
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

সরাসরি চাঁদে আঘাত হানতে পারে গ্রহাণু, মহাজাগতিক বিস্ফোরণের শঙ্কা

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চীনে হুয়াওয়ের উত্থান

চমকপ্রদ রূপে ফিরছে টাটা ন্যানো, থাকছে দুর্দান্ত সব ফিচার!

যেভাবে প্রশ্ন করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপে!

আজ মিলবে বিনামূল্যে ইন্টারনেট, যেভাবে পাবেন

ট্রাই-ফোল্ড স্মার্টফোন আনছে স্যামসাং

ওয়েব ব্রাউজার আনছে ওপেনএআই, চ্যালেঞ্জের মুখে গুগল ক্রোম
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা সক্রিয় করবেন যেভাবে

ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ থেকে জীবন বাঁচাতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে যুক্ত হয়েছে চমকপ্রদ এক সিস্টেম। গুগলের ‘অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম’ এখন বাংলাদেশসহ ৯৮টি দেশে চালু রয়েছে, যা আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে ভূমিকম্পের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারে। ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই প্রযুক্তি কোটি কোটি মানুষকে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিয়ে সুরক্ষিত করেছে।
২০২০ সালে গুগল এই প্রযুক্তি প্রথম চালু করে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে থাকা ‘অ্যাক্সিলারোমিটার’ নামক সেন্সর ব্যবহার করে এই সিস্টেম কাজ করে।
ভূমিকম্পের সময় সাধারণত দুটি প্রধান কম্পন তরঙ্গ সৃষ্টি হয় : ‘পি-ওয়েভ’ এটি দ্রুতগামী কিন্তু তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর। অন্যটি ‘এস-ওয়েভ’ এটি ধীর গতির হলেও অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক।
যখন কোনো অঞ্চলে ভূমিকম্পের পি-ওয়েভ অনুভূত হয় এবং
একাধিক অ্যান্ড্রয়েড ফোন সেটি শনাক্ত করে, তখন ফোনগুলো সেই তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুগলের সার্ভারে পাঠায়। গুগল তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করে ভূমিকম্পের অবস্থান ও মাত্রা নির্ণয় করে এবং এস-ওয়েভ আসার আগেই আশপাশের ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দেয়। এই সতর্কতা ফোনে একটি পপ-আপ নোটিফিকেশন আকারে আসে, যা ১০ থেকে ৬০ সেকেন্ড আগেই আপনাকে জানিয়ে দেয়- ভূমিকম্প আসছে। এ সময়টুকু আপনাকে টেবিলের নিচে আশ্রয় নিতে বা নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে পারে, যা জীবন বাঁচানোর জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। কতটা কার্যকর এই প্রযুক্তি? গুগলের তথ্যমতে, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এ পর্যন্ত সিস্টেমটি ১৮ হাজারের বেশি ভূমিকম্প শনাক্ত করেছে এবং ৭৯ কোটিরও বেশি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। শুধু তাই নয়,
এই প্রযুক্তি সফলভাবে আগাম সতর্কতা দিয়েছে ২০২৩ সালের তুরস্ক-সিরিয়া (৭.৮ মাত্রা), ফিলিপাইন (৬.৭ মাত্রা), নেপাল (৫.৭ মাত্রা) এবং ২০২৫ সালের তুরস্কের ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পের ক্ষেত্রেও। এক জরিপে দেখা গেছে, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় দেড় লাখ ব্যবহারকারীর মধ্যে ৭৯ শতাংশ জানিয়েছেন, এই সতর্কবার্তাগুলো তাদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশে কীভাবে সক্রিয় করবেন? ২০২২ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তি চালু হয়েছে। আপনি চাইলে খুব সহজেই এটি সক্রিয় করতে পারেন: ১. ফোনের Settings এ যান ২. Safety & emergency বা Location মেনুতে প্রবেশ করুন ৩. সেখানে Location Services বা Earthquake alerts অপশন খুঁজে বের করুন 4. এই অপশনটি অন করে দিন একবার চালু
