ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
লাশের রাজনীতি, পরিকল্পিত সন্ত্রাসঃ ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত রূপ
কপালে আঘাতের দগদগে চিহ্ন দিচ্ছে খুনের সাক্ষ্য: আশিকুরের মৃত্যু ‘স্বাভাবিক’ নয়, ‘রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড’ এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
২০ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে জিন্নাহ উৎসব: স্বাধীনতাবিরোধীদের নতুন বার্তা
‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদি মৃত্যুর পর কাল্টে পরিণত, সরকার তার আদর্শ উদ্যাপন করছে’: ভারতীয় গণমাধ্যম
ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের চরম অবনতি: যুক্তরাষ্ট্রের পিছুটান ও ভারতীয় হাই কমিশনারকে তলব
ভারতের সাথে বৈরিতা এখনই বন্ধ করুন: ঢাকাকে রাশিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি
‘আপনারাই হাদিকে হত্যা করিয়েছেন, এখন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন’: অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ওমর বিন হাদি
ড. ইউনূসের ভাষণ নিয়ে দেশে বিদেশে ব্যাপক আলোচনা
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন। এতে ব্যাপক সন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি দেশে-বিদেশে বিশ্লেষকদের মধ্যে ব্যাপক আলোচিতও হয়েছে এই ভাষণ।
২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ড. ইউনূসের ভাষণের বিষয়ে নিজেদের সন্তোষের কথা ব্যক্ত করেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
ড. ইউনূস জাতিসংঘের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, পাশাপাশি তিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা- এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সংস্থাটির স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী ব্রিফিংয়ে জানতে চান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি ভাষণে বাংলাদেশের জটিল পরিস্থিতি, গাজাসহ পৃথিবীর
বিভিন্ন জায়গার চলমান যুদ্ধ এবং গাজা ও ইউক্রেনের মানবিক সংকটের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে জাতিসংঘের অংশীদার হিসেবে অবদান রেখে চলেছেন। তার এই ভাষণকে কীভাবে দেখছেন? আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, অধ্যাপক ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের মধ্যকার বৈঠক নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী জানাবেন? ড. ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈঠক ইস্যুতে ডুজারিক সাংবাদিক মুশফিককে জাতিসংঘ থেকে পাঠানো বিবৃতির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, ‘অধিবেশনে দেওয়া প্রতিটি ভাষণ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার সুযোগ নেই। কোনো দেশ যখন তাদের সবচাইতে সম্মানিত কোনো প্রতিনিধিকে জাতিসংঘে পাঠায় তা আমাদের অবশ্যই সন্তুষ্ট করে।’ প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণসহ জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টিকে সাধুবাদ জানান সংস্থাটির মহাসচিব। জাতিসংঘের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের চলমান পরিস্থিতি এবং সংস্কার কার্যক্রমে জাতিসংঘ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে পুনরায় আশ্বস্ত করেন গুতেরেস। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হয়। এদিকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রশংসা করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের মূল লক্ষ্য শক্তিশালী অর্থনীতি ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। যে তিন শূন্যের ধারণা তিনি তুলে ধরেছেন সেটি দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূর করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তারা। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের
(বিস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তিনি তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের যে ২৫ লাখ তরুণ এখনো শ্রম বাজারে ঢুকতে পারেনি তারা যদি কাজ না খুঁজে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলেন তা হলে সামাজিক অনেক সমস্যার সমাধান হবে। এই অর্থনীতিবিদের মতে, বিশ্ব দরবারে ড. ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতার কারণে বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে। ড. মাহফুজ কবীর বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে এখন পুরো বিশ্ব অবহিত। এখন তারা বাংলাদেশকে যার যার জায়গা থেকে সহায়তা করতে চায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার নিন্দা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্য সময়োপযোগী। তবে এক্ষেত্রে বিশ্ব নেতাদের সদিচ্ছার অভাবের কথা তুলে ধরেন তারা।
বিভিন্ন জায়গার চলমান যুদ্ধ এবং গাজা ও ইউক্রেনের মানবিক সংকটের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে জাতিসংঘের অংশীদার হিসেবে অবদান রেখে চলেছেন। তার এই ভাষণকে কীভাবে দেখছেন? আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, অধ্যাপক ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের মধ্যকার বৈঠক নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী জানাবেন? ড. ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের বৈঠক ইস্যুতে ডুজারিক সাংবাদিক মুশফিককে জাতিসংঘ থেকে পাঠানো বিবৃতির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, ‘অধিবেশনে দেওয়া প্রতিটি ভাষণ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার সুযোগ নেই। কোনো দেশ যখন তাদের সবচাইতে সম্মানিত কোনো প্রতিনিধিকে জাতিসংঘে পাঠায় তা আমাদের অবশ্যই সন্তুষ্ট করে।’ প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণসহ জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টিকে সাধুবাদ জানান সংস্থাটির মহাসচিব। জাতিসংঘের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণের চলমান পরিস্থিতি এবং সংস্কার কার্যক্রমে জাতিসংঘ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে পুনরায় আশ্বস্ত করেন গুতেরেস। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হয়। এদিকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রশংসা করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের মূল লক্ষ্য শক্তিশালী অর্থনীতি ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। যে তিন শূন্যের ধারণা তিনি তুলে ধরেছেন সেটি দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূর করতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন তারা। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের
(বিস) গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তিনি তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশের যে ২৫ লাখ তরুণ এখনো শ্রম বাজারে ঢুকতে পারেনি তারা যদি কাজ না খুঁজে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলেন তা হলে সামাজিক অনেক সমস্যার সমাধান হবে। এই অর্থনীতিবিদের মতে, বিশ্ব দরবারে ড. ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতার কারণে বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ছে। ড. মাহফুজ কবীর বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে এখন পুরো বিশ্ব অবহিত। এখন তারা বাংলাদেশকে যার যার জায়গা থেকে সহায়তা করতে চায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার নিন্দা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্য সময়োপযোগী। তবে এক্ষেত্রে বিশ্ব নেতাদের সদিচ্ছার অভাবের কথা তুলে ধরেন তারা।



