ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ঘন কুয়াশায় মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৭
মাদক ও নারী সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে এনসিপি নেতা মোতালেব গুলিবিদ্ধ
মাথাব্যথা সারাতে মাথা কাটার পরামর্শ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের
রাজাকারের উত্তরাধিকারীরা পায় উন্নত চিকিৎসা, মুক্তিযোদ্ধারা মারা যায় বিনা চিকিৎসায়
হিন্দুদের জ্যান্ত পোড়ানোর পরিকল্পনা, জামায়াত-শিবিরের আগুনে তটস্থ বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পষ্ট বার্তা
সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন কংগ্রেস
‘আই হ্যাভ আ প্ল্যান’: অতীত সন্ত্রাসের ‘ট্রমা’ আর ধোঁকাবাজির নতুন মোড়ক!
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র ১৯৬৩ সালে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বিশ্বকে এক মানবিক স্বপ্নের রূপরেখা দিয়েছিলেন। তাঁর সেই ‘I Have a Dream’ ছিল আটবারের সুষ্পষ্ট উচ্চারণে বৈষম্যহীন আগামীর রোডম্যাপ। অথচ আজ বাংলাদেশে সেই মহান উক্তিকে ব্যঙ্গ করার মতো এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজনীতির মাঠে হঠাৎ ভেসে আসা স্লোগান ‘I have a Plan’—যাকে সচেতন মহল দেখছেন কেবল একটি মেকী আশ্বাস এবং জনগণের সাথে নতুন প্রতারণা হিসেবে।
স্পষ্টতার অভাব ও ধোঁকাবাজি
মার্টিন লুথার কিং যখন স্বপ্নের কথা বলেছিলেন, তিনি জানতেন তিনি কী চান এবং কীভাবে তা অর্জন করবেন। তিনি সংবিধান ও মানবিকতার ভিত্তিতে আধুনিক আমেরিকা গড়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর বিপরীতে বাংলাদেশে আজ যে ‘প্ল্যান’-এর কথা
বলা হচ্ছে, তাতে নেই কোনো সুস্পষ্ট রূপরেখা, নেই কোনো বাস্তবিক ভিত্তি। সমালোচকদের মতে, এটি জনগণকে বিভ্রান্ত করার একটি সস্তা কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। সমস্যা না বুঝেই সমাধানের বুলি আওড়ানোকে তারা ‘রাজনৈতিক ভণ্ডামি’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। ২০০১-২০০৬: সেই বিভীষিকার স্মৃতি ‘আই হ্যাভ আ প্ল্যান’ শুনে জনমনে স্বস্তি তো ফিরছেই না, বরং ভেসে উঠছে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের সেই বিভীষিকাময় শাসনামলের স্মৃতি। জনগণ সেই সময়টাকে একটি ‘ট্রমা’ হিসেবে মনে রেখেছে। সমালোচকরা প্রশ্ন তুলছেন, সেই একই নেতৃত্বের মুখে ‘প্ল্যান’-এর কথা শুনে মানুষ কেন বিশ্বাস করবে? গত ১৬-১৭ মাসে জনগণ যা দেখেছে, তা ছিল সেই পুরনো সন্ত্রাসেরই একটি ‘টিজার’ বা মহড়া মাত্র। সমস্যা না বুঝেই সমাধানের
নাটক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যে নেতৃত্ব দেশের বর্তমান সংকট, মানুষের মনস্তত্ত্ব এবং দুর্দশার মূল কারণই বুঝতে ব্যর্থ, তাদের মুখে ‘প্ল্যান’-এর কথা মানায় না। সমস্যার গভীরতা অনুধাবন না করে কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এমন অস্পষ্ট ‘প্ল্যান’ ঘোষণা করাকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করছে। মার্টিন লুথার কিংয়ের ভাষণ বিশ্বকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিল, আর বর্তমানের এই ‘I have a Plan’ স্লোগানকে মানুষ দেখছে অতীত সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তির এক অশুভ ইঙ্গিত হিসেবে। জনগণ প্রশ্ন রাখছে—এবার কিসের প্ল্যান করে এসেছেন আপনারা? দেশকে আবারও সেই অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার প্ল্যান?
বলা হচ্ছে, তাতে নেই কোনো সুস্পষ্ট রূপরেখা, নেই কোনো বাস্তবিক ভিত্তি। সমালোচকদের মতে, এটি জনগণকে বিভ্রান্ত করার একটি সস্তা কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। সমস্যা না বুঝেই সমাধানের বুলি আওড়ানোকে তারা ‘রাজনৈতিক ভণ্ডামি’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। ২০০১-২০০৬: সেই বিভীষিকার স্মৃতি ‘আই হ্যাভ আ প্ল্যান’ শুনে জনমনে স্বস্তি তো ফিরছেই না, বরং ভেসে উঠছে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের সেই বিভীষিকাময় শাসনামলের স্মৃতি। জনগণ সেই সময়টাকে একটি ‘ট্রমা’ হিসেবে মনে রেখেছে। সমালোচকরা প্রশ্ন তুলছেন, সেই একই নেতৃত্বের মুখে ‘প্ল্যান’-এর কথা শুনে মানুষ কেন বিশ্বাস করবে? গত ১৬-১৭ মাসে জনগণ যা দেখেছে, তা ছিল সেই পুরনো সন্ত্রাসেরই একটি ‘টিজার’ বা মহড়া মাত্র। সমস্যা না বুঝেই সমাধানের
নাটক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যে নেতৃত্ব দেশের বর্তমান সংকট, মানুষের মনস্তত্ত্ব এবং দুর্দশার মূল কারণই বুঝতে ব্যর্থ, তাদের মুখে ‘প্ল্যান’-এর কথা মানায় না। সমস্যার গভীরতা অনুধাবন না করে কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এমন অস্পষ্ট ‘প্ল্যান’ ঘোষণা করাকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করছে। মার্টিন লুথার কিংয়ের ভাষণ বিশ্বকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিল, আর বর্তমানের এই ‘I have a Plan’ স্লোগানকে মানুষ দেখছে অতীত সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তির এক অশুভ ইঙ্গিত হিসেবে। জনগণ প্রশ্ন রাখছে—এবার কিসের প্ল্যান করে এসেছেন আপনারা? দেশকে আবারও সেই অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার প্ল্যান?



