অপূর্ব সুন্দর এক দ্বীপ, কেন সেখানে পর্যটকরা নিষিদ্ধ? – ইউ এস বাংলা নিউজ




অপূর্ব সুন্দর এক দ্বীপ, কেন সেখানে পর্যটকরা নিষিদ্ধ?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৭ জুলাই, ২০২৫ | ৬:১৮ 87 ভিউ
অপরূপ সুন্দর এক ছোট্ট দ্বীপ। যে কেউ দেখলে মনে হবে এক অপরূপ মায়াবী নগর হাতছানি দিয়ে ডাকছে। চারদিকে নীল জলরাশি দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে। মনে হবে কল্পনার কোনো এক দ্বীপে চলে এসেছেন। কিন্তু এ দ্বীপটি ভয়াবহ এক দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। দ্বীপের কাছাকাছি একটু এগিয়ে গেলেই দ্বীপের সৌন্দর্যের চেয়ে হাহাকার ধ্বনিই কানে বাজবে। চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে যেন এক অজানা আতঙ্ক আর ভয়। ভয়ে কেউ দ্বীপেই নামতে চায় না। বাতাসে হাজার বছরের পুরোনো কান্না যেন জমে রয়েছে এই দ্বীপে। ইতালির ভেনিস এবং লিডো এই দুই অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত ছোট এক দ্বীপ। লেগুন সেইন্ট মার্ক্স স্কয়ারে অবস্থিত এই দ্বীপ পোভেগ্লিয়া ভেনিস বা পোভেগ্লিয়া আইল্যান্ড হিসেবে

পরিচিত। ১৭ একর জায়গাজুড়ে পোভেগ্লিয়া দ্বীপ ঘিরে রয়েছে নানা ভৌতিক কাহিনি। তবে সব ভূতুড়ে ইতিহাসের কথা বাদ দিয়ে এবার এই দ্বীপ নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। ১ আগস্ট থেকে এটি শুধু স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যই উন্মুক্ত এক শহুরে পার্কে পরিণত হবে এটি। তবে পর্যটকদের প্রবেশ এখানে নিষিদ্ধই থাকবে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালি সরকারের কাছ থেকে ৯৯ বছরের লিজে দ্বীপটির নিয়ন্ত্রণ পাচ্ছে ভেনিসের কিছু স্থানীয় বাসিন্দা। তারা পোভেগ্লিয়া পার টুট্টি বা ‘সবার জন্য পোভেগ্লিয়া’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে দ্বীপটিকে জনস্বার্থে রক্ষার আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। ২০১৪ সালে ইতালির রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি সংস্থা এই দ্বীপকে নিলামের তালিকায় তুলেছিল। সে সময় শান্ত পরিবেশ

এবং সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে একাধিক সম্পত্তি বিকাশকারী গোষ্ঠী দ্বীপটি কেনার চেষ্টা চালায়। তবে পাত্রিসিয়া ভেক্লানি নামে ভেনিসের এক বাসিন্দার নেতৃত্বে গঠিত পোভেগ্লিয়া পার টুট্টি সংগঠন প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজার ইউরো সংগ্রহ করে দ্বীপটিকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিতে সক্ষম হয়েছে। এখন দ্বীপটি হবে শুধু ভেনিসবাসীর প্রাকৃতিক নিঃশ্বাসের জায়গা। পোভেগ্লিয়ার ইতিহাস ভয়াবহ। ১৮ শতকে বিউবোনিক প্লেগ ছড়িয়ে পড়লে দ্বীপটি প্লেগ আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইন ঘাঁটিতে রূপ নেয়। প্রাচীন রোমান সামরিক ঘাঁটি হিসেবে শুরু হওয়া এই দ্বীপে পরে কৃষক ও জেলেরা বাস করতেন। প্লেগে আক্রান্তরা এখানে রক্ত ছাড়ানোর মতো আদিম চিকিৎসার মাধ্যমে দিন কাটাতেন। মৃতদের গণকবরে দাফন করা হতো। ইতিহাসবিদদের মতে, এখানে প্রায় ১ লাখ

৬০ হাজার মানুষের কবর হয়েছে। পরে ১৯ শতকে এখানে একটি মানসিক হাসপাতাল হয়। এখানকার রোগীদের ওপর চালানো হতো অমানবিক পরীক্ষা। ১৯৬৮ সালে হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে যায় এবং দ্বীপটি পরিত্যক্ত থাকে। পরবর্তীকালে আমেরিকান টিভি শো ‘ঘোস্ট অ্যাডভেঞ্চার’সহ নানা বিদেশি অনুষ্ঠান এটিকে ভূতের দ্বীপ হিসেবে পরিচিত করে তোলে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
এবার ইসরাইলি কূটনীতিককে তলব করল স্পেন দরপত্র ছাড়াই ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকার কাজ সম্পন্ন সেই অধ্যক্ষ লুটে নিলেন ৫ কোটি টাকা ৩৮৯ বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক মূল্যস্ফীতি সহনীয় মাত্রায় আনতে তিন চ্যালেঞ্জ চট্টগ্রামে দখল চাঁদাবাজি নিয়ে খুনোখুনি বাড়ছে দখলদাররা গিলে খাচ্ছে কীর্তনখোলা নদী ছাত্র-জনতাকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদলেন ইউএনও ১০ দিনের চীন সফরে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি ইসলাম ও মহানবিকে (সা.) কটূক্তি করেছিলেন ট্রাম্পের মিত্র চার্লি কার্ক লন্ডনে মাহফুজ আলমের ওপর আ.লীগ নেতাকর্মীদের হামলার চেষ্টা ফ্যাসিস্ট ইউনূসকে যুক্তরাষ্ট্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা আওয়ামী লীগের হার্ট ভালো রাখতে খাবেন যে ৭ খাবার নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কার্কি সরকারি ডাক্তারদের ৮ নির্দেশনা দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে উচ্চপর্যায়ের নৈশভোজ নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, কে এই সুশীলা ‘আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ দুর্দান্ত ফর্মে আছে’ ভারত-পাক ম্যাচের টিকিট বিক্রিই হচ্ছে না, জানা গেল কারণ নেপালে যেভাবে এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পথ