শাহবাগে পুলিশের বাধার মুখে সরকারি কর্মচারীরা, ছত্রভঙ্গে জলকামান – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
     ৫:৫০ অপরাহ্ণ

আরও খবর

লাশের রাজনীতি, পরিকল্পিত সন্ত্রাসঃ ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত রূপ

কপালে আঘাতের দগদগে চিহ্ন দিচ্ছে খুনের সাক্ষ্য: আশিকুরের মৃত্যু ‘স্বাভাবিক’ নয়, ‘রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড’ এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

২০ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে জিন্নাহ উৎসব: স্বাধীনতাবিরোধীদের নতুন বার্তা

‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদি মৃত্যুর পর কাল্টে পরিণত, সরকার তার আদর্শ উদ্‌যাপন করছে’: ভারতীয় গণমাধ্যম

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের চরম অবনতি: যুক্তরাষ্ট্রের পিছুটান ও ভারতীয় হাই কমিশনারকে তলব

ভারতের সাথে বৈরিতা এখনই বন্ধ করুন: ঢাকাকে রাশিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি

‘আপনারাই হাদিকে হত্যা করিয়েছেন, এখন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন’: অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ওমর বিন হাদি

শাহবাগে পুলিশের বাধার মুখে সরকারি কর্মচারীরা, ছত্রভঙ্গে জলকামান

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:৫০ 230 ভিউ
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়া সরকারি কর্মচারীদের দাবি আদায়ে ঐক্য পরিষদের মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতা ও নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দফা দাবিতে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এ মিছিল শুরু হয়। শাহবাগ মোড়ে পৌঁছলে মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। বাধা পেরিয়ে কর্মচারীরা সামনে এগোনোর চেষ্টা করলে জলকামান দিয়ে পানি ছিটিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এদিকে কর্মচারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ আন্দোলনকারীদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তাদের ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে যমুনায় যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। বিকাল সোয়া ৩টার দিকে তারা দাবি-দাওয়া নিয়ে যমুনায় যান। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন ১১তম থেকে ২০তম গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী

ফোরামের সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান ও বাংলাদেশ ১৭-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতির সমন্বয়ক রফিকুল আলম। সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ শুরু করে সরকারি কর্মচারীদের দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বিশেষ অতিথি ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। সমাবেশে সরকারি কর্মচারীরা বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নিরলসভাবে মানুষের সেবা দিয়ে আসছে। তারা যৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। অবিলম্বে ৭ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের দাবি-দাওয়া মেনে না নেওয়া হলে সারাদেশের সব সরকারি অফিসে ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। এদিকে, সমাবেশ শেষে দাবি-দাওয়া নিয়ে হঠাৎ কর্মচারীরা

মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কর্মচারীদের সাত দফা দাবি ১. বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পে-কমিশন গঠন ও পে-স্কেল ব্যক্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত অন্তর্বতী সময়ের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা (১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য) জানুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর করতে হবে। ২. যে সব কর্মচারী মূল বেতনের শেষ ধাপে উন্নিত হয়েছেন, তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে। বেতন স্কেলের বৈষম্য নিরসনের জন্য ১০ ধাপে বেতন স্কেলে নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে। ৩. সচিবালয়ের ন্যায় সকল সরকারি, আধাসরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের সমপদগুলোর পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ন

করে কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্য দূর করতে হবে। ৪. ২০১৫ সালে পে-স্কেলের গেজেটে প্রত্যাহারকৃত তিনটি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল ও সকল স্বায়তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুয়িটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে শতভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্র্যাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে। ৫. বাজারমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মুল্যস্ফীতি বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে প্রদেয় সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ, ১১-২০ গ্রেডের রেশন ব্যবস্থার প্রর্বতন ও সরকার প্রদত্ত গৃহ ঋণ সুবিধা সহজীকরণ করতে হবে। ৬. ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সব পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে। এছাড়া টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল

পদমর্যাদা দিতে হবে। ৭. উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত পদের পদধারীদের প্রকল্পের চাকরিকাল গণনা করে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড দেওয়ার অবকাশ নেই বলে অর্থ মন্ত্রণালয় হতে জারি করা বৈষম্যমূলক আদেশ ও আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
স্বস্তির রাষ্ট্র থেকে অস্থিরতার বাংলাদেশ,এক ব্যর্থ শাসনের নির্মম বাস্তবতা লাশের রাজনীতি, পরিকল্পিত সন্ত্রাসঃ ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত রূপ কপালে আঘাতের দগদগে চিহ্ন দিচ্ছে খুনের সাক্ষ্য: আশিকুরের মৃত্যু ‘স্বাভাবিক’ নয়, ‘রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড’ এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ২০ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে জিন্নাহ উৎসব: স্বাধীনতাবিরোধীদের নতুন বার্তা ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদি মৃত্যুর পর কাল্টে পরিণত, সরকার তার আদর্শ উদ্‌যাপন করছে’: ভারতীয় গণমাধ্যম ‘একাত্তরের পাক-হানাদার ও আল-শামস বাহিনীর কায়দায়’ মধ্যরাতে মহেশখালীতে রাখাইন পাড়া থেকে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার’ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের চরম অবনতি: যুক্তরাষ্ট্রের পিছুটান ও ভারতীয় হাই কমিশনারকে তলব ভারতের সাথে বৈরিতা এখনই বন্ধ করুন: ঢাকাকে রাশিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি ‘আপনারাই হাদিকে হত্যা করিয়েছেন, এখন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন’: অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ওমর বিন হাদি বাংলাদেশের দায়িত্বহীনতায় বিপন্ন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে রুশ রাষ্ট্রদূতের কড়া সতর্কবার্তা যে দেশে একাত্তরে তিরিশ লাখ মানুষ শহীদ হলো, সেখানে এখন পাকিস্তানের পতাকা কীভাবে ওড়ে? উগ্রপন্থী ওসমান হাদির কফিনে পতাকা থাকলেও ছিল না সুদানে নিহত সেনাদের কফিনে নজরুল-জয়নুল-কামরুল বনাম ছাপড়ি টোকাই হাদি: এ লজ্জা কোথায় রাখি! প্রেস সচিব শফিকের উস্কানিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম সংকটে মার্কিন পরিকল্পনায় নির্বাচন বানচালের দ্বারপ্রান্তে জামায়াত আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে আমরা রিকশাওয়ালারাও নামবো” — রিকশাচালক যারা লুটপাট, হাত কাটা, পা কাটা, চোখ তোলা, নির্যাতন করে, নারীদের ধর্ষণ করে তারা কি বেহেশতে যাবে?” –জননেত্রী শেখ হাসিনা ভোট আওয়ামী লীগকেই দিবো, আর কাকে দিবো? শেখ হাসিনাকে আবারো চাই” –জনমত হাদির হত্যাকারী ভারতের পালিয়ে গেছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। অবৈধ সরকারের উপদেষ্টা, সমন্বয়ক,রাতারাতি তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে কোটিপতি হয়ে গেছে