
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সুদানে কলেরার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে, প্রাণহানি অন্তত ৪০

ফিলপস প্রদর্শন করলো ডিজিটাল ব্যাংকিং উদ্ভাবন

‘পশ্চিমতীর স্টাইলে’ ইউক্রেন দখলের রুশ-মার্কিন পরিকল্পনা ফাঁস

পশ্চিমতীরে আরও বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা ইসরাইলের

স্বাধীনতা দিবস শুধু উদযাপন নয়, দায়িত্বও মনে করিয়ে দেয়: আফ্রিদি

‘ট্রাম্প পুতিন বৈঠকে জেলেনস্কির উপস্থিতি প্রয়োজন নেই’

‘আমাকে বাঁচাও’ লিখে প্রেমিকার মেসেজ, এরপরই মিলল মরদেহ
গাজায় মৃত্যুর মুখে হাজার হাজার শিশু

ইসরাইলি আগ্রাসন ছাড়াও গাজার মাটিতে জন্ম নিয়েছে আরেক নৃসংশতা- ‘ক্ষুধার লড়াই’। যার কবলে পড়ে একের পর এক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে শিশুরা। ইসরাইলের দীর্ঘ মেয়াদি অবরোধে খাবার নেই, শিশুদের খাওয়ানো একটিও দুধের টিন নেই, ওষুধ কিংবা শুশ্রূষার আশ্বাসও নেই সেখানে। যুদ্ধের বোমা বা গুলির আঘাতে নয়, শিশুরা মরছে নিঃশব্দে- ক্ষুধা, অপুষ্টি আর দুধের অভাবে। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা। গাজায় ইতিমধ্যেই ৬৬ শিশু অপুষ্টিতে মারা গেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতি একই থাকলে আরও হাজার হাজার শিশু মারা যেতে পারে বলেও সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আলজাজিরা।
গত কয়েক মাস ধরে গাজায় খাদ্য, পানি, শিশুখাদ্য, বিশেষ করে গুঁড়ো দুধের
টিন এবং অন্যান্য জরুরি পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে ইসরাইল। ফলে দুগ্ধদানে অক্ষম মায়েরা শিশুদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য ন্যূনতম খাবারটুকুও দিতে পারছেন না তাদের সন্তানদের। গাজার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের মুখপাত্র খালিল আল-দাকরান আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘গাজায় এখন শিশুদের জন্য দুধের একটি টিনও নেই।’ খাদ্যের অভাবে কমপক্ষে ৬০ হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। চিকিৎসকারা জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহে তীব্র অপুষ্টির ঘটনা ভয়াবহ হারে বেড়েছে। খাদ্যের মারাত্মক সংকটে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গাজার সবচেয়ে দুর্বল ও ছোট্ট শিশুরা। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজার ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী কমপক্ষে ৫,০০০ শিশুকে তীব্র
অপুষ্টিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৬৬ শিশু মারা গেছে। ইসরাইলের ভয়াবহ হামলায় হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা সেবাও ভেঙে পড়েছে। ব্রিটেন থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক নার্স হ্যানা গ্রেস প্যান আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালগুলো পুরোপুরি অচল হয়ে গেছে। অনেক শিশু ও রোগী বিস্ফোরণে পুড়ে যাওয়া বা অঙ্গহানির মতো চরম যন্ত্রণাদায়ক আঘাত নিয়ে কাতরাচ্ছে, কিন্তু তাদের ব্যথা নিবারণের জন্য একফোঁটা ওষুধও নেই।’ সোমবার গাজায় চলমান ভয়াবহ মানবিক সংকট মোকাবিলায় ইসরাইলকে অবিলম্বে সব প্রবেশপথ খুলে দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। তিনি বলেছেন, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় চরম সীমাবদ্ধতার কারণে গাজার প্রতি পাঁচজন মানুষের মধ্যে একজন ‘বিপর্যয়কর মাত্রার ক্ষুধায় ভুগছেন।
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের জীবন বাঁচাতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সম্প্র্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জীবন বাঁচাতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করাই এখন একমাত্র উপায়।’ এদিকে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের বর্বরতার অবসান চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই দিনে ট্রাম্পও জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের যে কোনো সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে। এদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার তোয়াক্কা না করে গাজায় অবিরত হামলা চালাচ্ছে বর্বর ইসরাইলি সেনারা। মঙ্গলবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে অন্তত ১১৬
জন নিহত এবং ৪৬৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া শুধু মঙ্গলবার সকাল থেকেই ৬০ জন নিহত হয়েছেন। মার্চের শেষের দিকে ইসরাইল সমর্থিত মার্কিন সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের সাহায্য কেন্দ্রগুলোতে ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৬,৬৪৭ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১,৩৪,১০৫ জনের বেশি।
টিন এবং অন্যান্য জরুরি পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী প্রবেশে বাধা দিয়ে আসছে ইসরাইল। ফলে দুগ্ধদানে অক্ষম মায়েরা শিশুদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য ন্যূনতম খাবারটুকুও দিতে পারছেন না তাদের সন্তানদের। গাজার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের মুখপাত্র খালিল আল-দাকরান আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘গাজায় এখন শিশুদের জন্য দুধের একটি টিনও নেই।’ খাদ্যের অভাবে কমপক্ষে ৬০ হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। চিকিৎসকারা জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহে তীব্র অপুষ্টির ঘটনা ভয়াবহ হারে বেড়েছে। খাদ্যের মারাত্মক সংকটে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গাজার সবচেয়ে দুর্বল ও ছোট্ট শিশুরা। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজার ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী কমপক্ষে ৫,০০০ শিশুকে তীব্র
অপুষ্টিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৬৬ শিশু মারা গেছে। ইসরাইলের ভয়াবহ হামলায় হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা সেবাও ভেঙে পড়েছে। ব্রিটেন থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক নার্স হ্যানা গ্রেস প্যান আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ‘হাসপাতালগুলো পুরোপুরি অচল হয়ে গেছে। অনেক শিশু ও রোগী বিস্ফোরণে পুড়ে যাওয়া বা অঙ্গহানির মতো চরম যন্ত্রণাদায়ক আঘাত নিয়ে কাতরাচ্ছে, কিন্তু তাদের ব্যথা নিবারণের জন্য একফোঁটা ওষুধও নেই।’ সোমবার গাজায় চলমান ভয়াবহ মানবিক সংকট মোকাবিলায় ইসরাইলকে অবিলম্বে সব প্রবেশপথ খুলে দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। তিনি বলেছেন, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় চরম সীমাবদ্ধতার কারণে গাজার প্রতি পাঁচজন মানুষের মধ্যে একজন ‘বিপর্যয়কর মাত্রার ক্ষুধায় ভুগছেন।
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের জীবন বাঁচাতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সম্প্র্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জীবন বাঁচাতে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করাই এখন একমাত্র উপায়।’ এদিকে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের বর্বরতার অবসান চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই দিনে ট্রাম্পও জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের যে কোনো সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে। এদিকে আন্তর্জাতিক সমালোচনার তোয়াক্কা না করে গাজায় অবিরত হামলা চালাচ্ছে বর্বর ইসরাইলি সেনারা। মঙ্গলবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে অন্তত ১১৬
জন নিহত এবং ৪৬৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া শুধু মঙ্গলবার সকাল থেকেই ৬০ জন নিহত হয়েছেন। মার্চের শেষের দিকে ইসরাইল সমর্থিত মার্কিন সংস্থা গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের সাহায্য কেন্দ্রগুলোতে ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৬,৬৪৭ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১,৩৪,১০৫ জনের বেশি।