ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নেট দুনিয়ায় ভাসছে শিল্পা শেঠিকে জড়িয়ে তারেকের নাম
ডিএমপির দাবি খারিজ: মেঘালয়ে শরীফ ওসমান হত্যায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
‘হাসিনা সঠিক, এরা সবাই রাজাকার’—ফেসবুকে বিস্ফোরক মন্তব্য নীলা ইসরাফিলের
ধানমন্ডি ৩২-এর বাড়ি ভাঙচুরকারী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ২ নেতাকে গণপিটুনি
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের দাবি শেখ হাসিনার: ড. ইউনূসকে ভোটের মাঠে চ্যালেঞ্জ
ব্রিগেডিয়ার ‘বন্ধু’র দাপট আর আঞ্চলিকতার দায়ে অডিশনে বাদ: সেই ‘বিতর্কিত’ মিতুই আজ জাতির নসিহতকারী!
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের দাবি শেখ হাসিনার: ড. ইউনূসকে ভোটের মাঠে চ্যালেঞ্জ
গরিবের বন্ধু’র আড়ালে ইউরোপে ড. ইউনূসের হাজার কোটি টাকার গুপ্ত সাম্রাজ্য: নথিপত্রে ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য
করস্বর্গে পদচারণা: কর ফাঁকির নিরাপদ রুট লুক্সেমবার্গে গ্রামীণ ক্রেডিট এগ্রিকোল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. ইউনূস; তহবিলের আকার প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা।
পুঁজি পাচারের অভিযোগ: ঢাকার ‘ইউনূস সেন্টার’ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ফ্রান্সের ‘ইউনূস স্পোর্টস হাব’-এর ৫২ শতাংশ শেয়ারের মালিক! বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন।
সমাজসেবা নাকি ব্যবসা: এনজিওর আড়ালে ফ্রান্সে পুরোদস্তুর ‘বিজনেস কনসাল্টিং’ ও বাণিজ্যিক কোম্পানি পরিচালনা।
সন্দেহজনক পদত্যাগ: আইনি জটিলতার আশঙ্কায় ২০২৫ সালের এপ্রিলে ২০০ কোটি টাকার ড্যানোন কমিউনিটিসের প্রশাসকের পদ ছাড়ছেন তিনি।
স্টাফ রিপোর্টার | প্যারিস ও ঢাকা
বিশ্বমঞ্চে তিনি ‘গরিবের ব্যাংকার’, দারিদ্র্য বিমোচনের তাত্ত্বিক। কিন্তু সেই ইমেজের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক পুরোদস্তুর করপোরেট ব্যবসায়ী সত্তা। ইউরোপের বিতর্কিত ‘ট্যাক্স হ্যাভেন’ বা করস্বর্গ লুক্সেমবার্গ থেকে শুরু
করে অভিজাত প্যারিস—সর্বত্রই ড. মুহাম্মদ ইউনূস গড়ে তুলেছেন বিশাল এক বাণিজ্যিক ও আর্থিক সাম্রাজ্য। আমাদের হাতে আসা ৪২ পৃষ্ঠার গোপন আইনি নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সমাজসেবার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে তিনি ইউরোপে এমন সব কোম্পানি ও ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত, যার নেপথ্যে রয়েছে হাজার কোটি টাকার লেনদেন এবং বাংলাদেশ থেকে পুঁজি পাচারের গুরুতর সন্দেহ। নথিপত্র বলছে, ২০০৮ সালে কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য কুখ্যাত লুক্সেমবার্গে নিবন্ধিত হয় ‘গ্রামীণ ক্রেডিট এগ্রিকোল মাইক্রোফাইন্যান্স ফাউন্ডেশন’। এই ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন ছিল ৫ কোটি ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা)। বিস্ময়কর তথ্য হলো, এই বিশাল তহবিলে ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান ‘গ্রামীণ ট্রাস্ট’ বিনিয়োগ করেছে মাত্র ১,০০০ ইউরো। অথচ
