পায়রা গিলে খাচ্ছে শতাধিক বসতঘর, বিলীন ২০০ একর জমি – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
     ৫:০৫ অপরাহ্ণ

পায়রা গিলে খাচ্ছে শতাধিক বসতঘর, বিলীন ২০০ একর জমি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:০৫ 115 ভিউ
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাহেরচর এলাকায় শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে ঘর-বাড়ি হারিয়ে দিশেহারা এসব পরিবার। সরেজমিনে দেখা যায়, পশ্চিম আঙ্গারিয়ার বাহেরচর এলাকার প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এই এলাকার লোকজন সরকারি রাস্তার পাশে, বিভিন্ন এলাকায় আত্মীয় স্বজনের বাড়ি ও রান্না ঘরে কোন রকম মানবেতর জীবন যাপন করছে। আবার কিছু পরিবার স্থায়ীভাবে অন্যত্র চলে গেছেন। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ঘর-বাড়ি, মসজিদ, মন্দির, রাস্তা নদীর পেটে চলে গেছে । স্থানীয় ভূক্তভোগী সুধান চন্দ্র মিস্ত্রী (৫০) ও সুধারঞ্জন চন্দ্র মিস্ত্রী (৮০) বলেন, আমাদের বাড়ি এখান থেকে ২

থেকে ৩ কিমি. উত্তরে ছিল। পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বাবার আমলে ২ বার ও আমাদের আমলে ৩ বার বসত বাড়ি স্থানান্তর করতে হয়েছে। বর্তমানেও ঝুঁকিতে আছি। আমাদের মত অনেকেই এখন বসতঘরসহ সবকিছু ভেঙে সরকারি রাস্তার পাশে সরিয়ে নিচ্ছে। আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহীন গাজী বলেন, কিছু দিন আগে সকালে খেয়াঘাট সংলগ্ন বড় এলাকা জুড়ে বিশাল ফাটল ধরে হঠাৎ নদী গর্ভে দেবে যায়। এতে তিন জনকে ট্রলার যোগে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে একজন মহিলা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ পর্যন্ত এই এলাকার প্রায় দুই’শ একর জমিসহ, তিন শতাধিক ঘর, ৩টি মসজিদ, ৪টি মন্দির, একটি সরকারি অফিসসহ রাস্তাঘাট

পায়রা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান সোহরাব জানান, বাহের চর মৌজায় দীর্ঘ দিন যাবৎ পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। শতাধিক পরিবার নদী ভাঙ্গনে সবকিছু হারিয়ে এখান থেকে চলে গেছে। ভাঙ্গন কবলিত অসহায়দের পুনর্বাসন এবং স্থায়ীভাবে পাইলিং ও ব্লক ফেলে নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। এবিষয়ে দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীন মাহমুদ বলেন, ভাঙ্গনের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জানতে চাইলে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন জানান, বাহেরচরের নদী ভাঙন রোধে এর আগেও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। চলতি

বছরের নভেম্বর মাসে আবারও জিও ব্যাগ ফেলা হবে। এছাড়া স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন নিয়ে রোনালদোর বিস্ফোরক মন্তব্য এনসিপির এক নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি বাজারের ৬০ শতাংশ ফোন অবৈধ, জানুন আপনার ফোনের অবস্থা সালাউদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে বিসিবি গণসংযোগের সময় বিএনপির প্রার্থী গুলিবিদ্ধ ভারত দলে সুনীল নেই, স্কোয়াড দিল বাংলাদেশও এরশাদ উল্লাহ টার্গেটে ছিলেন না : সিএমপি কমিশনার লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম, ৭ দিনে দ্বিগুণ পাকিস্তানে মিলল বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার, মজুত কতটুকু পরাজয়ের পর যে তত্ত্ব দিলেন ট্রাম্প ফের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা, ২ ফিলিস্তিনি নিহত আমি কখনো বলিনি নাটক করব না : তানজিন তিশা সুহানাকে শাসন করলেন শাহরুখ অকার্যকর হওয়া পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের যে আশ্বাস দিলেন গভর্নর দুর্বল ৫ ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা, বসছে প্রশাসক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কি মামদানি? শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক মিসাইল তৈরির ঘোষণা পুতিনের গণহত্যার ছায়ায় শাহরুখ খানের বিলিয়নিয়ার হয়ে ওঠার গল্প বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ল শাড়ি নিয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার হতে পারেন তানজিন তিশা