ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিশ্বাসঘাতকতা ও ইতিহাস অস্বীকারই ড. ইউনুসের কৌশল
অ-সরকারের সতেরো মাস : তিনগুণ খেলাপি ঋণ, শূন্য বিনিয়োগ
আলাদিনের প্রদীপ থেকে বেরিয়ে আসা জ্বীনের কবলে যখন খোদ আলাদিনেরাই!
ক্ষমতার দাবার চালে অসুস্থ খালেদা জিয়া: মানবিকতার চেয়ে যখন রাজনৈতিক স্বার্থই মুখ্য!
লাশ নিয়ে টালবাহানা করিও না’—মৃত্যুর আগে সন্তানদের প্রতি রফিকুল্লা আফসারীর আবেগঘন ভিডিও বার্তা
একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাসমতে জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী পূজার ছুটি বাতিল ছুটির এই তালিকা প্রকাশ করেছে
আইনশৃঙ্খলার অজুহাতে আবহমান বাংলার সংস্কৃতির ওপর পরিকল্পিত আঘাত—ফরিদপুরে বন্ধ ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব!
ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে যারা দেশকে জিম্মি করে রেখেছে
জুলাই মাসের সেই রক্তাক্ত দিনগুলোর কথা মনে আছে? রাস্তায় রাস্তায় তরুণদের রক্ত, পুলিশ আর সাধারণ মানুষের লাশ, পুড়ছে গাড়ি, ভাঙচুর হচ্ছে সরকারি স্থাপনা। তখন বলা হয়েছিল এসব হচ্ছে গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকারের জন্য, স্বৈরাচার উৎখাতের জন্য। কিন্তু আজ যখন দেখি পটুয়াখালীর একজন সাধারণ ব্যবসায়ীর দোকানে তালা ঝুলছে শুধুমাত্র এই কারণে যে তিনি চাঁদা দিতে রাজি হননি, তখন বুঝতে বাকি থাকে না আসলে কাদের স্বার্থে সেই দাঙ্গা বাঁধানো হয়েছিল।
তৌহিদুল ইসলাম নামের একজন অসুস্থ মানুষ ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তার অপরাধ কী ছিল? তিনি বিএনপির কোনো নেতাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দিতে পারেননি। আর এই না দেওয়ার শাস্তি হিসেবে তাকে আওয়ামী লীগের দোসর
বলে গালিগালাজ করা হয়েছে, তার দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটাই কি সেই নতুন বাংলাদেশ যার স্বপ্ন দেখিয়ে রাস্তায় নামানো হয়েছিল তরুণদের? শাহিন গাজী নামের যে বিএনপি নেতা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তিনি নির্দ্বিধায় জানিয়ে দিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে যে তিনি একজন মানুষের দোকানে তালা দিয়েছেন। এই যে প্রকাশ্যে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার সাহস, এটা কোথা থেকে আসে? এই সাহস আসে ক্ষমতার নেশা থেকে। যখন কেউ জানে যে তার পেছনে সামরিক বাহিনীর সমর্থন আছে, যখন কেউ জানে যে তার পেছনে একটা অবৈধ সরকার দাঁড়িয়ে আছে, তখনই সে এভাবে নিরীহ মানুষদের ওপর অত্যাচার করার সাহস পায়। মজার ব্যাপার হলো, চাঁদা চাওয়া হয়েছিল
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের নামে। যিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে থাকেন বছরের পর বছর, যার বিরুদ্ধে দেশে নানা অভিযোগ আছে, তার জন্য সংবর্ধনার টাকা তুলতে গিয়ে একজন অসুস্থ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। এই টাকা দিতে না পারলে মানুষকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। ইউনুস আর তার তথাকথিত উপদেষ্টা পরিষদ যে দেশ চালাচ্ছে, সেই দেশে এখন আইন বলে কিছু নেই। পুলিশ অফিসার নিজেই স্বীকার করছেন যে অন্যায়ভাবে কারও দোকানে তালা দেওয়া আইনসম্মত নয়, অথচ সেই অন্যায় যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কারণ এই মুহূর্তে আইন আর শৃঙ্খলা রক্ষার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্ষমতায় থাকা যেকোনো মূল্যে। জুলাইয়ে যখন দেশজুড়ে হত্যাকাণ্ড চলছিল,