নামমাত্র এই অর্থ দিয়েই তিনি ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে ক্ষমতার কেন্দ্রে বসে আছেন। বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, লুক্সেমবার্গের মতো অস্বচ্ছ আর্থিক লেনদেনের কেন্দ্রে কেন এই ফাউন্ডেশন খোলা হলো? এর মাধ্যমে কি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে? অনুসন্ধানের সবচেয়ে বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া গেছে ফ্রান্সের ‘ইউনূস স্পোর্টস হাব’ (Yunus Sports Hub) নামক প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে। নথিপত্রের ২৩ থেকে ৪১ নম্বর পৃষ্ঠা পর্যালোচনায় দেখা যায়, এটি কোনো দাতব্য সংস্থা নয়, বরং ফ্রান্সের আইনে এটি একটি ‘SAS’ বা বাণিজ্যিক কোম্পানি। চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, এই ফরাসি কোম্পানির ৫২ শতাংশ শেয়ারের মালিক ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত ‘ইউনূস সেন্টার’। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, দেশ থেকে বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগ
কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। প্রশ্ন উঠছে— ১. একটি বাংলাদেশি অলাভজনক ট্রাস্ট (ইউনূস সেন্টার) কীভাবে ফ্রান্সের বাণিজ্যিক কোম্পানির মালিকানা কেনে? ২. এই শেয়ার কেনার অর্থ কি বৈধ পথে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে পাঠানো হয়েছে, নাকি হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে? প্রতিষ্ঠানটি খেলাধুলার নামে মূলত স্পোর্টস কনসাল্টিং ব্যবসা করছে, যার লভ্যাংশ বা অর্থের গতিপথ সম্পর্কে বাংলাদেশে কোনো স্বচ্ছ ধারণা নেই। প্যারিসভিত্তিক ‘ড্যানোন কমিউনিটিস’-এর নথিপত্রে দেখা যায়, প্রায় ২০০ কোটি টাকার (১ কোটি ৬০ লাখ ইউরো) মূলধনের এই প্রতিষ্ঠানে ড. ইউনূস একজন প্রশাসক বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। কিন্তু ইউরোপে যখন তাঁর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই তিনি পিছু হটতে শুরু করেছেন। নথিপত্র অনুযায়ী, আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২৫
তারিখে তিনি এই পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। হঠাৎ এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কি আইনি ঝামেলা থেকে নিজেকে বাঁচানোর কৌশল? নোবেল পুরস্কারের খ্যাতিকে পুঁজি করে ‘ইউনূস ফ্রান্স’ এবং জার্মানির ‘দ্য গ্রামীণ ক্রিয়েটিভ ল্যাব’-এর মাধ্যমে তিনি ইউরোপে একচেটিয়া কনসাল্টিং ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন। নথিপত্রে ‘ইউনূস ফ্রান্স’-কে ব্যবসায়িক পরামর্শক (Business Consulting) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ, ‘সামাজিক ব্যবসা’র মোড়কে তিনি মূলত করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরামর্শ দিয়ে মুনাফা লুটছেন। প্রাপ্ত দলিলাদি প্রমাণ করে, ড. ইউনূস ইউরোপে কেবল একজন সম্মানিত অতিথি নন, তিনি সেখানকার বাণিজ্যিক আইনের আওতায় একজন সক্রিয় ব্যবসায়ী। বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন না হলেও, ইউরোপে ইউরোর পাহাড়ে চড়ে বসা ড. ইউনূসের এই ‘গুপ্ত সাম্রাজ্য’ ও পুঁজি পাচারের
অভিযোগ খতিয়ে দেখা এখন সময়ের দাবি।
করে অভিজাত প্যারিস—সর্বত্রই ড. মুহাম্মদ ইউনূস গড়ে তুলেছেন বিশাল এক বাণিজ্যিক ও আর্থিক সাম্রাজ্য। আমাদের হাতে আসা ৪২ পৃষ্ঠার গোপন আইনি নথিপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সমাজসেবার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে তিনি ইউরোপে এমন সব কোম্পানি ও ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত, যার নেপথ্যে রয়েছে হাজার কোটি টাকার লেনদেন এবং বাংলাদেশ থেকে পুঁজি পাচারের গুরুতর সন্দেহ। নথিপত্র বলছে, ২০০৮ সালে কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য কুখ্যাত লুক্সেমবার্গে নিবন্ধিত হয় ‘গ্রামীণ ক্রেডিট এগ্রিকোল মাইক্রোফাইন্যান্স ফাউন্ডেশন’। এই ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন ছিল ৫ কোটি ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা)। বিস্ময়কর তথ্য হলো, এই বিশাল তহবিলে ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠান ‘গ্রামীণ ট্রাস্ট’ বিনিয়োগ করেছে মাত্র ১,০০০ ইউরো। অথচ
