কুতুবদিয়ায় প্রাচীন ঐতিহ্যের হাতছানি – ইউ এস বাংলা নিউজ




কুতুবদিয়ায় প্রাচীন ঐতিহ্যের হাতছানি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ | ৬:৪৯ 51 ভিউ
ছয়শ বছরের পুরোনো কুতুবদিয়া দ্বীপ। দৃষ্টিনন্দন এ দ্বীপে রয়েছে প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থাপনা। এর মধ্যে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ বিন্দুতে রয়েছে কুতুব আউলিয়ার দরবার। এ দ্বীপটি সমুদ্রের বুকে জেগে ওঠে চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ দিকে। আর পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষের দিকে এ দ্বীপে মানুষের পদচারণা শুরু হয়। ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, হজরত কুতুবুদ্দীন আলী আকবর, আলী ফকিরসহ তাদের কিছু সঙ্গী পর্তুগিজদের মাধ্যমে বিতাড়িত হয়ে এ দ্বীপে এসে আস্তানা গড়ে তুলেছিলেন। পরে আরাকান রাজ্য থেকে নির্যাতিত আরও অনেক মুসলিম এ দ্বীপে আসতে শুরু করেন, যারা এর আগে চট্টগ্রামের আশপাশের অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। স্থানীয় প্রবীণরা জানান, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, পটিয়া, চকরিয়া অঞ্চল থেকে অনেকে কুতুবদিয়া দ্বীপে

পাড়ি জমান। এ দ্বীপে বসতি গড়া নির্যাতিত মুসলিমরা প্রখ্যাত আউলিয়া কুতুবুদ্দীনের নামানুসারে এ দ্বীপের নামকরণ করেন কুতুবুদ্দীন দ্বীপ। পরে দ্বীপটি কুতুবদিয়া নামে স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় সাগরে বিলীন হয়ে কমতে কমতে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে দ্বিপটি। কুতুবদিয়া দ্বীপের ধুরং এলাকায় রয়েছে কুতুব আউলিয়ার দরবার শরিফ। দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শাহ আব্দুল মালেক আল কুতুবী জন্মেছিলেন ১৯১১ সালে। ২০০০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান। প্রতিবছর ৭ ফাল্গুন তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লাখো ভক্তের আগমন ঘটে এখানে। দ্বীপটির আরেক মুকুট বাতিঘর। কর্ণফুলী নদীর মোহনার ৪০ মাইল দূরে কুতুবদিয়াতে ১৮২২ সালে বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। জানা যায়, হেয়ার নামের একজন দক্ষ ক্যাপ্টেনের পরিচালনায় ইঞ্জিনিয়ার

জেএইচ টু গুডের করা নকশায় এই বাতিঘর নির্মিত হয়েছে। তৎকালীন সময়ে এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৪২৮ টাকা। বাতিঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে ভিত্তিভূমিতে পাথর স্থাপন করা হয় এবং ভিত্তির ওপর গড়ে তোলা হয় ১২০ ফুট উচ্চতার টাওয়ার। টাওয়ারটির মাটির নিচে একটি কক্ষ ছিল বলেও জানা যায়। এছাড়া টাওয়ারে ১৫ ফুট উচ্চতার ১৫টি কক্ষ ছিল। সেসময় প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূর থেকে জাহাজের নাবিকরা রাতে বাতিঘরের আলো দেখে গন্তব্য ঠিক করতেন। পাকিস্তান আমলে টাওয়ারটি নতুন করে সংস্কার করতে লৌহ কাঠামোর ওপর টাওয়ারটি স্থাপন করা হয়। পরে প্রাচীন আলোক-উৎপাদন প্রক্রিয়া বাতিল করে আধুনিক পদ্ধতিতে বাতির আলো চালু করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পাকিস্তান আমলেই

এই বাতিঘরটি অকেজো হয়ে পড়ে। ক্রমাগত সমুদ্রের ভাঙনের মুখে এই বাতিঘরটি বিলীন হয়ে যায়। ইতিহাস ঘেঁটে আরও জানা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধুরং ইউনিয়নে একটি নতুন বাতিঘর নির্মিত হয়। ইস্পাতের কৌণিক দণ্ড ব্যবহার করে বাতিঘরটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে একমাত্র ওয়্যারলেস যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে ডিজেলচালিত জেনারেটরের মাধ্যমে ১৫টি ব্যাটারিতে চার্জ করা হয় এবং ওই ব্যাটারির মাধ্যমে বাতিঘরে আলো জ্বালানো হয়। কুতুবদিয়া দ্বীপের সমুদ্রসৈকত : কুতুবদিয়ায় রয়েছে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত। নির্জন এই সৈকতে পর্যটকের আনাগোনা খুব কম হলেও জেলেদের কর্মব্যস্ততার দৃশ্য যে কারও হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। স্থানীয়দের দাবি, সরকারিভাবে পর্যটকদের জন্য আবাসন

ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা গেলে পর্যটকদের আনাগোনায় দ্বীপটির চেহারাই পালটে যাবে। সুযোগ হবে কর্মসংস্থানের এবং সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। কুতুবদিয়া সমুদ্রসৈকতের দক্ষিণে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখানে প্রায় এক হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব হতো। কিন্তু তা বর্তমানে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এ ছাড়াও মাছ আহরণের পর এখানকার মানুষের জীবিকার অন্যতম উৎস লবণ চাষ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র, সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা রাজশাহীতে খাদ্যগুদামে নিম্নমানের চাল মজুদ, কোটি টাকার ধান্দায় যুক্ত সরকারি কর্মকর্তারা উদ্ভট সব মন্তব্যের পর ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন জামায়াতি বক্তা আমির হামজা ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণে অপ্রাপ্তবয়স্ক মাদ্রাসাছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, জামায়াত কর্মী গ্রেপ্তার পুঁজিবাজারে সাপ্তাহিক লেনদেনে ধস, গড় লেনদেন কমেছে ৩৯% আওয়ামী লীগ নেতা বলে মামলা ছাড়াই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার জামিনেও মেলেনি মুক্তি: পুনঃগ্রেপ্তারের পর কারাগারে মৃত্যু আওয়ামী লীগ নেতার, পরিবারের দাবি- নির্যাতনে হত্যা ঠিকাদারদের অর্থে টয়লেট প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তাদের চীন ভ্রমণ, চলছে ভ্রমণ বিভিন্ন দেশে আফগানিস্তানে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর বই নিষিদ্ধ করলো তালেবান সরকার সংস্কৃতি চর্চায় উগ্রবাদের বিরোধ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত ঘেঁষে আরসা-আরাকান আর্মির তীব্র সংঘর্ষ, গোলাগুলি বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাক করা ৮১ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার: ইতিহাসের বৃহত্তম ব্যাংক-হ্যাকের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় দুই মাসেই ৬,৫৭৭ কোটি টাকা ঘাটতি: এনবিআরের রাজস্ব আদায়ে ধস ট্রাম্পের হুমকি পাত্তাই দিল না আফগানরা অবশেষে হাত মেলাল ভারত, তবে… রাত ১০টার পরও চলবে মেট্রোরেল ময়লার ভাগাড় থেকে ৫ বস্তা এনআইডি কার্ড উদ্ধার রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘের সম্মেলন কি ভূরাজনীতিকে প্রভাবিত করবে? বঙ্গোপসাগরে ২ লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, ৫ দিনের পূর্বাভাসে যা জানা গেল পাকিস্তানের বিপক্ষে আবারও সহজ জয় ভারতের