ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সর্বদলীয় নির্বাচন ছাড়া সেনা মোতায়েন নয়, আসছে ‘অপারেশন ক্লিনহার্ট ২.০’
আরাকান আর্মির অনুপ্রবেশের চেষ্টা, সীমান্তে বিজিবির সাথে গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে
বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচনের ঝুঁকি, মার্কিন হস্তক্ষেপ চাইলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
‘আমি মুফতি ইব্রাহিমের ছাত্র নই, এটি ডাহা মিথ্যাচার’ – ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন
ইউনুসের পদত্যাগ ও ‘ক্যাঙ্গারু কোর্ট’ বন্ধের দাবিতে ঢাকা লকডাউনের ডাক, কঠোর হুঁশিয়ারি পঙ্কজ দেবনাথের
বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে ভারতের ৩ সেনা ঘাঁটি স্থাপন
দুই দিনের সফরে আজ পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ ঘিরে ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তা: পুলিশি পোশাকে নামছে ব্যক্তিগত মিলিশিয়া, মোতায়েন প্রায় ৭ হাজার সদস্য
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ডাকা চার দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সম্ভাব্য সহিংসতা মোকাবেলায় রাজধানী ঢাকায় প্রায় ৭ হাজার ‘পুলিশ’ সদস্য মোতায়েনের এক বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই বাহিনীর একটি বড় অংশ হিসেবে থাকছে পুলিশি পোশাকে সজ্জিত একটি নতুন ব্যক্তিগত মিলিশিয়া বাহিনী।
‘নর্থইস্ট নিউজ’-এর হাতে আসা বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষ নথি থেকে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেছে। যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার উদ্যোগে গঠিত ৯ হাজার সদস্যের একটি ব্যক্তিগত মিলিশিয়া বাহিনী থেকে তরুণদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই বাহিনীর সদস্যরা ইতোমধ্যে একটি ‘মবিলাইজেশন
ড্রিল’ বা মহড়ায় অংশ নিয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া আওয়ামী লীগের চার দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির আগেই তাদের মাঠে নামানো হচ্ছে। নিরাপত্তা সূত্রের খবর, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নির্দেশে গঠিত এই বাহিনীর কয়েকশ তরুণ সদস্যকে পুলিশের পোশাক পরানো হবে। তাদের অনেককে ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) স্ট্যান্ডার্ড ইউনিফর্ম সরবরাহ করা হয়েছে এবং তারা রাজধানীর বিভিন্ন কৌশলগত অবস্থানে অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা: ৭ নভেম্বর জারি করা ৯ পৃষ্ঠার পুলিশি নথি অনুযায়ী, এই বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনার আওতায় মোট ৬,৮২৯ জন সদস্য মোতায়েন করা হবে, যাদের মধ্যে সশস্ত্র সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত। পুরো ঢাকাকে নয়টি সেক্টরে বিভক্ত করে এই নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এই
সেক্টরগুলোর অধীনে ডিএমপির আটটি বিভাগ (রমনা, মতিঝিল, ওয়ারী, লালবাগ, তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর এবং উত্তরা) এবং শহরের ৪৯টি থানার সব এলাকাকে নিয়ে আসা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের কার্যকরভাবে মোকাবেলার জন্য পুরো বাহিনীকে ছোট ছোট প্লাটুনে ভাগ করা হবে এবং প্রতিটি থানা এলাকায় একটি করে প্লাটুন মোতায়েন থাকবে। কমান্ড ও কন্ট্রোল: পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে, যার দায়িত্বে থাকবেন একজন ডেপুটি কমিশনার এবং একজন সহকারী ডেপুটি কমিশনার। এই কন্ট্রোল রুম থেকে পুলিশ ওয়্যারলেস সিস্টেমের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে থাকা প্লাটুন কমান্ডারদের সরাসরি নির্দেশনা দেওয়া হবে। যেকোনো ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ বা সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই কন্ট্রোল রুম থেকে সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনার, সহকারী কমিশনার এবং থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জানানো হবে। কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতি ঘণ্টায় পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে। তবে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য