নামমাত্র এই অর্থ দিয়েই তিনি ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে ক্ষমতার কেন্দ্রে বসে আছেন। বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, লুক্সেমবার্গের মতো অস্বচ্ছ আর্থিক লেনদেনের কেন্দ্রে কেন এই ফাউন্ডেশন খোলা হলো? এর মাধ্যমে কি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে? অনুসন্ধানের সবচেয়ে বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া গেছে ফ্রান্সের ‘ইউনূস স্পোর্টস হাব’ (Yunus Sports Hub) নামক প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে। নথিপত্রের ২৩ থেকে ৪১ নম্বর পৃষ্ঠা পর্যালোচনায় দেখা যায়, এটি কোনো দাতব্য সংস্থা নয়, বরং ফ্রান্সের আইনে এটি একটি ‘SAS’ বা বাণিজ্যিক কোম্পানি। চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, এই ফরাসি কোম্পানির ৫২ শতাংশ শেয়ারের মালিক ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত ‘ইউনূস সেন্টার’। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, দেশ থেকে বিদেশে পুঁজি বিনিয়োগ
কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। প্রশ্ন উঠছে— ১. একটি বাংলাদেশি অলাভজনক ট্রাস্ট (ইউনূস সেন্টার) কীভাবে ফ্রান্সের বাণিজ্যিক কোম্পানির মালিকানা কেনে? ২. এই শেয়ার কেনার অর্থ কি বৈধ পথে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে পাঠানো হয়েছে, নাকি হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে? প্রতিষ্ঠানটি খেলাধুলার নামে মূলত স্পোর্টস কনসাল্টিং ব্যবসা করছে, যার লভ্যাংশ বা অর্থের গতিপথ সম্পর্কে বাংলাদেশে কোনো স্বচ্ছ ধারণা নেই। প্যারিসভিত্তিক ‘ড্যানোন কমিউনিটিস’-এর নথিপত্রে দেখা যায়, প্রায় ২০০ কোটি টাকার (১ কোটি ৬০ লাখ ইউরো) মূলধনের এই প্রতিষ্ঠানে ড. ইউনূস একজন প্রশাসক বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। কিন্তু ইউরোপে যখন তাঁর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই তিনি পিছু হটতে শুরু করেছেন। নথিপত্র অনুযায়ী, আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২৫
তারিখে তিনি এই পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। হঠাৎ এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত কি আইনি ঝামেলা থেকে নিজেকে বাঁচানোর কৌশল? নোবেল পুরস্কারের খ্যাতিকে পুঁজি করে ‘ইউনূস ফ্রান্স’ এবং জার্মানির ‘দ্য গ্রামীণ ক্রিয়েটিভ ল্যাব’-এর মাধ্যমে তিনি ইউরোপে একচেটিয়া কনসাল্টিং ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন। নথিপত্রে ‘ইউনূস ফ্রান্স’-কে ব্যবসায়িক পরামর্শক (Business Consulting) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ, ‘সামাজিক ব্যবসা’র মোড়কে তিনি মূলত করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরামর্শ দিয়ে মুনাফা লুটছেন। প্রাপ্ত দলিলাদি প্রমাণ করে, ড. ইউনূস ইউরোপে কেবল একজন সম্মানিত অতিথি নন, তিনি সেখানকার বাণিজ্যিক আইনের আওতায় একজন সক্রিয় ব্যবসায়ী। বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন না হলেও, ইউরোপে ইউরোর পাহাড়ে চড়ে বসা ড. ইউনূসের এই ‘গুপ্ত সাম্রাজ্য’ ও পুঁজি পাচারের
অভিযোগ খতিয়ে দেখা এখন সময়ের দাবি।



