ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
দিয়াবাড়িতে মিছিল শেষে নিখোঁজ: তুরাগ নদী থেকে ছাত্রলীগ কর্মীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আলবদর ও রাজাকার হিসেবে পরিচিত ছিল
ব্রিটিশ কোম্পানি হাউজের নথিতে তারেক রহমানের নাগরিকত্ব ‘ব্রিটিশ’: দ্বৈত নাগরিকত্ব ও নির্বাচনে যোগ্যতা নিয়ে নতুন বিতর্ক
বিয়ের প্রলোভনে ব্র্যাক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ: এবি পার্টি নেতা ব্যারিস্টার ফুয়াদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশে জনমনে তীব্র ক্ষোভ
‘শীতের রাতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও নারীদের বিরক্ত না করলেও পারতেন’: জাকির
টেবিলের দাঁড়িয়ে মুফতি আমির হামজার বক্তব্য, তুমুল সমালোচনা
“বিএনপি নমিনেশন দেয়নি, তার ক্ষোভ গাড়ি ভেঙে কেন?” — ভুক্তভোগী
আখাউড়ায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
২০১৪ সালে উপজেলা নির্বাচনে আখাউড়ায় একটি ভোটকেন্দ্রে গুলিতে এক ব্যক্তির নিহতের ঘটনায় সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাভোকেড আনিসুল হক ও বিজিবির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কসহ ৯ জনকে আসামি করে আদালতে একটি হত্যার এজাহার দায়ের হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভূক্তের জন্য আখাউড়ার থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আখাউড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাহার মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ গুলিতে আবদুল হাদিস মিয়া (৪২) নিহত হন। হাদিস মিয়া বাহার মিয়ার আপন ছোট ভাই। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- আখাউড়া
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল (৫২), তৎকালীন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সরাইল ১২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এরশাদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম ভূইয়া (৬৮), তাকজিল খলিফার আপন ভাই আখাউড়া স্থল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা (৫৮), আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর মিয়া (৬০), উপজেলার তারাগনের জুয়েল খান (৪৫), নাহিদ খান (৩৫), উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা নাছির মিয়া (৪৫)। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় আবুল কাশেম ভূইয়া আওয়ামী লীগ
মনোনীত চেয়ারম্যানপ্রার্থী ছিলেন। নিহত হাদিস মিয়া তারাগন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের প্রায় ৩০০ গজ দূরে অবস্থান কর ছিলেন। ভোটকেন্দ্রের কাছাকাছি বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের অবস্থানের বিষয়টি মামলার আসামিরা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফাকে মুঠোফোনে জানান। আনিসুল ও তাকজিল খলিফা কাজল সে সময় নিহত হাদিসসহ অন্যদের দেখামাত্রই গুলি করার জন্য বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ককে নির্দেশ দেন। বিজিবির তৎকালীন অধিনায়ক ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি রাইফেল নিয়ে গুলি করে। বুকের ডান পাশে একটি গুলিবিদ্ধ হলে হাদিছ মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাদিস মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। মামলার আইনজীবী নুরুজ্জামান লস্কর জানান, দ্রুত বিচার ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের
ধারাসহ হত্যার অভিযোগে এই এজাহার দায়ের করা হয়। আদালত এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করার জন্য আখাউড়ার থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে নিহত হাদিসের বড় ভাই মামলার বাদী আখাউড়া পৌর কাউন্সিলর মো. বাহার মিয়া বলেন, আমার ভাইকে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এতদিন আমরা ভয়ে মামলা করতে পারিনি। দোষীদের বিরুদ্ধে আজ মামলা করেছি, আশা করছি আদালতে ন্যায়বিচার পাব।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল (৫২), তৎকালীন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সরাইল ১২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এরশাদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম ভূইয়া (৬৮), তাকজিল খলিফার আপন ভাই আখাউড়া স্থল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা (৫৮), আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর মিয়া (৬০), উপজেলার তারাগনের জুয়েল খান (৪৫), নাহিদ খান (৩৫), উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা নাছির মিয়া (৪৫)। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় আবুল কাশেম ভূইয়া আওয়ামী লীগ
মনোনীত চেয়ারম্যানপ্রার্থী ছিলেন। নিহত হাদিস মিয়া তারাগন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের প্রায় ৩০০ গজ দূরে অবস্থান কর ছিলেন। ভোটকেন্দ্রের কাছাকাছি বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের অবস্থানের বিষয়টি মামলার আসামিরা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফাকে মুঠোফোনে জানান। আনিসুল ও তাকজিল খলিফা কাজল সে সময় নিহত হাদিসসহ অন্যদের দেখামাত্রই গুলি করার জন্য বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ককে নির্দেশ দেন। বিজিবির তৎকালীন অধিনায়ক ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি রাইফেল নিয়ে গুলি করে। বুকের ডান পাশে একটি গুলিবিদ্ধ হলে হাদিছ মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাদিস মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। মামলার আইনজীবী নুরুজ্জামান লস্কর জানান, দ্রুত বিচার ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের
ধারাসহ হত্যার অভিযোগে এই এজাহার দায়ের করা হয়। আদালত এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করার জন্য আখাউড়ার থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে নিহত হাদিসের বড় ভাই মামলার বাদী আখাউড়া পৌর কাউন্সিলর মো. বাহার মিয়া বলেন, আমার ভাইকে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এতদিন আমরা ভয়ে মামলা করতে পারিনি। দোষীদের বিরুদ্ধে আজ মামলা করেছি, আশা করছি আদালতে ন্যায়বিচার পাব।