করলেই আপনার ফোন ভূমিকম্প শনাক্ত করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সতর্কবার্তা পাঠাবে। কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে গবেষকরা বলছেন, যদিও প্রযুক্তিটি কার্যকর, কিছু সীমাবদ্ধতা এখনো আছে। যেমন ভূমিকম্পের মাত্রা সবসময় নিখুঁতভাবে নির্ধারণ করা যায় না, বা সতর্কবার্তা কিছুটা দেরিতে পৌঁছাতে পারে। তবে গুগল এসব দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে প্রতিনিয়ত কাজ করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রচলিত ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ যন্ত্রের তুলনায় স্মার্টফোনভিত্তিক এই প্রযুক্তি অনেক বেশি সহজ, সাশ্রয়ী এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন। ভবিষ্যতে এটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।
একাধিক অ্যান্ড্রয়েড ফোন সেটি শনাক্ত করে, তখন ফোনগুলো সেই তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুগলের সার্ভারে পাঠায়। গুগল তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য বিশ্লেষণ করে ভূমিকম্পের অবস্থান ও মাত্রা নির্ণয় করে এবং এস-ওয়েভ আসার আগেই আশপাশের ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দেয়। এই সতর্কতা ফোনে একটি পপ-আপ নোটিফিকেশন আকারে আসে, যা ১০ থেকে ৬০ সেকেন্ড আগেই আপনাকে জানিয়ে দেয়- ভূমিকম্প আসছে। এ সময়টুকু আপনাকে টেবিলের নিচে আশ্রয় নিতে বা নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে পারে, যা জীবন বাঁচানোর জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। কতটা কার্যকর এই প্রযুক্তি? গুগলের তথ্যমতে, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এ পর্যন্ত সিস্টেমটি ১৮ হাজারের বেশি ভূমিকম্প শনাক্ত করেছে এবং ৭৯ কোটিরও বেশি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। শুধু তাই নয়,
এই প্রযুক্তি সফলভাবে আগাম সতর্কতা দিয়েছে ২০২৩ সালের তুরস্ক-সিরিয়া (৭.৮ মাত্রা), ফিলিপাইন (৬.৭ মাত্রা), নেপাল (৫.৭ মাত্রা) এবং ২০২৫ সালের তুরস্কের ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পের ক্ষেত্রেও। এক জরিপে দেখা গেছে, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় দেড় লাখ ব্যবহারকারীর মধ্যে ৭৯ শতাংশ জানিয়েছেন, এই সতর্কবার্তাগুলো তাদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশে কীভাবে সক্রিয় করবেন? ২০২২ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তি চালু হয়েছে। আপনি চাইলে খুব সহজেই এটি সক্রিয় করতে পারেন: ১. ফোনের Settings এ যান ২. Safety & emergency বা Location মেনুতে প্রবেশ করুন ৩. সেখানে Location Services বা Earthquake alerts অপশন খুঁজে বের করুন 4. এই অপশনটি অন করে দিন একবার চালু
করলেই আপনার ফোন ভূমিকম্প শনাক্ত করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সতর্কবার্তা পাঠাবে। কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে গবেষকরা বলছেন, যদিও প্রযুক্তিটি কার্যকর, কিছু সীমাবদ্ধতা এখনো আছে। যেমন ভূমিকম্পের মাত্রা সবসময় নিখুঁতভাবে নির্ধারণ করা যায় না, বা সতর্কবার্তা কিছুটা দেরিতে পৌঁছাতে পারে। তবে গুগল এসব দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে প্রতিনিয়ত কাজ করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রচলিত ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ যন্ত্রের তুলনায় স্মার্টফোনভিত্তিক এই প্রযুক্তি অনেক বেশি সহজ, সাশ্রয়ী এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন। ভবিষ্যতে এটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।