ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
তুলসি গ্যাবার্ডের ঘোষনা ‘ওয়াশিংটনের পুরানো রেজিম চেঞ্জের যুগ শেষ’
সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড়, এক সপ্তাহেই ২১ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার
ভারতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১৫
আল-ফাশির দখলে নিয়ে যুদ্ধাপরাধ করছে আরএসএফ : জাতিসংঘ
নেপালে এভারেস্টের পাদদেশে আটকা শতাধিক পর্যটক
পাকিস্তান কি গোপনে ভয়ংকর কোনো অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে?
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নিহত ৯
মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপমূলক নীতি থেকে সরছে যুক্তরাষ্ট্র: তুলসি গ্যাবার্ড; ট্রাম্পের ফোকাস অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘকাল ধরে চলমান ‘সরকার পরিবর্তন’ (Regime Change) এবং ‘রাষ্ট্র গঠন’ (Nation Building)-এর ক্ষতিকর নীতি থেকে সরে আসছে। সম্প্রতি এই মন্তব্য করেছেন দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক (Director of National Intelligence) তুলসি গ্যাবার্ড। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এখন গণতন্ত্রের প্রচার এবং সামরিক হস্তক্ষেপমূলক নীতির বদলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার দিকে মনোনিবেশ করছে।
বাহরাইনে মানামা সংলাপের আগে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দেওয়া এক বক্তব্যে মার্কিন কর্মকর্তা তুলসি গ্যাবার্ড বলেন, “গত কয়েক দশক ধরে, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সরকার পরিবর্তন অথবা রাষ্ট্র গঠনে আটকে রয়েছে। যা ক্ষতিকর এবং এর কোনো শেষ নেই।”
তিনি এই হস্তক্ষেপমূলক নীতির ফলাফল তুলে ধরে বলেন, “ফলাফল কী?— ট্রিলিয়ন ডলার
খরচ, অসংখ্য জীবনহানি এবং কিছুক্ষেত্রে বিশাল নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করা।” গ্যাবার্ডের মতে, এই নীতি ছিল এক রকম— সরকার পতন ঘটানো এবং অন্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র গঠিত সরকার চাপানোর চেষ্টা করা, যার ফলে বন্ধুর চেয়ে শত্রুর সংখ্যাই কেবল বেড়েছে। ট্রাম্পের শান্তির দূত ইমেজ ও সিরিয়া নীতি দীর্ঘদিন ধরেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে যুদ্ধবাজের বদলে শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তার প্রথম মেয়াদে তিনি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদিও কাতারে তালেবান নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর চুক্তি হলেও জো বাইডেনের আমলে সেই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া ২০২১ সালে অনেকটা তাড়াহুড়ো করে এবং বিশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়। এদিকে, তুলসি গ্যাবার্ডের এই বক্তব্যের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের
সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য নীতি সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর সাবেক জিহাদী আহমেদ আল-শারা নেতৃত্ব গ্রহণ করলে, ট্রাম্প প্রশাসন তাকে উদার হাতে বরণ করে নেয়। এই পদক্ষেপটিকে হস্তক্ষেপমূলক রাষ্ট্র গঠনের নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ও ইরানের পারমাণবিক তৎপরতা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক তুলসি গ্যাবার্ড তার বক্তব্যে স্বীকার করেন যে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি অত্যন্ত ভঙ্গুর। এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে ইরানকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থা (IAEA) জানিয়েছে যে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোগুলোতে নতুন করে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে, যা উদ্বেগের
জন্ম দিয়েছে।
খরচ, অসংখ্য জীবনহানি এবং কিছুক্ষেত্রে বিশাল নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করা।” গ্যাবার্ডের মতে, এই নীতি ছিল এক রকম— সরকার পতন ঘটানো এবং অন্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র গঠিত সরকার চাপানোর চেষ্টা করা, যার ফলে বন্ধুর চেয়ে শত্রুর সংখ্যাই কেবল বেড়েছে। ট্রাম্পের শান্তির দূত ইমেজ ও সিরিয়া নীতি দীর্ঘদিন ধরেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে যুদ্ধবাজের বদলে শান্তির দূত হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তার প্রথম মেয়াদে তিনি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদিও কাতারে তালেবান নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর চুক্তি হলেও জো বাইডেনের আমলে সেই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া ২০২১ সালে অনেকটা তাড়াহুড়ো করে এবং বিশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়। এদিকে, তুলসি গ্যাবার্ডের এই বক্তব্যের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের
সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য নীতি সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর সাবেক জিহাদী আহমেদ আল-শারা নেতৃত্ব গ্রহণ করলে, ট্রাম্প প্রশাসন তাকে উদার হাতে বরণ করে নেয়। এই পদক্ষেপটিকে হস্তক্ষেপমূলক রাষ্ট্র গঠনের নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ও ইরানের পারমাণবিক তৎপরতা ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক তুলসি গ্যাবার্ড তার বক্তব্যে স্বীকার করেন যে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি অত্যন্ত ভঙ্গুর। এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে ইরানকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থা (IAEA) জানিয়েছে যে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোগুলোতে নতুন করে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে, যা উদ্বেগের
জন্ম দিয়েছে।