সরাসরি ডিএমপি কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার এবং ক্রাইম ও অপারেশনস ইউনিটের প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। সাজসরঞ্জাম ও প্রস্তুতি: বিক্ষোভ চলাকালীন চার দিন মোতায়েন থাকা সকল ‘পুলিশ’ সদস্যকে দাঙ্গা মোকাবেলার পোশাক (Riot Gear), রেইনকোট এবং পোর্টেবল ওয়্যারলেস রিসিভার দেওয়া হবে। নথিতে বলা হয়েছে, দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও সদস্যদের কাছে বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকবে। এছাড়া, সহিংসতায় কোনো সদস্য আহত হলে তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পুলিশের যানবাহন প্রস্তুত রাখা হবে। নথিতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, "অপারেশন সফল করার জন্য কর্মকর্তা এবং
বাহিনীর মধ্যে পূর্ণ সমন্বয় থাকতে হবে" এবং মাঠপর্যায়ের কমান্ডারদের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
ড্রিল’ বা মহড়ায় অংশ নিয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া আওয়ামী লীগের চার দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির আগেই তাদের মাঠে নামানো হচ্ছে। নিরাপত্তা সূত্রের খবর, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নির্দেশে গঠিত এই বাহিনীর কয়েকশ তরুণ সদস্যকে পুলিশের পোশাক পরানো হবে। তাদের অনেককে ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) স্ট্যান্ডার্ড ইউনিফর্ম সরবরাহ করা হয়েছে এবং তারা রাজধানীর বিভিন্ন কৌশলগত অবস্থানে অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা: ৭ নভেম্বর জারি করা ৯ পৃষ্ঠার পুলিশি নথি অনুযায়ী, এই বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনার আওতায় মোট ৬,৮২৯ জন সদস্য মোতায়েন করা হবে, যাদের মধ্যে সশস্ত্র সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত। পুরো ঢাকাকে নয়টি সেক্টরে বিভক্ত করে এই নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এই
সেক্টরগুলোর অধীনে ডিএমপির আটটি বিভাগ (রমনা, মতিঝিল, ওয়ারী, লালবাগ, তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর এবং উত্তরা) এবং শহরের ৪৯টি থানার সব এলাকাকে নিয়ে আসা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের কার্যকরভাবে মোকাবেলার জন্য পুরো বাহিনীকে ছোট ছোট প্লাটুনে ভাগ করা হবে এবং প্রতিটি থানা এলাকায় একটি করে প্লাটুন মোতায়েন থাকবে। কমান্ড ও কন্ট্রোল: পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে, যার দায়িত্বে থাকবেন একজন ডেপুটি কমিশনার এবং একজন সহকারী ডেপুটি কমিশনার। এই কন্ট্রোল রুম থেকে পুলিশ ওয়্যারলেস সিস্টেমের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে থাকা প্লাটুন কমান্ডারদের সরাসরি নির্দেশনা দেওয়া হবে। যেকোনো ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ বা সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই কন্ট্রোল রুম থেকে সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনার, সহকারী কমিশনার এবং থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জানানো হবে। কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতি ঘণ্টায় পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে। তবে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য সরাসরি ডিএমপি কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার এবং ক্রাইম ও অপারেশনস ইউনিটের প্রধানদের কাছে পাঠানো হবে। সাজসরঞ্জাম ও প্রস্তুতি: বিক্ষোভ চলাকালীন চার দিন মোতায়েন থাকা সকল ‘পুলিশ’ সদস্যকে দাঙ্গা মোকাবেলার পোশাক (Riot Gear), রেইনকোট এবং পোর্টেবল ওয়্যারলেস রিসিভার দেওয়া হবে। নথিতে বলা হয়েছে, দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও সদস্যদের কাছে বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকবে। এছাড়া, সহিংসতায় কোনো সদস্য আহত হলে তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পুলিশের যানবাহন প্রস্তুত রাখা হবে। নথিতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, "অপারেশন সফল করার জন্য কর্মকর্তা এবং
বাহিনীর মধ্যে পূর্ণ সমন্বয় থাকতে হবে" এবং মাঠপর্যায়ের কমান্ডারদের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।



