গুম কমিশনে সাক্ষ্যদাতা জঙ্গিরাই আবার বোমা বানাচ্ছে, যাদের সাক্ষ্যে জঙ্গিবিরোধী পুলিশ কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ৪:৪২ অপরাহ্ণ

আরও খবর

ইউনুস সরকারের অধীনে সংখ্যালঘু হওয়া মানেই মৃত্যুর অপেক্ষা।

বাঙালী নারীদের উপর পাক হানাদারদের বর্বরতার ইতিহাস ও পরবর্তীতে হানাদারদের ক্যাম্প উড়িয়ে দেবার বিরত্ব গাঁথা শোনালেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শিশু মিয়া

যে দুইদিনই বাঁচি দেশটাত যেনো শান্তিতে থাকতে পারি” – বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজা বেগম —

রাজনীতির বাঁকবদল: শেখ হাসিনার মানবিকতা বনাম ঐতিহাসিক তিক্ততা—একটি বিশ্লেষণধর্মী পর্যালোচনা

ইউনুস সরকারের অধীনে সংখ্যালঘু হওয়া মানেই মৃত্যুর অপেক্ষা।

ইন্ডিয়া যদি আমাদের সাহায্য না করতো, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পারতো না দেশটা স্বাধীন করতে” –বীর মুক্তিযোদ্ধা

ময়মনসিংহের পর এবার রাজবাড়ী: চাঁদাবাজির অভিযোগে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গুম কমিশনে সাক্ষ্যদাতা জঙ্গিরাই আবার বোমা বানাচ্ছে, যাদের সাক্ষ্যে জঙ্গিবিরোধী পুলিশ কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৪:৪২ 8 ভিউ
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসার আড়ালে আত্মঘাতী বোমা তৈরির সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ *উদ্ধার তৈরি বোমা, শত শত লিটার রাসায়নিক, জিহাদি বই ও অস্ত্র উপকরণ *মূল অভিযুক্ত শেখ আল আমিন আগেও নব্য জেএমবির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন *জঙ্গি নেই’ বয়ানের ভাঙন: কেরানীগঞ্জ বিস্ফোরণে উন্মোচিত ভয়াবহ বাস্তবতা *উগ্রবাদী নেই বলা হলেও মাদ্রাসায় মিলল টিএটিপি র‍্যাবের সাবেক কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন ছিলেন বাংলাদেশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানের অন্যতম মাঠপর্যায়ের মুখ। ২০১৬ সালের হলি আর্টিজান হামলার পর যেসব ভয়ংকর জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়েছিল, সেগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযান পরিচালনা করেছিলেন তিনিই। কিন্তু ৫ই আগস্টের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর গুম কমিশনে সেই জঙ্গিদেরই সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ভোররাতে গ্রেপ্তার হয়ে আজ কারাগারে আলেপ উদ্দিন। আশ্চর্যজনকভাবে, যাদের ধরতে তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন,

তাদের অনেকেই এখন জামিনে মুক্ত—এবং আবার সংগঠিত হচ্ছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে মাদ্রাসার আড়ালে বিস্ফোরক তৈরির সাম্প্রতিক ঘটনা সেই ভয়াবহ বাস্তবতাকেই সামনে এনে দিয়েছে। হলি আর্টিজানের পর জঙ্গি দমন ও আলেপের ভূমিকা ২০১৬ সালের হলি আর্টিজান হামলার পর আওয়ামী লীগ সরকার জঙ্গিবাদ নির্মূলে সর্বোচ্চ কঠোরতা দেখায়। র‍্যাব ও পুলিশের বিশেষ ইউনিটগুলো দেশজুড়ে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে। নব্য জেএমবি ও জেএমবির একাধিক আস্তানা ধ্বংস হয়, বহু জঙ্গি নিহত ও গ্রেপ্তার হয়। আলেপ উদ্দিন সেই সময় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অভিযানে অংশ নেন এবং জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভাঙতে কার্যকর ভূমিকা রাখেন। কয়েক বছর বড় ধরনের জঙ্গি হামলা না হওয়ায় তখন রাষ্ট্রীয়ভাবে দাবি করা হয়—জঙ্গিবাদের কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ৫ই

