ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন মির্জা ফখরুল
মধ্যরাতে জারাকে নিয়ে সারজিসের ফেসবুক পোস্টে চমক
এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
জামায়াতের ক্ষমা প্রার্থনা: তিন আমির, তিন ভাষা
বিএনপির মনোনয়ন পাননি নেতা, প্রতিবাদে দুই কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন সমর্থকদের
৫২২ ঘণ্টা অনশন করলেও কিছু করার নেই— তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব
বিএনপি-গণঅধিকারের ৬৪ নেতাকর্মীর জামায়াতে যোগদান
আওয়ামী লীগ-জাপাকে নির্বাচনের বাইরে রাখলে ভোটে যাবেন না কাদের সিদ্দিকী, রাজনীতির মোড় কী ঘুরছে?
দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে যখন বিএনপি ও জামায়াত এককভাবে মাঠে নামার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তখন ভিন্ন সুর শোনা গেল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কণ্ঠে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪-দলীয় জোটকে বাইরে রেখে তিনি কোনো নির্বাচনে যাবেন না।
সোমবার (১০ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন,
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় রাজনৈতিক পুনর্গঠন চলছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি—দুটি দলই প্রশাসনিক ও রাজনৈতিকভাবে চাপে রয়েছে। বিএনপি এবং জামায়াত এককভাবে প্রার্থী ঘোষণার পথে, কিন্তু
তা নিয়ে বিরোধী শিবিরেও বিভাজন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্য রাজনৈতিক ভারসাম্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের দাবি নতুন করে সামনে এনেছে। তিনি মূলত ইঙ্গিত দিয়েছেন—শুধু আওয়ামী লীগ নয়, সব রাজনৈতিক পক্ষের অংশগ্রহণ ছাড়া এই নির্বাচন জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারবে না। কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আওয়ামী লীগের ৪৩ শতাংশ, জাতীয় পার্টির ১৪ শতাংশ, আমাদের ৩ শতাংশ ভোট আছে। যদি আওয়ামী লীগের ভোটাররা ভোট দিতে না পারে, যদি জাতীয় পার্টি ও ১৪–দলীয় জোটকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়, তাহলে আমি গামছা নিয়ে ভোটে যাব না। আমরা জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই। শুধু বিএনপি বা জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।” অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
মুহাম্মদ ইউনূসের দিকেও কাদের সিদ্দিকীর কঠোর সমালোচনা ছিল। তিনি বলেন, “ইউনূস সাহেবকে অনেক বড় মানুষ ভাবছিলাম। শেখ হাসিনা যখন আপনাকে সুদখোর বলেছিল, তখন আমি আপনার পাশে ছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আপনি বাংলার মানুষকে চেনেন না। এনজিও চালানো আর দেশ চালানো এক কথা নয়। এখনো সময় আছে, সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করুন।” বঙ্গবীরের এই অবস্থান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর নতুন চাপ তৈরি করবে, কারণ তিনি ঐতিহাসিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের প্রতীকী চরিত্র হিসেবে বিবেচিত। তাঁর এই আহ্বান হয়তো আওয়ামী লীগকে আংশিকভাবে হলেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ফেরানোর আলোচনায় নতুন মাত্রা আনতে পারে। জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা নিয়েও তিনি তীব্র সমালোচনা করেন। কাদের সিদ্দিকীর ভাষায়, “এই দল সব সময় উল্টো