তখন বলা হয়েছিল এটা জনগণের আন্দোলন। কিন্তু কোন জনগণের আন্দোলনে বিদেশি রাষ্ট্রের টাকা লাগে? কোন জনগণের আন্দোলনে ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের সহায়তা প্রয়োজন হয়? এখন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে পুরো ব্যাপারটাই ছিল একটা সুপরিকল্পিত ক্যু। নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে এমন একজনকে যিনি গরিব মানুষের কাছে চড়া সুদে টাকা ধার দিয়ে কোটিপতি হয়েছেন। এখন সেই সুদী মহাজন আর তার চাঁদাবাজ সহযোগীরা মিলে দেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে। একদিকে বিএনপির নেতারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা তুলছে, অন্যদিকে ইউনুসের সরকার দেশের সম্পদ বিদেশি প্রভুদের হাতে তুলে দিচ্ছে। সাধারণ মানুষ দুই দিকে থেকেই পিষ্ট হচ্ছে। যেসব তরুণ জুলাইয়ে রাস্তায় নেমেছিল, তারা কি এই দিন
দেখার জন্য নেমেছিল? তারা কি চেয়েছিল যে তাদের আত্মত্যাগকে কাজে লাগিয়ে এক দল চাঁদাবাজ দেশের মানুষের ঘাড়ে চেপে বসবে? তারা কি চেয়েছিল যে আওয়ামী লীগের জায়গায় বিএনপির সন্ত্রাস শুরু হবে? পটুয়াখালীর সেই ব্যবসায়ী হয়তো একজন সাধারণ মানুষ। তার গল্প হয়তো জাতীয় পত্রিকায় খুব বেশি জায়গা পাবে না। কিন্তু তার অভিজ্ঞতা আসলে পুরো দেশের চিত্র তুলে ধরে। এই দেশের লাখো মানুষ এখন এরকম হয়রানির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যারা ক্ষমতায় আছে তারা দেশের সেবা করতে আসেনি, এসেছে নিজেদের পকেট ভরতে। আর সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হলো, এই অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দিয়ে যাচ্ছে সামরিক বাহিনী। যে বাহিনীর কাজ দেশকে রক্ষা করা, সেই বাহিনী দাঁড়িয়ে আছে
এক সুদখোর আর তার চাঁদাবাজ বন্ধুদের পক্ষে। ইতিহাস এই বিশ্বাসঘাতকতা মনে রাখবে। তৌহিদুল ইসলামের দোকানের তালা শুধু একটা তালা নয়। এটা প্রতীক, আমাদের গণতন্ত্রের তালাবন্ধ অবস্থার প্রতীক। এটা প্রতীক, আমাদের আইনের শাসনের মৃত্যুর প্রতীক। এটা প্রতীক, সেই নতুন বাংলাদেশের যেখানে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলা হয় কিন্তু বাস্তবে চলে নগ্ন সন্ত্রাস।
বলে গালিগালাজ করা হয়েছে, তার দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটাই কি সেই নতুন বাংলাদেশ যার স্বপ্ন দেখিয়ে রাস্তায় নামানো হয়েছিল তরুণদের? শাহিন গাজী নামের যে বিএনপি নেতা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তিনি নির্দ্বিধায় জানিয়ে দিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে যে তিনি একজন মানুষের দোকানে তালা দিয়েছেন। এই যে প্রকাশ্যে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার সাহস, এটা কোথা থেকে আসে? এই সাহস আসে ক্ষমতার নেশা থেকে। যখন কেউ জানে যে তার পেছনে সামরিক বাহিনীর সমর্থন আছে, যখন কেউ জানে যে তার পেছনে একটা অবৈধ সরকার দাঁড়িয়ে আছে, তখনই সে এভাবে নিরীহ মানুষদের ওপর অত্যাচার করার সাহস পায়। মজার ব্যাপার হলো, চাঁদা চাওয়া হয়েছিল
