ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
অবিনশ্বর বিজয় দিবস ২০২৫
নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর যেদিন বিজয়ের সূর্য হেসেছিল বাংলার আকাশে
দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা
প্রহসন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, জনগণের রায় ছাড়াই ক্ষমতার বন্দোবস্ত মানবে না দেশ
নিয়াজীর আত্মসমর্পণের চুক্তিনামা নিয়ে আসেন
ক্যু করে পদচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়ে ইউনুসের কাছে রাষ্ট্রপতি এখন অচ্ছুৎ!
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের লুটপাট: জুলাইয়ের খুনিদের আসল চেহারা
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, নাকি সংঘর্ষ—সংকটময় মোড়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার বিষয়ে গণভোট আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দেশের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্ট দাঙ্গার পর, যে দাঙ্গার পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়।
বর্তমানে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস-এর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন নিয়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যে পড়েছে। সংস্কার বিলম্ব, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সংঘাত সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
এই নির্বাচনে ভোটাররা শুধু সংসদ সদস্যই নির্বাচন করবেন না, বরং ‘জুলাই সনদ’ নামে পরিচিত একটি সংস্কার প্যাকেজের ওপর গণভোটেও অংশ নেবেন।
৩০০ আসনে প্রায় ১২ কোটি ৭৬ লাখ ভোটার ভোট দেবেন। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। ভোটের সময়ও আট ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে নয় ঘণ্টা করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সামরিক বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপিকে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকার পর আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে প্রস্তুত।অন্যদিকে, ২০২৪ সালের আন্দোলন থেকে জন্ম নেওয়া নতুন দল এনসিপির সামনে রাজপথের জনপ্রিয়তাকে ভোটে রূপ দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে শেখ
হাসিনার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। দলটির কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার নিষিদ্ধ করায় তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সতর্ক করে বলেছেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে ব্যাপক বিক্ষোভ হবে এবং “সংঘর্ষ অনিবার্য”। তিনি দাবি করেছেন, দলের লাখো কর্মী ও কোটি সমর্থক আন্দোলনে নামতে প্রস্তুত। বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ থাকায় তৈরি হওয়া রাজনৈতিক শূন্যতা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে পারে। পাশাপাশি দলগুলোর অভ্যন্তরীণ বিভক্তিও অস্থিরতা বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করছে। এই উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটেই রাজধানীর
বিজয়নগরে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি-এর ওপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে। তফসিল ঘোষণার পরদিন মোটরসাইকেলযোগে আসা দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালায়। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদি বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতাল-এ চিকিৎসাধীন। ঘটনাটিকে নির্বাচনী পরিবেশ বানচালের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দল দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ইলেকশন অবজার্ভার সোসাইটি (ইওএস) এটিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য বড় হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা-কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ, মশাল মিছিল, বিক্ষোভ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার
পরদিন রাজধানীতে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি-কে দিনের বেলায় গুলি করার ঘটনায় নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, এ ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অশনিসংকেত এবং মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়াতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, চট্টগ্রাম ও পাবনায় আগেও প্রার্থীদের জনসংযোগকালে সহিংসতা ঘটেছে, তবে হাদির ওপর হামলাটি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারও বিষয়টিকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হিসেবে দেখছে। এদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র এখনো পুরোপুরি উদ্ধার না হওয়ায় সহিংসতার ঝুঁকি বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ নতুন করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি
জোরদার করা হয়েছে। আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, দেশে এখনো “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” নেই এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শুধু নতুন সরকার গঠনের প্রশ্ন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের পরীক্ষা। সরকার যদি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক সংলাপ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এই নির্বাচন সংঘর্ষ ও অস্থিরতার দিকে মোড় নিতে পারে—এমন আশঙ্কাই এখন সবচেয়ে বড় বাস্তবতা।
৩০০ আসনে প্রায় ১২ কোটি ৭৬ লাখ ভোটার ভোট দেবেন। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। ভোটের সময়ও আট ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে নয় ঘণ্টা করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সামরিক বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপিকে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকার পর আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে প্রস্তুত।অন্যদিকে, ২০২৪ সালের আন্দোলন থেকে জন্ম নেওয়া নতুন দল এনসিপির সামনে রাজপথের জনপ্রিয়তাকে ভোটে রূপ দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে শেখ
হাসিনার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। দলটির কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার নিষিদ্ধ করায় তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়েছে। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সতর্ক করে বলেছেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে ব্যাপক বিক্ষোভ হবে এবং “সংঘর্ষ অনিবার্য”। তিনি দাবি করেছেন, দলের লাখো কর্মী ও কোটি সমর্থক আন্দোলনে নামতে প্রস্তুত। বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ থাকায় তৈরি হওয়া রাজনৈতিক শূন্যতা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে পারে। পাশাপাশি দলগুলোর অভ্যন্তরীণ বিভক্তিও অস্থিরতা বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করছে। এই উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটেই রাজধানীর
বিজয়নগরে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি-এর ওপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে। তফসিল ঘোষণার পরদিন মোটরসাইকেলযোগে আসা দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালায়। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদি বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতাল-এ চিকিৎসাধীন। ঘটনাটিকে নির্বাচনী পরিবেশ বানচালের ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দল দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ইলেকশন অবজার্ভার সোসাইটি (ইওএস) এটিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য বড় হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা-কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ, মশাল মিছিল, বিক্ষোভ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার
পরদিন রাজধানীতে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি-কে দিনের বেলায় গুলি করার ঘটনায় নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, এ ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অশনিসংকেত এবং মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়াতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, চট্টগ্রাম ও পাবনায় আগেও প্রার্থীদের জনসংযোগকালে সহিংসতা ঘটেছে, তবে হাদির ওপর হামলাটি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারও বিষয়টিকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হিসেবে দেখছে। এদিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র এখনো পুরোপুরি উদ্ধার না হওয়ায় সহিংসতার ঝুঁকি বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ নতুন করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে এবং গোয়েন্দা নজরদারি
জোরদার করা হয়েছে। আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, দেশে এখনো “লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড” নেই এবং প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। সব মিলিয়ে, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শুধু নতুন সরকার গঠনের প্রশ্ন নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের পরীক্ষা। সরকার যদি সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক সংলাপ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এই নির্বাচন সংঘর্ষ ও অস্থিরতার দিকে মোড় নিতে পারে—এমন আশঙ্কাই এখন সবচেয়ে বড় বাস্তবতা।



