৭০০ ফুট সড়কে শত সমস্যা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
     ১০:১০ পূর্বাহ্ণ

৭০০ ফুট সড়কে শত সমস্যা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৫ অক্টোবর, ২০২৪ | ১০:১০ 150 ভিউ
নোয়াখালী পুরোনো বাসস্ট্যান্ডের সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার উত্তর পাশ থেকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের দূরত্ব ৭০০ মিটার। এই স্বল্প দূরত্বের মধ্যে একটি সরকারি হাসপাতাল, নার্সিং ইনস্টিটিউট ও কলেজ ছাড়া অর্ধশতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয়কেন্দ্র রয়েছে। জেলার অত্যন্ত জনবহুল ও জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক জুড়ে রয়েছে অসংখ্য বড় বড় গর্ত। সড়কের দু’পাশে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে শত শত দোকানপাট। ফলে সড়কটিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তীব্র যানজট লেগে থাকে। পৌর প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন এ যানজট নিরসনে এবং অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট উচ্ছেদ না করায় জনদুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে। নোয়াখালী পৌরসভা কার্যালয় সূত্র

জানায়, সোনাপুর-বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা আঞ্চলিক মহাসড়কের (ফোর লেইন) সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার উত্তর পাশ থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল পর্যন্ত সড়কের প্রশস্ততা ৩৫ ফুট। এ সড়কের দুই পাশে পৌরবাসীর পায়ে হেঁটে চলার জন্য কোনো ফুটপাত নেই। অথচ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সাবেক জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় থেকে সড়কের দুই পাশ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকানপাট। ফলে সামান এ জায়গা ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে রিকশায় যাতায়াত করতে হয় পথচারীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোয়াখালী পৌরসভার এক কর্মকর্তা বলেন, ২০১৩-১৪ সালে এ সড়কটি ১৫ ফুট প্রশস্ত ছিল। সড়কে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় ২০১৬ সালে সড়কটির দুই পাশ ১০ ফুট করে প্রশস্ত করা হয়। বর্তমানে

সড়কটির প্রশস্ততা ৩৫ ফুট। এ সড়কে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাসপাতাল, হাউজিং সোসাইটি ও কৃষ্ণরামপুর এবং পশ্চিম মাইজদীর বাসিন্দারা এবং নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীরা চলাচল করে থাকেন। সড়কের দুই পাশে দোকান গড়ে তোলা, ফুটপাত দখল, দোকানের সামনে মালামাল রাখার কারণে তীব্র যানজট হয়। এই যানজট কখনও কখনও ৭০০ ফুট দীর্ঘ হয়ে থাকে। যানজটের ফলে অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি কিংবা সিএনজি চালিত অটোরিকশা রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারে না। জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকের ভেতরে ও বাইরের দেয়াল ঘেঁষে ফুটপাত দখল করে ছোট ছোট

খুপড়ি দোকান গড়ে উঠেছে। এর ফলে হাসপাতাল সড়কে সারাদিন যানজট লেগে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিনের গাড়িচালক মো. আকাশ হাসপাতালের প্রধান ফটকের ভেতের (পূর্ব পাশে) রোগীদের সাইকেল স্ট্যান্ড শেড দখল করে খাবার দোকান দিয়েছেন। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে ৩ লাখ টাকা এবং অফিস স্টাফদের ২ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ব্যবসা চালানো হচ্চে। তবে ডা. হেলাল উদ্দিন টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের বাইরে ফুটপাতের ওপর দোকানপাট থাকায় যানজট হচ্ছে। আগে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কথা বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে পুনরায় দোকানপাট গড়ে

তোলা হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালামে (৫০) হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নিয়ে এসেছেন তার স্বজন রেদওয়ান উল্যা। যানজটে পড়ে রেদওয়ান বলেন, ‘বেগমগঞ্জ থেকে হাসপাতাল রোডে আসতে সময় লেগেছে ১৫ মিনিট। কিন্তু হাসপাতাল সড়কে এসে যানজটে আটকে ছিলাম ২০ মিনিট। রোগীর শরীর থেকে রক্ত ঝরছে।’ একই কথা বললেন সদর উপজেলার কালিতারা গ্রাম থেকে আসা প্রসুতি রোজিনা আক্তারের স্বামী আলী আহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীর তীব্র প্রসব ব্যথা দেখা দিলে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে জেনারেল হাসপাতালে আনতে রো্য়ানা দিই। ৩০ মিনিট সময়ে কালিতারা থেকে হাসপাতাল রোডে এসে যাই। কিন্তু হাসপাতাল সড়কে এসে যানজটে আটকা পড়ি। এই

দিকে রোগীর অবস্থা খারাপ। নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সুজিত বড়ুয়া বলেন, ‘জেনারেল হাসপাতাল সড়কটির দৈর্ঘ্য ৭০০মিটার এবং প্রশস্ত ৩৫ ফুট। দীর্ঘমেয়াদী বন্যায় হাসপাতাল ও জেলখানা সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সড়ক দুটি সংস্কারে ৮০ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে পাস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। সড়ক দুইটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য ৮৭ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে।’ নোয়াখালী পৌর প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, তিনি সম্প্রতি পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়েছেন। যানজট নিরসন অবৈধ দখল ও সড়কের বেহাল দশা সর্ম্পকে খোঁজ খবর নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘জেনারেল

হাসপাতাল ও জেলা কারাগার সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোর তালিকা তৈরি করে তা সংস্কার করার জন্য পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সড়কের পাশে অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সাংবাদিক ও প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার ঘটনায় ১০ দেশের তীব্র নিন্দা অবৈধ ইউনুস সরকারের ব্যর্থতায় গণমাধ্যম ধ্বংস প্রেস সচিব শফিকের উস্কানিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম সংকটে “আমি বিএনপি চাই না জামায়াতও চাই না, আওয়ামী লীগ না থাকলে আমি ভোট দিবো না” – জনতার কথা ‘দায়মুক্তি’ শীর্ষক লাইভ প্রোগ্রামের বিশেষ পর্ব আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার মত কেউ বাংলাদেশে পয়দা হয়নাই, আওয়ামী লীগ বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবে” –জনতার কন্ঠ অবৈধ দখলদার সরকারের শাসনে জনরোষ, ঘরে ঘরে অসন্তোষ সুদানে শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত হওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ সদস্যের কফিনে বাংলাদেশের পতাকা নেই না ফেরার দেশে বাংলাদেশের জন্মের অন্যতম সাক্ষী ও বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান এ কে খন্দকার, বীর উত্তম কুষ্টিয়া নির্বাচন অফিসে দুর্বৃত্তদের আগুন, পুড়ল গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিউইয়র্কে ফোবানার কিকঅফ : মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে শুরু হবে নতুন পথচলা ফুলকপির পরোটা রেসিপি কফিনবন্দি হয়ে দেশে ফিরলেন ওসমান হাদি ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ, পুলিশসহ টেঁটাবিদ্ধ ৬ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: ভলকার তুর্ক উদীচী কার্যালয়ে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট ভালুকায় যুবককে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা নূরুল কবীরের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ সিলেট সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত বিশ্ব গণমাধ্যমে ওসমান হাদির মৃত্যু পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