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের নামে। যিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে থাকেন বছরের পর বছর, যার বিরুদ্ধে দেশে নানা অভিযোগ আছে, তার জন্য সংবর্ধনার টাকা তুলতে গিয়ে একজন অসুস্থ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। এই টাকা দিতে না পারলে মানুষকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। ইউনুস আর তার তথাকথিত উপদেষ্টা পরিষদ যে দেশ চালাচ্ছে, সেই দেশে এখন আইন বলে কিছু নেই। পুলিশ অফিসার নিজেই স্বীকার করছেন যে অন্যায়ভাবে কারও দোকানে তালা দেওয়া আইনসম্মত নয়, অথচ সেই অন্যায় যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কারণ এই মুহূর্তে আইন আর শৃঙ্খলা রক্ষার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্ষমতায় থাকা যেকোনো মূল্যে। জুলাইয়ে যখন দেশজুড়ে হত্যাকাণ্ড চলছিল,
তখন বলা হয়েছিল এটা জনগণের আন্দোলন। কিন্তু কোন জনগণের আন্দোলনে বিদেশি রাষ্ট্রের টাকা লাগে? কোন জনগণের আন্দোলনে ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের সহায়তা প্রয়োজন হয়? এখন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে পুরো ব্যাপারটাই ছিল একটা সুপরিকল্পিত ক্যু। নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে এমন একজনকে যিনি গরিব মানুষের কাছে চড়া সুদে টাকা ধার দিয়ে কোটিপতি হয়েছেন। এখন সেই সুদী মহাজন আর তার চাঁদাবাজ সহযোগীরা মিলে দেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে। একদিকে বিএনপির নেতারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা তুলছে, অন্যদিকে ইউনুসের সরকার দেশের সম্পদ বিদেশি প্রভুদের হাতে তুলে দিচ্ছে। সাধারণ মানুষ দুই দিকে থেকেই পিষ্ট হচ্ছে। যেসব তরুণ জুলাইয়ে রাস্তায় নেমেছিল, তারা কি এই দিন
দেখার জন্য নেমেছিল? তারা কি চেয়েছিল যে তাদের আত্মত্যাগকে কাজে লাগিয়ে এক দল চাঁদাবাজ দেশের মানুষের ঘাড়ে চেপে বসবে? তারা কি চেয়েছিল যে আওয়ামী লীগের জায়গায় বিএনপির সন্ত্রাস শুরু হবে? পটুয়াখালীর সেই ব্যবসায়ী হয়তো একজন সাধারণ মানুষ। তার গল্প হয়তো জাতীয় পত্রিকায় খুব বেশি জায়গা পাবে না। কিন্তু তার অভিজ্ঞতা আসলে পুরো দেশের চিত্র তুলে ধরে। এই দেশের লাখো মানুষ এখন এরকম হয়রানির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যারা ক্ষমতায় আছে তারা দেশের সেবা করতে আসেনি, এসেছে নিজেদের পকেট ভরতে। আর সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হলো, এই অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দিয়ে যাচ্ছে সামরিক বাহিনী। যে বাহিনীর কাজ দেশকে রক্ষা করা, সেই বাহিনী দাঁড়িয়ে আছে
এক সুদখোর আর তার চাঁদাবাজ বন্ধুদের পক্ষে। ইতিহাস এই বিশ্বাসঘাতকতা মনে রাখবে। তৌহিদুল ইসলামের দোকানের তালা শুধু একটা তালা নয়। এটা প্রতীক, আমাদের গণতন্ত্রের তালাবন্ধ অবস্থার প্রতীক। এটা প্রতীক, আমাদের আইনের শাসনের মৃত্যুর প্রতীক। এটা প্রতীক, সেই নতুন বাংলাদেশের যেখানে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলা হয় কিন্তু বাস্তবে চলে নগ্ন সন্ত্রাস।



