ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
রাজনৈতিক ও ধর্মভিত্তিক সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগঃ বাংলাদেশে গুরুতর মানবিক সংকটের শঙ্কা মার্কিন থিংকট্যাংক সিএফআর-এর
একুশে ফেব্রুয়ারি-সরস্বতী পূজার ছুটি বাতিল, সরকারের সিদ্ধান্তে তীব্র বিতর্ক
জমি বিরোধে সন্ত্রাসী হামলা, কক্সবাজারে যুবদল নেতা খুন
বরগুনায় এয়ারগান দিয়ে কারারক্ষীর পাখি শিকার
হাদী হত্যা: দুবাই থেকে ভিডিও বার্তায় নিজেকে নির্দোষ দাবি মাসুদের, দায় চাপালেন জামায়াতের ওপর
মিছিলে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ও শেখ হাসিনার ওপর প্রাণঘাতী হামলা
বিশ্বাসঘাতকতা ও ইতিহাস অস্বীকারই ড. ইউনুসের কৌশল
কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন,জবাবদিহি কোথায়?
স্টাফ রিপোর্টার । ঢাকা ।
দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম ভরসা কমিউনিটি ক্লিনিক। কিন্তু সেই কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের (সিসিএইচএসটি) শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালনকারী একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি একের পর এক প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, তবে তা শুধু একজন ব্যক্তির বিষয় থাকে না—তা পুরো ব্যবস্থাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে।
সিসিএইচএসটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো গুরুতর এবং উদ্বেগজনক। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে পদ থেকে সরিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। এটি স্বীকার করতেই হবে—এ ধরনের সিদ্ধান্ত সাধারণত হালকা অভিযোগে নেওয়া হয় না।
তার বিরুদ্ধে এখতিয়ার বহির্ভূত পদায়ন, আর্থিক বিধি লঙ্ঘন, সরকারি চাকরি বিধি অমান্য
এবং ঘুষ গ্রহণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন ছাড়াই শত শত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করার অভিযোগ প্রশাসনিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এসব সিদ্ধান্তের ফলে ট্রাস্টের স্বচ্ছতা ও আর্থিক জবাবদিহিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো—ঘুষ গ্রহণ ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগের বিচারিক নিষ্পত্তি এখনো হয়নি, তবুও অভিযোগের ব্যাপকতা ও ধারাবাহিকতা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে দুর্নীতির গভীরতা স্মরণ করিয়ে দেয়। একজন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠলে তা খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। প্রশ্ন হলো, কেবল ওএসডি করাই কি যথেষ্ট? অতীতে আমরা দেখেছি—অনেক ক্ষেত্রেই ওএসডি প্রক্রিয়া দুর্নীতির দায় এড়িয়ে যাওয়ার নিরাপদ আশ্রয় হয়ে
উঠেছে। যদি এখানেও তা-ই ঘটে, তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ঘোষিত ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতির বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই মুহূর্তে প্রয়োজন একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও দৃশ্যমান তদন্ত। তদন্তের ফল যা-ই হোক—অভিযোগ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, আর অভিযোগ মিথ্যা হলে তা জনসমক্ষে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে হবে। তাতেই কেবল প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরবে। কমিউনিটি ক্লিনিক কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি নয়। এটি রাষ্ট্রের, জনগণের। এই খাতে দুর্নীতির কোনো স্থান থাকতে পারে না। দায়িত্বশীল পদে থেকে কেউ যদি সেই আস্থার অপব্যবহার করে থাকেন, তবে তার জবাবদিহি নিশ্চিত করাই হবে প্রকৃত সংস্কার।
এবং ঘুষ গ্রহণের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন ছাড়াই শত শত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করার অভিযোগ প্রশাসনিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এসব সিদ্ধান্তের ফলে ট্রাস্টের স্বচ্ছতা ও আর্থিক জবাবদিহিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো—ঘুষ গ্রহণ ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগের বিচারিক নিষ্পত্তি এখনো হয়নি, তবুও অভিযোগের ব্যাপকতা ও ধারাবাহিকতা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে দুর্নীতির গভীরতা স্মরণ করিয়ে দেয়। একজন অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠলে তা খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। প্রশ্ন হলো, কেবল ওএসডি করাই কি যথেষ্ট? অতীতে আমরা দেখেছি—অনেক ক্ষেত্রেই ওএসডি প্রক্রিয়া দুর্নীতির দায় এড়িয়ে যাওয়ার নিরাপদ আশ্রয় হয়ে
উঠেছে। যদি এখানেও তা-ই ঘটে, তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ঘোষিত ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতির বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই মুহূর্তে প্রয়োজন একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও দৃশ্যমান তদন্ত। তদন্তের ফল যা-ই হোক—অভিযোগ প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, আর অভিযোগ মিথ্যা হলে তা জনসমক্ষে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে হবে। তাতেই কেবল প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরবে। কমিউনিটি ক্লিনিক কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি নয়। এটি রাষ্ট্রের, জনগণের। এই খাতে দুর্নীতির কোনো স্থান থাকতে পারে না। দায়িত্বশীল পদে থেকে কেউ যদি সেই আস্থার অপব্যবহার করে থাকেন, তবে তার জবাবদিহি নিশ্চিত করাই হবে প্রকৃত সংস্কার।



