আলোচিত ‘ক্যাসিনো ব্রাদার্স’ এনু-রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড – ইউ এস বাংলা নিউজ




আলোচিত ‘ক্যাসিনো ব্রাদার্স’ এনু-রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৫:৩৯ 9 ভিউ
আলোচিত ‘ক্যাসিনো ব্রাদার্স’ এনামুল হক এনু ও রূপন ভূঁইয়াকে ১৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। এছাড়া অন্য ৭ জনকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন একই আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত এনামুল হক এনু রাজধানীর গেন্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এবং রূপন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ৪ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তাদের ৩ ভাই শহিদুল হক ভূঁইয়া, রাশিদুল হক ভূঁইয়া ও মেরাজুল হক ভূঁইয়া, মতিঝিল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকার এবং তাদের সহযোগী তুহিন মুন্সী, নবীর হোসেন সিকদার ও সাইফুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা জয় গোপাল, সাইফুল ও তুহিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। একইসঙ্গে ঢাকার

বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মাসুদ পারভেজ এনু ও রূপনকে ৩৪ লাখ ২৬ হাজার ৬০০ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। অন্য ৭ জনকে ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে বিচারক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো অর্থ পাচারের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন এনু ও রূপন। তদন্তকালে তুহিন মুন্সি, সাইফুল ইসলাম ও নবীর হোসেন অর্থপাচারের ঘটনায় এনু ও রূপনের নাম উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। প্রসিকিউশন অনুযায়ী, এনু ও রূপন স্বীকার করেছেন তাদের বাসা

থেকে জব্দ করা অর্থ ক্যাসিনো গেম ও জুয়ার মাধ্যমে আয় করা। বিচার চলাকালে আদালত মামলার বাদীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১১ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবৈধ ক্যাসিনো, বার, স্পা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলে এনামুল ও রূপন আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর র্যাব ঢাকার সূত্রাপুরা এলাকার বানিয়ানগরে তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে দুটি লোহার সিন্দুক থেকে মোট ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা এবং ৫ হাজার ১৬৩ গ্রাম বা ২ কোটি ৫ লাখ মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করে। এ ঘটনায় এনু ও রূপনের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় মামলা করে র্যাব। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ ২০২০ সালের ২১ জুলাই

এনু, রূপনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। তাদের নামে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা এবং মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান ও কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় মোট ১২১টি ফ্ল্যাট ও প্লট পাওয়া গেছে বলে সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সিআইডি আরও জানতে পেরেছে, এনু ও রূপনের ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ২৬ কোটি টাকা এবং ঢাকায় ১২১টি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেই সঙ্গে ৫ কোটি টাকা পাচারের মামলায় ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর এনু ও রূপনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দুই কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ওয়ারী থানায় দায়ের করা অপর এক মামলায় ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল ঢাকার আরেক আদালত এনু ও রূপনসহ

১১ জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বহুমুখী চাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের অসন্তোষ ইসি সম্পূর্ণরূপে নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ পরমাণু অস্ত্র নিয়ে আবারও হুমকি রাশিয়ার ওয়াশিংটনে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষে বেঁচে নেই কেউ পর্দা নামছে বাণিজ্যমেলার সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান রংপুরে গ্রেফতার সাবেক গৃহায়ণ প্রতিমন্ত্রী শরীফের বিরুদ্ধে মামলা বাংলাদেশসহ ৩ দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত সুইজারল্যান্ডের সুইডেনে কুরআন অবমাননাকারী সেই যুবক গুলিতে নিহত বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে? এস আলম পরিবারের ৩৬৮ কোটি টাকার জমি জব্দের আদেশ আলোচিত ‘ক্যাসিনো ব্রাদার্স’ এনু-রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড রাজধানীতে বাসায় ঢুকে দুই বোনকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১ হেলিকপ্টারটি কেন ওপরে বা নিচে গেল না: ট্রাম্প ইসিকে ভোটারদের আস্থা ফেরানোর পরামর্শ ইইউর ধর্ষণ মামলায় কংগ্রেসের এমপি গ্রেফতার চায়ের আমন্ত্রণ পাওয়া বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ জায়গা থাকলে ১০০ তলা ভবনও করতে দেওয়া হবে ওয়াশিংটনে যাত্রীবাহী বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ, ১৯ লাশ উদ্ধার