প্রগতিশীলতার মুখোশ খুলে উগ্রবাদের পক্ষে: ঢাবি শিক্ষক মোনামীর ভয়ংকর ভোলবদল ও হিযবুত-জামায়াত কানেকশন – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
     ১০:০১ অপরাহ্ণ

আরও খবর

মার্কিন সেনাদের স্থলাভিষিক্ত হতে কাতারে সেনা পাঠাতে চায় বাংলাদেশ, দোহায় পিএসও

ফয়েজ তৈয়বের ইশারায় সংবাদ সম্মেলন বানচালের চেষ্টা? মধ্যরাতে সাংবাদিক সোহেলকে তুলে নিল ডিবি

৯ জনকে সুবিধা দিতে ২৫ হাজার ব্যবসায়ীকে পথে বসানোর ‘চক্রান্ত’, নেপথ্যে উপদেষ্টার ইশারা: সাংবাদিক সোহেল

কাশিমপুর কারাগার নাকি ‘মৃত্যুকূপ’ কাউন্সিলর মুরাদের মৃত্যু এবং প্রশ্নবিদ্ধ ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’-এর নেপথ্যে ভয়াবহ আলামত

হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ ঢাকা: আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনীতির বিচারে কতটা বাস্তবসম্মত?

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরগুলো নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে ‘গোপন চুক্তি’র অভিযোগ আশরাফুল আলম খোকনের

‘আশুলিয়ায় ছয়টি মরদেহ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেন ওসি সায়েদ ও এএসআই বিশ্বজিৎ’

প্রগতিশীলতার মুখোশ খুলে উগ্রবাদের পক্ষে: ঢাবি শিক্ষক মোনামীর ভয়ংকর ভোলবদল ও হিযবুত-জামায়াত কানেকশন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ | ১০:০১ 25 ভিউ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রোক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামী। ৫ আগস্টের আগে যিনি ছিলেন আওয়ামীপন্থী নীল দলের কট্টর সমর্থক ও সুবিধাভোগী, পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই ভোল পাল্টে তিনি এখন জামায়াত-শিবিরের অঘোষিত ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’। প্রগতিশীলতার লেবাসে দীর্ঘদিন ধরে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এখন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর এবং জামায়াতে ইসলামীর আন্তর্জাতিক লবিস্ট হিসেবে কাজ করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা মোনামী নীল দলের ব্যানারে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। এমনকি গত মে মাসেও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সঙ্গে চীন সফরে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হন তিনি। অথচ সরকার পতনের পরপরই তিনি

‘মুহি শিবির হলে শিবির ভালো’ স্লোগান দিয়ে উগ্রবাদের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, এটি কোনো আদর্শিক পরিবর্তন নয়, বরং চরম সুবিধাবাদ এবং ক্ষমতার বৃত্তে টিকে থাকার ঘৃণ্য কৌশল। মোনামীর উত্থানের পেছনে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর-এর সংশ্লিষ্টতার ছায়া স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তথ্যে প্রকাশ, মোনামীর মেন্টর এবং ঢাবি লোকপ্রশাসন বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. সৈয়দা লাসনা কবীর এবং তাঁর স্বামী ড. শেখ তৌফিক হিযবুত তাহরীরের শীর্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত। ড. তৌফিক নিষিদ্ধ সংগঠনটির রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। অভিযোগ, এই ‘তৌফিক-লাসনা’ নেক্সাসেরই নতুন এবং আধুনিক ‘প্রজেক্ট’ হলেন মোনামী। প্রগতিশীল পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি কীভাবে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর হাতের পুতুলে পরিণত হলেন, তা

নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো, মোনামী এখন বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাসে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি হিসেবে যাতায়াত শুরু করেছেন। টার্কিশ ফান্ডের নামে লাখ লাখ টাকা উপঢৌকন হিসেবে গ্রহণের অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ডাচ রাষ্ট্রদূতের বাসায় জামায়াতের প্রতিনিধি সেজে তাঁর উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, তিনি আন্তর্জাতিক মহলে উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে ‘গণতান্ত্রিক’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার মিশনে নেমেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। মোনামীর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও রয়েছে স্বচ্ছতার অভাব। পিতা আমিনুল ইসলাম মিলন ছিলেন আওয়ামী লীগ আমলের প্রভাবশালী আমলা এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা। অভিযোগ রয়েছে, পিতার প্রভাব এবং ড. মোহাব্বত খান ও ড. লাসনা কবীরের লবিংয়ের

জোরেই তিনি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। মেধার চেয়ে ‘কানেকশন’ এবং ‘পারিবারিক পরিচয়’ তাঁর নিয়োগে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর নাটক সাজিয়ে মোনামী মূলত নিজের ইমেজ ক্লিন করার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পুলিশের সঙ্গে মূল প্রতিরোধ গড়েছিলেন অধ্যাপক ড. নুসরাত জাহান চৌধুরী, কিন্তু মিডিয়ার সামনে হিরো সাজার কসরত করেছেন মোনামী। মুক্তিযোদ্ধা পিতার সন্তান ও সাবেক সেনাপ্রধানের পুত্রবধূ হয়েও মোনামী যেভাবে উগ্রবাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন, তা নজিরবিহীন। প্রশ্ন উঠছে—মোনামী কি তবে হিযবুত তাহরীর ও জামায়াতের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সুশীল সমাজে ঘাপটি মেরে থাকা কোনো ‘স্লিপার সেল’? তাঁর এই রহস্যজনক তৎপরতা এবং ভোলবদল জাতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য

অশনিসংকেত।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
মার্কিন সেনাদের স্থলাভিষিক্ত হতে কাতারে সেনা পাঠাতে চায় বাংলাদেশ, দোহায় পিএসও ফয়েজ তৈয়বের ইশারায় সংবাদ সম্মেলন বানচালের চেষ্টা? মধ্যরাতে সাংবাদিক সোহেলকে তুলে নিল ডিবি ৯ জনকে সুবিধা দিতে ২৫ হাজার ব্যবসায়ীকে পথে বসানোর ‘চক্রান্ত’, নেপথ্যে উপদেষ্টার ইশারা: সাংবাদিক সোহেল কাশিমপুর কারাগার নাকি ‘মৃত্যুকূপ’ কাউন্সিলর মুরাদের মৃত্যু এবং প্রশ্নবিদ্ধ ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’-এর নেপথ্যে ভয়াবহ আলামত হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ ঢাকা: আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনীতির বিচারে কতটা বাস্তবসম্মত? প্রগতিশীলতার মুখোশ খুলে উগ্রবাদের পক্ষে: ঢাবি শিক্ষক মোনামীর ভয়ংকর ভোলবদল ও হিযবুত-জামায়াত কানেকশন দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরগুলো নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে ‘গোপন চুক্তি’র অভিযোগ আশরাফুল আলম খোকনের নিউইয়র্কে ফ্ল্যাট, হীরাখচিত মুকুট ও ব্যক্তিগত বিমান, মিথিলা কি পাবেন সেই স্বপ্নের চাবি? গাজীপুরে কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট ‘আশুলিয়ায় ছয়টি মরদেহ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেন ওসি সায়েদ ও এএসআই বিশ্বজিৎ’ একটানে জালে উঠল ২০০ মণ ইলিশ এত বড় তারকা হয়েও হামজার মধ্যে বিন্দুমাত্র অহংকার নেই : পাপ্পু একজন উপদেষ্টার ইশারায় আমাকে আটক করা হয়েছিল : সাংবাদিক সোহেল সৌদি আরবকে বন্ধু ঘোষণা করলেন ট্রাম্প ৩ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ ১৪ ডিগ্রির ঘরে তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা, আসছে শৈত্যপ্রবাহ মাতারবাড়ীর বয়লারে ছাই, ক্ষতি ১১৬৯ কোটি টাকা ঘরে বসেই মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করবেন যেভাবে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, বিক্রিও চড়া ময়মনসিংহে ট্রেনে আগুন