আগস্টের পর বদলে যাওয়া বয়ান ও শিথিলতা ৫ই আগস্টের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। ইউনুস সরকারের সময় জঙ্গিবাদ প্রশ্নে নতুন একটি বয়ান সামনে আসে—বাংলাদেশে নাকি প্রকৃত অর্থে জঙ্গি নেই, অতীতের সবই ছিল নাটক। এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপটেই একের পর এক ভয়ংকর জঙ্গি জামিনে মুক্তি পেতে থাকে। যাদের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী হামলা, বিস্ফোরক মজুত ও নাশকতার অভিযোগ ছিল, তারাই আবার সমাজে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা শুরু করে। একই সঙ্গে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে যুক্ত কর্মকর্তারা একে একে প্রশ্নবিদ্ধ হতে থাকেন। জঙ্গির অভিযোগে আলেপ উদ্দিন গ্রেপ্তার এই প্রেক্ষাপটেই আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে আসে। জেএমবি সদস্য শেখ আল আমিন শেখ রাজিব এবং উগ্রবাদী ওয়ালিউল্লাহ জনি ট্রাইব্যুনাল ও

গুম কমিশনে আলেপের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। এই দুই ব্যক্তি অতীতে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি ছিলেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই আলেপ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কেরানীগঞ্জ বিস্ফোরণ: ‘জঙ্গি নেই’ বয়ানের পতন জঙ্গিবাদ নেই—এই বক্তব্যের ভয়াবহ বিপরীত চিত্র সামনে আসে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে ‘উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে চার কক্ষের বাড়িটির দুটি কক্ষ সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। অন্য কক্ষগুলোতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম ও তাদের দুই শিশু সন্তান আহত হন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, ওই মাদ্রাসায় আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহৃত টিএটিপি বিস্ফোরক তৈরি করা হচ্ছিল। হাইড্রোজেন

পারঅক্সাইডসহ বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করে এই বিস্ফোরক প্রস্তুত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি তৈরি বোমা, পাঁচটি ইলেকট্রিক বোমা সদৃশ বস্তু, ৩৯৪ লিটার তরল রাসায়নিক, ২৭ কেজি পাউডার জাতীয় পদার্থ, ৫০০ গ্রাম লোহার বল ও তারকাঁটা, দুটি শটগানের কার্তুজ, একটি টাকা গণনার মেশিন, এক জোড়া হ্যান্ডকাফ, ১৭টি জিহাদি বইসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম। আল আমিন: পুরোনো জঙ্গি, নতুন করে সক্রিয় এই ঘটনার মূল হোতা হিসেবে উঠে আসে মাদ্রাসাটির পরিচালক শেখ আল আমিনের নাম। তিনি নতুন কেউ নন। ২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জ থেকে র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করেছিল নব্য জেএমবির সদস্য সন্দেহে। সে সময় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

রিমান্ড শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, বিস্ফোরণের আগের রাতে আল আমিন সারারাত বসে বোমা তৈরি করেন। ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমান এবং সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর তিনি আহত স্ত্রী ও সন্তানকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান। পরিবার ও সহযোগীদের ভূমিকা আদালতে আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম দাবি করেন, ঘটনার সঙ্গে তার ভাই-ভাবি বা আত্মীয়রা জড়িত নন। তিনি বলেন, আল আমিন দ্বিতীয়বার জেল থেকে বের হয়ে নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন এবং এক–দেড় বছর স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন। তবে তিনি স্বীকার করেন, আল আমিন তাকে নির্যাতন করতেন এবং তার ফোন পরীক্ষা করলে অনেক তথ্য বের হতে পারে। পুলিশ জানায়, আছিয়া ছাড়াও

