীন নির্বাচন, একটি আত্মঘাতী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত
মহাজন ইউনুসের গণতন্ত্র : ১২২টি ফাঁদ ও একটি ভোট
রাঙ্গুনিয়ায় সংখ্যালঘুদের বসতঘরে বাইরে থেকে দরজা আটকে আগুন: ঘটনাস্থল থেকে ব্যানার উদ্ধার
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক
রাজনৈতিক শিষ্টাচারের অনন্য নজির: খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন সজীব ওয়াজেদ জয়
ক্ষমতার দাবার চালে অসুস্থ খালেদা জিয়া: মানবিকতার চেয়ে যখন রাজনৈতিক স্বার্থই মুখ্য!
চরমোন্তাজে এসআই রাতুলের ঘুষ বাণিজ্যের রামরাজত্ব: জিম্মি আ.লীগ পরিবার, রেহাই পাচ্ছে না নারীরাও
পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রাতুল এখন ওই এলাকার এক মূর্তমান আতঙ্কের নাম। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি যেন পরিণত হয়েছেন ঘুষ বাণিজ্যের এক লাগামহীন ‘পাগলা ঘোড়া’য়। তার বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও হয়রানিতে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
চরমোন্তাজ ইউনিয়নে এসআই রাতুল তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন আত্মগোপনে বা কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছেন, তখন এই সুযোগকে হাতিয়ার
হিসেবে ব্যবহার করছেন এসআই রাতুল। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বেছে বেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের টার্গেট করছেন এবং মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা আদায় করছেন। এসআই রাতুলের লোলুপ দৃষ্টি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না পলাতক নেতাকর্মীদের পরিবারের নারী সদস্যরাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান, যেসব নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাদের বাড়িতে হানা দিচ্ছেন এসআই রাতুল। তিনি বাড়িতে ঢুকে নারীদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার বা অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি ফ্যামিলির মহিলা সদস্যদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন এবং তাদের লাঞ্ছিত করতেও পিছপা হন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার স্বামী
৫ তারিখের পর থেকে বাড়িছাড়া। এই সুযোগে এসআই রাতুল বাড়িতে এসে চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে তিনি আমাকে হেনস্তা করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমরা এখন নিজ ঘরেও নিরাপদ নই।” এসআই রাতুলের চাঁদাবাজির যেন কোনো শেষ নেই। একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ করেছেন, তারা ঝামেলা এড়াতে এসআই রাতুলের দাবি করা মোটা অংকের টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু টাকা নিয়েও তিনি তাদের শান্তিতে থাকতে দিচ্ছেন না। কিছুদিন পর পরই তিনি পুনরায় বাসাবাড়িতে গিয়ে হানা দেন এবং নতুন করে হয়রানি শুরু করেন। টাকা দিয়েও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না ভুক্তভোগীরা। এসআই রাতুলের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না অরাজনৈতিক ব্যক্তিরাও। কেবল পরিবারের সদস্য রাজনীতিতে যুক্ত থাকার
কারণে সাধারণ ব্যবসায়ী ও বয়োজ্যেষ্ঠদেরও তিনি নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করছেন। এক ছাত্রলীগ কর্মীর বাবা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি একজন সামান্য ব্যবসায়ী, রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু আমার ছেলে ছাত্রলীগ করায় এসআই রাতুল নিয়মিত আমার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন। চাঁদা দেয়ার পরেও তিনি আমাকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছেন না, উল্টো নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।” এসআই রাতুলের বিরুদ্ধে এমন শত শত অভিযোগ থাকলেও ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এই অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার হাত থেকে বাঁচতে এবং তার এই নগ্ন ঘুষ বাণিজ্য ও নারী নির্যাতনের বিচার চেয়ে জেলা পুলিশ সুপার ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
হিসেবে ব্যবহার করছেন এসআই রাতুল। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বেছে বেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের টার্গেট করছেন এবং মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা আদায় করছেন। এসআই রাতুলের লোলুপ দৃষ্টি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না পলাতক নেতাকর্মীদের পরিবারের নারী সদস্যরাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান, যেসব নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাদের বাড়িতে হানা দিচ্ছেন এসআই রাতুল। তিনি বাড়িতে ঢুকে নারীদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার বা অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি ফ্যামিলির মহিলা সদস্যদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন এবং তাদের লাঞ্ছিত করতেও পিছপা হন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার স্বামী
৫ তারিখের পর থেকে বাড়িছাড়া। এই সুযোগে এসআই রাতুল বাড়িতে এসে চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে তিনি আমাকে হেনস্তা করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমরা এখন নিজ ঘরেও নিরাপদ নই।” এসআই রাতুলের চাঁদাবাজির যেন কোনো শেষ নেই। একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ করেছেন, তারা ঝামেলা এড়াতে এসআই রাতুলের দাবি করা মোটা অংকের টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু টাকা নিয়েও তিনি তাদের শান্তিতে থাকতে দিচ্ছেন না। কিছুদিন পর পরই তিনি পুনরায় বাসাবাড়িতে গিয়ে হানা দেন এবং নতুন করে হয়রানি শুরু করেন। টাকা দিয়েও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না ভুক্তভোগীরা। এসআই রাতুলের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না অরাজনৈতিক ব্যক্তিরাও। কেবল পরিবারের সদস্য রাজনীতিতে যুক্ত থাকার
কারণে সাধারণ ব্যবসায়ী ও বয়োজ্যেষ্ঠদেরও তিনি নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করছেন। এক ছাত্রলীগ কর্মীর বাবা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি একজন সামান্য ব্যবসায়ী, রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু আমার ছেলে ছাত্রলীগ করায় এসআই রাতুল নিয়মিত আমার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন। চাঁদা দেয়ার পরেও তিনি আমাকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছেন না, উল্টো নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।” এসআই রাতুলের বিরুদ্ধে এমন শত শত অভিযোগ থাকলেও ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এই অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার হাত থেকে বাঁচতে এবং তার এই নগ্ন ঘুষ বাণিজ্য ও নারী নির্যাতনের বিচার চেয়ে জেলা পুলিশ সুপার ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



