ফেরারির মতো ছুটছেন ছাত্রলীগ নেতারা, সামনে কোনো ভবিষ্যৎ নেই – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
     ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

ফেরারির মতো ছুটছেন ছাত্রলীগ নেতারা, সামনে কোনো ভবিষ্যৎ নেই

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:০৯ 148 ভিউ
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। রোববার (২৭ অক্টোবর) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন ২৪ বছর বয়সী ফাহমি (ছদ্মনাম)। তবে গত আগস্টের শুরুর দিক থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন এটি। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে লৌহমুষ্টি দিয়ে দলটি দেশ শাসন করেছে। আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের মুখে এই সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। শেখ হাসিনা প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান। সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ১৫ বছরে

সহিংসতা, হয়রানি ও নিজেদের স্বার্থে জনসম্পদ ব্যবহারসহ গুরুতর অসদাচরণের ইতিহাস রয়েছে ছাত্রলীগের। ফলিত রসায়নের স্নাতকের শিক্ষার্থী ফাহমি আল জাজিরাকে জানান, কিছুদিন আগে তিনি এখানের কর্তৃত্বের কণ্ঠস্বর ছিলেন। অথচ এখন তিনি ফেরারির মতো ছুটছেন, যার সামনে কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আজ জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাহমির গল্পে তার মতো হাজারো শিক্ষার্থীর বর্তমান অবস্থার প্রতিফলন আছে। এসব শিক্ষার্থী আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারা একসময় বাংলাদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে শক্তিশালী অবস্থানে ছিলেন। কিন্তু রাতারাতি তাদের অবস্থান ধসে গেছে। ক্যাম্পাসের সাবেক ক্ষমতাশালী, রাজপথে আওয়ামী লীগের পেশিশক্তি হিসেবে পরিচিত এসব ছাত্র এখন উচ্ছেদ, প্রতিশোধ, এমনকি কারাবাসের মুখোমুখি। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণবিদ্রোহ দমনচেষ্টা এবং তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে কথিত মানবাধিকার

লঙ্ঘনের জন্য তাদের আজ এই দশা। ফাহমি আল জাজিরাকে আরও বলেন, ‘আমি হাসিনাবিরোধী বিক্ষোভকালে জনগণের বিরুদ্ধে সরকারের প্রাণঘাতী দমনপীড়নে সরাসরি অংশগ্রহণ করিনি। আমার বোনেরা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। আমিও মনে করতাম, দাবি সঠিক। কিন্তু আমি দলীয় বাধ্যবাধকতায় আটকা পড়েছিলাম।’ ফাহমি বলেন, হাসিনাবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ঢাকা থেকে ১৭৩ কিলোমিটার দূরে নোয়াখালী জেলায় তার পরিবারের বাড়ি ও কোল্ডস্টোরেজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোথায় আছি, তা না জানালে তারা আমার ছোট ভাইকে হাওয়া করে দেবে বলে হুমকি দিয়েছেন।’ ফাহমি স্বীকার করেন, ছাত্রলীগের একজন নেতা হওয়াটা তার একটি সরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রতি তার আনুগত্যের আরেক অর্থ হলো, পরিবারের প্রয়োজনে তিনি সব

সময় পাশে থাকতে পারেননি। ফাহমি আক্ষেপ করে বলেন, ‘পেছনে ফিরে তাকালে আমি দেখতে পাই, আমি আমার পরিবারকে সমর্থন করার চেয়ে দলকে অগ্রাধিকার দিয়েছি।’ তিনি জানান, যখন শেখ হাসিনা ভারতে নিরাপদে আছেন, তখন তিনি ক্রমাগত সহিংসতা বা গ্রেপ্তারের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি তাকে বুঝিয়ে দিয়েছে, একসময় তিনি যে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনি ছাত্র, তারা তাকে পরিত্যাগ করেছে। তিনি তিক্তস্বরে বলেন, ‘আমি যে সালাম দিতাম এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিনিয়োগ করেছিলাম আমাদের নেতাদের জন্য এবং দলীয় সমাবেশের আয়োজনে, এখন তা অর্থহীন মনে হচ্ছে।’ ফাহমি বলেন, ‘দল আমাদের তার রাজনৈতিক ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে। কিন্তু যখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তখন কোনো সুরক্ষা

দেয়নি। হঠাৎ সরকার পতন হলো। ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোটা আমার পক্ষে সেই সন্ধ্যায় সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল। তারপরও দলের শীর্ষ নেতারা বা ছাত্রলীগের নেতারা কেউই আমার খোঁজ নেননি।’ তিনি বলেন, ‘আমি সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে চেয়েছিলাম এবং জাতির সেবা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ক্যাম্পাসে পা রাখলে নানা গোলমেলে অভিযোগে আমাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। কিংবা আরও খারাপ কিছু- আমাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হতে পারে।’ আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শুধু ফাহমি একাই এমন পরিস্থিতিতে পড়েননি। আওয়ামী লীগের আনুমানিক হিসাব মতে, সারা দেশে দলসংশ্লিষ্ট অন্তত ৫০ হাজার ছাত্র এখন অচল হয়ে আছেন। তারা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছেন। উল্লেখ্য,

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যাওয়ার পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এই সরকার ২৩ অক্টোবর এক গেজেটে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (২০০৯) ছাত্রলীগকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করে। পরিহাসের বিষয় হলো, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই আইনটি পাস করে। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃত্বে দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর ছয় বছরের শান্তি, মাত্র ছয় মাসেই নরক : নোবেলজয়ী ইউনুস সরকারের আরেকটি অর্জন সুন্দরবনে! সুদখোরের দেশে রিকশাচালকের মৃত্যু : যে লোক নোবেল পেয়েছিল গরিবের রক্ত চুষে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতৃত্বকে দুর্বল করতে পরিকল্পিত আগুন–সন্ত্রাস? জামায়েতকে ভোট না দিলে পিঠের চামড়া থাকবে না —ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন প্রার্থীরা বহুদিন ধরে বিএনপি–জামায়াত এবং সুশীল সমাজের একটি অংশ ২০১৩ সালের ৫ মে আওয়ামী লীগ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দিনেদুপুরে মা মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা GSOMIA এবং ACSA চুক্তি সরাসরি নাকচ, ফলে আমেরিকার সাথে পূর্ণ দ্বৈরথ শেখ হাসিনার! ‘দেশ ধ্বংস করে ফেলছে এই স্টুপিড জেনারেশন’—জুলাই থেকে চলমান অরাজকতায় অতিষ্ঠ জনতা, ভাইরাল নারীর ক্ষোভ ঢাকার ডেমরায় ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা মাইকিং নিষিদ্ধ, রাতের আঁধারে তড়িঘড়ি দাফন: তবুও দমানো গেল না যুবলীগ নেতা রেজাউলের জানাজার জনস্রোত ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ দেশে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নেবেন সাকিব, কাজ করতে চান মানুষের জন্য দুর্নীতির বরপুত্র’র মুখে নীতি কথা শীতের ভরা মৌসুমেও অসহনীয় সবজির দাম মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক দুবাইয়ের চাকরির প্রলোভনে পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঐতিহাসিক অডিওতে জিয়ার স্বীকারোক্তি: বঙ্গবন্ধুর নামেই স্বাধীনতার ঘোষণা, স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’ ‘ভুয়া তথ্যে চাকরি, ধরা পড়ে পায়ে ধরে কান্না’: শাহরিয়ার কবিরের জালিয়াতির মুখোশ উন্মোচন করলেন ব্যারিস্টার জিন্নাত আলী চৌধুরী