পথে চলে। পাকিস্তান আমলে তারা ছিল ব্রিটিশদের দালাল, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছে। এখন আবার একা নির্বাচনে নামছে। যদি জামায়াত একা নির্বাচন করে পাঁচটি আসনও পায়, তাহলে আল্লাহকে হাজির নাজির করে বলছি—ভাবব, আমার রাজনীতি শেখা হয়নি।” বিএনপিকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “শেখ হাসিনার সরকার মানুষকে জুলুম করেছে, কিন্তু বিএনপিও এর বাইরে না। ৫ আগস্টের পর দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের চেয়ে ৪–১০ গুণ বেশি চাঁদাবাজি হয়েছে। শেখ হাসিনার পতনের সময় মানুষের মনে ধানের শীষ ছিল এক নম্বরে, এখন তা পেটের বিষ।” তিনি বলেন, “আমি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করি না, আমি বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করি। আমি মুক্তিযুদ্ধ করি, জয় বাংলা বলেই
রাজনীতি করি। যদি জয় বাংলা বলা অপরাধ হয়, তাহলে আমাকে প্রথমে গ্রেপ্তার করুন।” সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বহেড়াতৈল ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান।
তা নিয়ে বিরোধী শিবিরেও বিভাজন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্য রাজনৈতিক ভারসাম্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের দাবি নতুন করে সামনে এনেছে। তিনি মূলত ইঙ্গিত দিয়েছেন—শুধু আওয়ামী লীগ নয়, সব রাজনৈতিক পক্ষের অংশগ্রহণ ছাড়া এই নির্বাচন জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারবে না। কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আওয়ামী লীগের ৪৩ শতাংশ, জাতীয় পার্টির ১৪ শতাংশ, আমাদের ৩ শতাংশ ভোট আছে। যদি আওয়ামী লীগের ভোটাররা ভোট দিতে না পারে, যদি জাতীয় পার্টি ও ১৪–দলীয় জোটকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়, তাহলে আমি গামছা নিয়ে ভোটে যাব না। আমরা জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই। শুধু বিএনপি বা জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।” অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা
মুহাম্মদ ইউনূসের দিকেও কাদের সিদ্দিকীর কঠোর সমালোচনা ছিল। তিনি বলেন, “ইউনূস সাহেবকে অনেক বড় মানুষ ভাবছিলাম। শেখ হাসিনা যখন আপনাকে সুদখোর বলেছিল, তখন আমি আপনার পাশে ছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আপনি বাংলার মানুষকে চেনেন না। এনজিও চালানো আর দেশ চালানো এক কথা নয়। এখনো সময় আছে, সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করুন।” বঙ্গবীরের এই অবস্থান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর নতুন চাপ তৈরি করবে, কারণ তিনি ঐতিহাসিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের প্রতীকী চরিত্র হিসেবে বিবেচিত। তাঁর এই আহ্বান হয়তো আওয়ামী লীগকে আংশিকভাবে হলেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ফেরানোর আলোচনায় নতুন মাত্রা আনতে পারে। জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা নিয়েও তিনি তীব্র সমালোচনা করেন। কাদের সিদ্দিকীর ভাষায়, “এই দল সব সময় উল্টো
পথে চলে। পাকিস্তান আমলে তারা ছিল ব্রিটিশদের দালাল, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছে। এখন আবার একা নির্বাচনে নামছে। যদি জামায়াত একা নির্বাচন করে পাঁচটি আসনও পায়, তাহলে আল্লাহকে হাজির নাজির করে বলছি—ভাবব, আমার রাজনীতি শেখা হয়নি।” বিএনপিকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “শেখ হাসিনার সরকার মানুষকে জুলুম করেছে, কিন্তু বিএনপিও এর বাইরে না। ৫ আগস্টের পর দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের চেয়ে ৪–১০ গুণ বেশি চাঁদাবাজি হয়েছে। শেখ হাসিনার পতনের সময় মানুষের মনে ধানের শীষ ছিল এক নম্বরে, এখন তা পেটের বিষ।” তিনি বলেন, “আমি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ করি না, আমি বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করি। আমি মুক্তিযুদ্ধ করি, জয় বাংলা বলেই
রাজনীতি করি। যদি জয় বাংলা বলা অপরাধ হয়, তাহলে আমাকে প্রথমে গ্রেপ্তার করুন।” সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বহেড়াতৈল ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান।



