
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নতুন এক লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ

আ.লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন ড. ইউনূস

শহিদ বাবার পাশেই চির নিদ্রায় শায়িত হলেন লামিয়া, জানাজায় মানুষের ঢল

ইউআইইউ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

তদন্ত শেষে মিলবে নির্দোষীদের মুক্তি

ডাস্টবিনে মিলল নবজাতকের লাশ

ধানমন্ডি থেকে সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেফতার
কুতুবদিয়ায় প্রাচীন ঐতিহ্যের হাতছানি

ছয়শ বছরের পুরোনো কুতুবদিয়া দ্বীপ। দৃষ্টিনন্দন এ দ্বীপে রয়েছে প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থাপনা। এর মধ্যে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ বিন্দুতে রয়েছে কুতুব আউলিয়ার দরবার। এ দ্বীপটি সমুদ্রের বুকে জেগে ওঠে চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ দিকে। আর পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে এ দ্বীপে মানুষের পদচারণা শুরু হয়।
ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, হজরত কুতুবুদ্দীন আলী আকবর, আলী ফকিরসহ তাদের কিছু সঙ্গী পর্তুগিজদের মাধ্যমে বিতাড়িত হয়ে এ দ্বীপে এসে আস্তানা গড়ে তুলেছিলেন। পরে আরাকান রাজ্য থেকে নির্যাতিত আরও অনেক মুসলিম এ দ্বীপে আসতে শুরু করেন, যারা এর আগে চট্টগ্রামের আশপাশের অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। স্থানীয় প্রবীণরা জানান, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, পটিয়া, চকরিয়া অঞ্চল থেকে অনেকে কুতুবদিয়া দ্বীপে
পাড়ি জমান। এ দ্বীপে বসতি গড়া নির্যাতিত মুসলিমরা প্রখ্যাত আউলিয়া কুতুবুদ্দীনের নামানুসারে এ দ্বীপের নামকরণ করেন কুতুবুদ্দীন দ্বীপ। পরে দ্বীপটি কুতুবদিয়া নামে স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় সাগরে বিলীন হয়ে কমতে কমতে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে দ্বিপটি। কুতুবদিয়া দ্বীপের ধুরং এলাকায় রয়েছে কুতুব আউলিয়ার দরবার শরিফ। দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শাহ আব্দুল মালেক আল কুতুবী জন্মেছিলেন ১৯১১ সালে। ২০০০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। প্রতিবছর ৭ ফাল্গুন তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লাখো ভক্তের আগমন ঘটে এখানে। দ্বীপটির আরেক মুকুট বাতিঘর। কর্ণফুলী নদীর মোহনার ৪০ মাইল দূরে কুতুবদিয়াতে ১৮২২ সালে বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। জানা যায়, হেয়ার নামের একজন দক্ষ ক্যাপ্টেনের পরিচালনায় ইঞ্জিনিয়ার
জেএইচ টু গুডের করা নকশায় এই বাতিঘর নির্মিত হয়েছে। তৎকালীন সময়ে এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৪২৮ টাকা। বাতিঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ভিত্তিভূমিতে পাথর স্থাপন করা হয় এবং ভিত্তির ওপর গড়ে তোলা হয় ১২০ ফুট উচ্চতার টাওয়ার। টাওয়ারটির মাটির নিচে একটি কক্ষ ছিল বলেও জানা যায়। এছাড়া টাওয়ারে ১৫ ফুট উচ্চতার ১৫টি কক্ষ ছিল। সেসময় প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূর থেকে জাহাজের নাবিকরা রাতে বাতিঘরের আলো দেখে গন্তব্য ঠিক করতেন। পাকিস্তান আমলে টাওয়ারটি নতুন করে সংস্কার করতে লৌহ কাঠামোর ওপর টাওয়ারটি স্থাপন করা হয়। পরে প্রাচীন আলোক-উৎপাদন প্রক্রিয়া বাতিল করে আধুনিক পদ্ধতিতে বাতির আলো চালু করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পাকিস্তান আমলেই
এই বাতিঘরটি অকেজো হয়ে পড়ে। ক্রমাগত সমুদ্রের ভাঙনের মুখে এই বাতিঘরটি বিলীন হয়ে যায়। ইতিহাস ঘেঁটে আরও জানা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধুরং ইউনিয়নে একটি নতুন বাতিঘর নির্মিত হয়। ইস্পাতের কৌণিক দণ্ড ব্যবহার করে বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে একমাত্র ওয়্যারলেস যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে ডিজেলচালিত জেনারেটরের মাধ্যমে ১৫টি ব্যাটারিতে চার্জ করা হয় এবং ওই ব্যাটারির মাধ্যমে বাতিঘরে আলো জ্বালানো হয়। কুতুবদিয়া দ্বীপের সমুদ্রসৈকত : কুতুবদিয়ায় রয়েছে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত। নির্জন এই সৈকতে পর্যটকের আনাগোনা খুব কম হলেও জেলেদের কর্মব্যস্ততার দৃশ্য যে কারও হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। স্থানীয়দের দাবি, সরকারিভাবে পর্যটকদের জন্য আবাসন
ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা গেলে পর্যটকদের আনাগোনায় দ্বীপটির চেহারাই পালটে যাবে। সুযোগ হবে কর্মসংস্থানের এবং সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। কুতুবদিয়া সমুদ্রসৈকতের দক্ষিণে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখানে প্রায় এক হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব হতো। কিন্তু তা বর্তমানে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ ছাড়াও মাছ আহরণের পর এখানকার মানুষের জীবিকার অন্যতম উৎস লবণ চাষ।
পাড়ি জমান। এ দ্বীপে বসতি গড়া নির্যাতিত মুসলিমরা প্রখ্যাত আউলিয়া কুতুবুদ্দীনের নামানুসারে এ দ্বীপের নামকরণ করেন কুতুবুদ্দীন দ্বীপ। পরে দ্বীপটি কুতুবদিয়া নামে স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় সাগরে বিলীন হয়ে কমতে কমতে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে দ্বিপটি। কুতুবদিয়া দ্বীপের ধুরং এলাকায় রয়েছে কুতুব আউলিয়ার দরবার শরিফ। দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শাহ আব্দুল মালেক আল কুতুবী জন্মেছিলেন ১৯১১ সালে। ২০০০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। প্রতিবছর ৭ ফাল্গুন তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লাখো ভক্তের আগমন ঘটে এখানে। দ্বীপটির আরেক মুকুট বাতিঘর। কর্ণফুলী নদীর মোহনার ৪০ মাইল দূরে কুতুবদিয়াতে ১৮২২ সালে বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। জানা যায়, হেয়ার নামের একজন দক্ষ ক্যাপ্টেনের পরিচালনায় ইঞ্জিনিয়ার
জেএইচ টু গুডের করা নকশায় এই বাতিঘর নির্মিত হয়েছে। তৎকালীন সময়ে এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৪২৮ টাকা। বাতিঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ভিত্তিভূমিতে পাথর স্থাপন করা হয় এবং ভিত্তির ওপর গড়ে তোলা হয় ১২০ ফুট উচ্চতার টাওয়ার। টাওয়ারটির মাটির নিচে একটি কক্ষ ছিল বলেও জানা যায়। এছাড়া টাওয়ারে ১৫ ফুট উচ্চতার ১৫টি কক্ষ ছিল। সেসময় প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূর থেকে জাহাজের নাবিকরা রাতে বাতিঘরের আলো দেখে গন্তব্য ঠিক করতেন। পাকিস্তান আমলে টাওয়ারটি নতুন করে সংস্কার করতে লৌহ কাঠামোর ওপর টাওয়ারটি স্থাপন করা হয়। পরে প্রাচীন আলোক-উৎপাদন প্রক্রিয়া বাতিল করে আধুনিক পদ্ধতিতে বাতির আলো চালু করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পাকিস্তান আমলেই
এই বাতিঘরটি অকেজো হয়ে পড়ে। ক্রমাগত সমুদ্রের ভাঙনের মুখে এই বাতিঘরটি বিলীন হয়ে যায়। ইতিহাস ঘেঁটে আরও জানা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধুরং ইউনিয়নে একটি নতুন বাতিঘর নির্মিত হয়। ইস্পাতের কৌণিক দণ্ড ব্যবহার করে বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে একমাত্র ওয়্যারলেস যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে ডিজেলচালিত জেনারেটরের মাধ্যমে ১৫টি ব্যাটারিতে চার্জ করা হয় এবং ওই ব্যাটারির মাধ্যমে বাতিঘরে আলো জ্বালানো হয়। কুতুবদিয়া দ্বীপের সমুদ্রসৈকত : কুতুবদিয়ায় রয়েছে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত। নির্জন এই সৈকতে পর্যটকের আনাগোনা খুব কম হলেও জেলেদের কর্মব্যস্ততার দৃশ্য যে কারও হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। স্থানীয়দের দাবি, সরকারিভাবে পর্যটকদের জন্য আবাসন
ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা গেলে পর্যটকদের আনাগোনায় দ্বীপটির চেহারাই পালটে যাবে। সুযোগ হবে কর্মসংস্থানের এবং সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। কুতুবদিয়া সমুদ্রসৈকতের দক্ষিণে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখানে প্রায় এক হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব হতো। কিন্তু তা বর্তমানে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ ছাড়াও মাছ আহরণের পর এখানকার মানুষের জীবিকার অন্যতম উৎস লবণ চাষ।