তার ভাবি আসমা ও আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জঙ্গি নেটওয়ার্ক ও মামলা পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেছে। মামলায় আল আমিনসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও আল আমিন পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে শাহীন ওরফে আবু বকর ওরফে মুসা ওরফে ডিব্বা সুলতান, আমিনুর ওরফে দর্জি আমিন এবং শাফিয়ার রহমান ফকির। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, তাদের মোবাইল ফোন ও কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। এই পুরো ঘটনার পর আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। যেসব ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল ও গুম কমিশনে অভিযোগ করেছে, তারাই আজ আবার জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগে আলোচনায়। বিশ্লেষকদের মতে, আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিশোধমূলক হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, অতীতে তার নেতৃত্বাধীন অভিযানে এসব জঙ্গির নেটওয়ার্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রাষ্ট্রের জন্য বড় সতর্কবার্তা কেরানীগঞ্জের বিস্ফোরণ স্পষ্ট করে দিয়েছে—জঙ্গিবাদ কোনো অতীত অধ্যায় নয়। জামিনে মুক্ত জঙ্গিরাই আজ সবচেয়ে বড় হুমকি। আর যদি জঙ্গিদের বক্তব্যের ওপর ভর করে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে যুক্ত কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানো হয়, তাহলে নিরাপত্তা ব্যবস্থাই দুর্বল হয়ে পড়বে। আলেপ উদ্দিন কারাগারে, আর আল আমিনের মতো জঙ্গিরা পলাতক—এই বৈপরীত্য রাষ্ট্রের জন্য এক ভয়ংকর সতর্কবার্তা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নিউ-জার্সিতে হাসপাতালের পানিতে মরণঘাতী ব্যাকটেরিয়া, মৃত ২ প্রেমের প্রস্তাবে ‘না’, অতঃপর বন্দুক হামলা ইউনুস সরকারের অধীনে সংখ্যালঘু হওয়া মানেই মৃত্যুর অপেক্ষা। গুম কমিশনে সাক্ষ্যদাতা জঙ্গিরাই আবার বোমা বানাচ্ছে, যাদের সাক্ষ্যে জঙ্গিবিরোধী পুলিশ কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার বাঙালী নারীদের উপর পাক হানাদারদের বর্বরতার ইতিহাস ও পরবর্তীতে হানাদারদের ক্যাম্প উড়িয়ে দেবার বিরত্ব গাঁথা শোনালেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শিশু মিয়া যে দুইদিনই বাঁচি দেশটাত যেনো শান্তিতে থাকতে পারি” – বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজা বেগম — “যুদ্ধের আগেই বাঙালি সৈনিকদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটা ছড়ায় গেছে, বঞ্চনাটা এত বেশি হয়েছে যে কোন বাঙালি সৈনিক এর (মুক্তিযুদ্ধের) বাইরে থাকেনি” –বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান চৌধুরী ডেভিল হান্টের নামে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক মব সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে মিছিলে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ও শেখ হাসিনার ওপর প্রাণঘাতী হামলা রাজনীতির বাঁকবদল: শেখ হাসিনার মানবিকতা বনাম ঐতিহাসিক তিক্ততা—একটি বিশ্লেষণধর্মী পর্যালোচনা রাজনৈতিক ও ধর্মভিত্তিক সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগঃ বাংলাদেশে গুরুতর মানবিক সংকটের শঙ্কা মার্কিন থিংকট্যাংক সিএফআর-এর স্বতন্ত্র প্রার্থী তাসনিম জারার মনোনয়ন জমায় বাধা: সার্ভার ডাউন দেখিয়ে জামাতী প্রসাশনের ইচ্ছাকৃত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি! একুশে ফেব্রুয়ারি-সরস্বতী পূজার ছুটি বাতিল, সরকারের সিদ্ধান্তে তীব্র বিতর্ক অপ্রতিরোধ্য এক দেয়ালের অবসান ঘটল খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দিন রুমিনসহ ৯ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি জমি বিরোধে সন্ত্রাসী হামলা, কক্সবাজারে যুবদল নেতা খুন বরগুনায় এয়ারগান দিয়ে কারারক্ষীর পাখি শিকার ইউনুস সরকারের অধীনে সংখ্যালঘু হওয়া মানেই মৃত্যুর অপেক্ষা। কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন,জবাবদিহি কোথায়? হাদী হত্যা: দুবাই থেকে ভিডিও বার্তায় নিজেকে নির্দোষ দাবি মাসুদের, দায় চাপালেন জামায়াতের ওপর