ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
‘আপনারাই হাদিকে হত্যা করিয়েছেন, এখন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন’: অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ওমর বিন হাদি
পাকিস্তান কানেকশন ও গোপন বৈঠক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হতে চান গোলাম আযম পুত্র!
ইউনূসের সরকারের পৈশাচিকতায় মৃত্যুর মুখে লোহাগাড়া ছাত্রলীগ নেতা
গ্লোবাল টিভির বার্তা প্রধানকে ছাঁটাই ও কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ: কাঠগড়ায় রিফাত রশীদ
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ‘মিসাইল’ উস্কানি: ইমোজি দিয়ে পূর্ণ সমর্থন জানালেন মীর আহমদ বিন কাসেম
কোনো দল নিষিদ্ধ হলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না: ড. ইউনূসকে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের বার্তা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদে খলিলুর রহমানের নিয়োগ আটকাল সেনাবাহিনী: তারেক রহমান পাচ্ছেন এসএসএফ নিরাপত্তা
ইমাম রইস উদ্দিনকে পরিকল্পিত মব তৈরি করে হত্যা করা হয়
গাজীপুরের কোনাবাড়ির আখলাদুল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা রইস উদ্দিনকে পরিকল্পিত মব তৈরি করে বলাৎকারের অভিযোগ তুলে আঘাতের পর আঘাত করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন নিহত ইমামের স্ত্রী সাজেদা আক্তার।
শুক্রবার (৯ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে সাজেদা আক্তার বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩৯নং ওয়ার্ডের হায়দারাবাদ এলাকার আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন মাওলানা রইস উদ্দিন। গত ২৭ এপ্রিল সকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বলাৎকারের পরিকল্পিত ঘটনা সাজিয়ে একটি মব তৈরি করা হয়। সেখানে গাছের সাথে বেঁধে অকথ্য নির্যাতন করা হয়, পেটে, বুকে, পিঠে, তলপেটে, চোখের নিচে ও মাথায় আঘাতের পর আঘাত
করা হয়। অতঃপর মাথার চুল কেটে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে জোর করে জবানবন্দি আদায়ের লক্ষ্যে ভিডিও করা হয়। দীর্ঘ ৪ ঘন্টা মারপিট করার পর পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। পরে তাকে পূবাইল থানায় আনা হয় এবং থানা থেকে গাজীপুর কোর্টে চালান করা হয়। গাজীপুর কোর্ট তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে। জেলা কারাগারে ওই রাত সাড়ে ৩টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। অতঃপর জেলা কারাগার থেকে তার লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে- আমার স্বামীকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের সাথে জড়িত
ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমার স্বামীর মৃত্যুর পেছনে থানা পুলিশ এবং কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল কি-না তা সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, গাজীপুর পুলিশ কমশিনারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। সুষ্ঠু তদন্ত করতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রিজভী, ইকবাল হাসান, শাহীদুল আলম রিজভী, শহীদ মাওলানা রইস উদ্দিনের মা রহিমা বেগম, তার একমাত্র কন্যা সাইয়্যিদা মাহজাবিন মাহিরা, শ্যালক মিজানুর রহমান, হাফেজ মাওলানা ওমর
ফারুক, রইস উদ্দিনের ভগিনীপতি আব্বাস উদ্দিন, ভাগিনা আবু বকর সিদ্দিক আকিব, এরশাদ ও মোরশেদ প্রমুখ।
করা হয়। অতঃপর মাথার চুল কেটে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে জোর করে জবানবন্দি আদায়ের লক্ষ্যে ভিডিও করা হয়। দীর্ঘ ৪ ঘন্টা মারপিট করার পর পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। পরে তাকে পূবাইল থানায় আনা হয় এবং থানা থেকে গাজীপুর কোর্টে চালান করা হয়। গাজীপুর কোর্ট তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে। জেলা কারাগারে ওই রাত সাড়ে ৩টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। অতঃপর জেলা কারাগার থেকে তার লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে- আমার স্বামীকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের সাথে জড়িত
ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমার স্বামীর মৃত্যুর পেছনে থানা পুলিশ এবং কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল কি-না তা সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, গাজীপুর পুলিশ কমশিনারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। সুষ্ঠু তদন্ত করতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রিজভী, ইকবাল হাসান, শাহীদুল আলম রিজভী, শহীদ মাওলানা রইস উদ্দিনের মা রহিমা বেগম, তার একমাত্র কন্যা সাইয়্যিদা মাহজাবিন মাহিরা, শ্যালক মিজানুর রহমান, হাফেজ মাওলানা ওমর
ফারুক, রইস উদ্দিনের ভগিনীপতি আব্বাস উদ্দিন, ভাগিনা আবু বকর সিদ্দিক আকিব, এরশাদ ও মোরশেদ প্রমুখ।



