শাজাহান খান গ্রেফতার, পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে কি? – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
     ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ

শাজাহান খান গ্রেফতার, পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে কি?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৯:৩১ 161 ভিউ
সড়কে চাঁদাবাজির কারণে মানুষকে নানাভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর এ চাঁদাবাজিকে প্রাতিষ্ঠনিক রূপ দিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান। তিনি ছিলেন বিগত সরকারের এক সময়ের নৌপরিবহণমন্ত্রী। জানা যায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের ছত্রছায়ায় গত ৪ বছরে বাণিজ্যিক যানবাহন থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি হয়েছে। ‘সড়ক পরিবহণে সংগঠন পরিচালনা ব্যয়’ সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রণয়ন করে এ চাঁদাবাজিকে বৈধতাও দেওয়া হয়েছে। ফেডারেশনের শীর্ষনেতা হওয়ার সুবাদে পরিবহণ মালিক সমিতির অন্যান্য প্রভাবশালী নেতাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সড়ক থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন। তার নিয়ন্ত্রিত দুর্বৃত্ত বাহিনীর কাছে বছরের পর বছর জিম্মি পরিবহণ মালিকরা। এদিকে নির্বাচনি হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,

২০০৮ সালে শাজাহান খানের বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, যা ২০২৪ সালে হয়েছে ২ কোটি ২১ লাখ টাকা। তার আয়ের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হওয়া দরকার। বস্তুত সড়ক পরিবহণ আইনে সড়ক থেকে চাঁদা উঠানোর বিধান নেই। এরপরও শাজাহান খানের নেতৃত্বে পরিবহণ খাতে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলেছে। ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পরিবহণ সেক্টরে ১২ হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছে শাজাহান খানের লোকজন। অভিযোগ রয়েছে, সারা দেশে শ্রমিকদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ঢাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় শাজাহান খান বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন। তার বেফাঁস মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে

শিক্ষার্থীরা রাজপথে আন্দোলনে নামে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে করা আন্দোলনেরও সমালোচনা করেছেন তিনি। সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন মহল থেকে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সড়ক পরিবহণ আইন প্রণয়নের দাবি উঠেছে বহুবার। এক্ষেত্রেও অন্যতম বাধা ছিলেন এই শ্রমিক নেতা। অভিযোগ রয়েছে, শাজাহান খানের ঘোর বিরোধিতার কারণে অতীতে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। একবার শাজাহান খান বলেছিলেন, যারা সিগন্যাল চেনে, গরু-ছাগল চেনে, মানুষ চেনে, তাদের লাইসেন্স দেওয়া যায়। তার এমন বক্তব্য সর্বমহলে সমালোচিত হয়। শাজাহান খান গ্রেফতার হলেও সড়কে চাঁদাবাজি ও বিশৃঙ্খলা এখনো বন্ধ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার এদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবে, এটাই কাম্য।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
‘বিচার প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ’, শেখ হাসিনার রায়ের বিরুদ্ধে ১০২ সাংবাদিকের বিবৃতি শেখ হাসিনার রায়ের বিরোধিতা: ঢাবি’র ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে ‘মব’ করে পুলিশে সোপর্দ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের হামলার পিছনে ছাত্রশিবির, ডিসি মাসুদের বক্তব্য ভাইরাল মুন্সিগঞ্জে ‘ইউনূসের পদত্যাগ’ দাবিতে পুলিশের সামনেই হাজারো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর মিছিল সাটুরিয়ায় ডাকবাংলোর পাশে ককটেল বিস্ফোরণ, জনমনে আতঙ্ক শেখ হাসিনার বিচার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আন্তর্জাতিক তদন্ত চান ড. মোমেন “পরিমনি হতে এসেছেন” – সাংবাদিকের এমন মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তরুণী, ভিডিও ভাইরাল দেশের নিরাপত্তা সংকটে স্বরাষ্ট্র সচিব পাকিস্তানে, ষড়যন্ত্রের গন্ধ বান্দরবান সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেল, কেঁপে উঠল পুরো এলাকা অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনালের প্রহসনমূলক বিচারের রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ১৮ নভেম্বর : সারা দেশে সর্বাত্মক শাটডাউন The political Lens By RP Station মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান ও দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের পদত্যাগ অবধি দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক লীগের। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলার সাজানো রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০১ প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ আইসিটির দেওয়া রায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিবৃতি অবৈধ ট্রাইব্যুনালকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঘৃণাভরে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয় দখলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের বিবৃতি তথাকথিত বেআইনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) কর্তৃক প্রদত্ত রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘প্রহসনমূলক’ বিচার : বিদেশে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চিকিৎসকদের তীব্র নিন্দা ১০২ জন সাংবাদিকের যৌথ বিবৃতি