ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ঢাকায় স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল: অবৈধ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আওয়ামী লীগ, ১০ মাসে গ্রেপ্তার ৩ হাজার
ইউনূস সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকার ৪০ স্থানে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল
রাউজান-গাজীপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্র থানা লুটের
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বিভিন্ন পশ্চিমা কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
অক্টোবরে হেফাজতে মৃত্যু ও অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার বৃদ্ধি, মানবাধিকার পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’
অধস্তন আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার বসছে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা
জুলাই আন্দোলন বিপ্লব নয়, এটি ছিল বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলা: শেখ হাসিনা
কারখানা বন্ধ হওয়া দেশের জন্য খারাপ কিছু নয়: প্রেসসচিব শফিকুল আলম
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এর তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশের ২৫৮টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতির জন্য পরোক্ষভাবে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এই অভিযোগের জবাব দিয়েছেন। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) তার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
শফিকুল আলম তার পোস্টে উল্লেখ করেন যে, একসময় বাংলাদেশে পাঁচ হাজারেরও বেশি তৈরি পোশাক কারখানা ছিল। এই রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) প্ল্যান্টগুলোর অনেকগুলোই আবাসিক এলাকায় পরিচালিত হতো, যেখানে প্রায়শই এক ভবনে একাধিক কারখানা দেখা যেত, প্রতিটি কারখানায় ১০০ থেকে ৫০০ শ্রমিক কাজ করতেন। তিনি রানা প্লাজা কমপ্লেক্সের
কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে পাঁচটি কারখানা ছিল, যার মধ্যে ফ্যান্টম অ্যাপারেলস অন্যতম। তিনি আরও জানান, ১৯৯০ এবং ২০০০-এর দশকেও মালিবাগে ছোট ছোট কারখানা ছিল যা ২০১০-এর দশকের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বা ঢাকার উপকণ্ঠে স্থানান্তরিত হয়েছে। গাজীপুরের স্যান্ডব্লাস্টিং ইউনিটগুলোর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একসময় শত শত স্যান্ডব্লাস্টিং ইউনিট গোপনে বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জিন্স স্যান্ডব্লাস্টিংয়ের কাজ করত। এই কারখানাগুলোও কমপ্লায়েন্স সমস্যার কারণে ২০১০-এর দশকের শেষের দিকে বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা বন্ধের সঙ্গে রপ্তানির একটি বিপরীতমুখী চিত্রও তুলে ধরেন প্রেসসচিব। তিনি লেখেন, "আজ, বাংলাদেশে সক্রিয় গার্মেন্টস কারখানার সংখ্যা দুই হাজারের সামান্য বেশি, যা ১৯৯০ এবং ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকে প্রায়
পাঁচ হাজার ছিল। তবুও আমাদের গার্মেন্টস রপ্তানি এখন ১৯৯০-এর দশকের শেষ বা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের তুলনায় চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি।" তিনি আরও জানান, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের বার্ষিক গার্মেন্টস রপ্তানি প্রথমবারের মতো এক বিলিয়ন ডলারের সীমা অতিক্রম করেছিল, অথচ এই বছর শুধু ইয়াংওয়ান (Youngone) বা হা-মীম গ্রুপের মতো জায়ান্টদের প্রত্যেকেই এক বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পোশাক রপ্তানি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু হা-মীম গ্রুপেই প্রায় ৫০,০০০ শ্রমিক কাজ করে। কারখানা বন্ধ হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, গত ২৫ বছরে নানা কারণে সারা দেশে প্রায় ৩,০০০ গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়েছে। কমপ্লায়েন্স ইস্যু এর মধ্যে একটি অন্যতম
কারণ। দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং অদক্ষতাও অন্য কারণ হিসেবে কাজ করেছে। কিছু কারখানা পরিশোধ করতে না পারা ঋণের ভারে ভেঙে পড়েছে। আবার শান্তার (Shanta) মতো কিছু প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস উৎপাদন পুরোপুরি ছেড়ে অন্য খাতে মনোনিবেশ করেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বিশৃঙ্খল মনে করেছে, এবং কেউ কেউ অর্থ উপার্জন করে কানাডার মতো জায়গায় পাড়ি জমিয়েছে। তবে এই কারখানা কমে যাওয়ার বিষয়টিকে তিনি দুশ্চিন্তার বলে মনে করেন না। তার মতে, "কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত রপ্তানির পরিসংখ্যান বাড়ছে, ততক্ষণ নন-কমপ্লায়েন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশের জন্য খারাপ কিছু নয়। আমাদের অনিরাপদ বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কারখানার দরকার নেই। বড় কারখানা মানেই সাধারণত উন্নত কমপ্লায়েন্স।" বিজিএমইএ-এর প্রেস রিলিজ এবং
কিছু সাংবাদিকদের সমালোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আপনি যদি আজকাল বিজিএমইএ-এর প্রেস রিলিজগুলো পড়েন, তবে মনে হবে যেন প্রতিটি কারখানা বন্ধ হওয়া সরকারের ব্যর্থতা—যেন কর্তৃপক্ষ তাদের ‘বাঁচাতে’ না পারার জন্য দোষী।" তিনি এই ধরনের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে বলেন যে তারা কখনো কষ্ট করে দেখেন না এই বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোর শ্রমিকরা আরও বড়, আরও ভালোভাবে পরিচালিত প্ল্যান্টগুলোতে কাজ খুঁজে পেয়েছে কি না। তিনি আরও মনে করিয়ে দেন যে, ২০০০-এর দশকের শুরুতে বাংলাদেশে প্রায় তিন মিলিয়ন গার্মেন্টস শ্রমিক ছিল, আর এখন সেই সংখ্যাটি প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন। শফিকুল আলম এই ধরনের সমালোচনাকে "শহরের একমাত্র বুদ্ধিমান" সেজে অন্যদের "আবুল" মনে করার মানসিকতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে পাঁচটি কারখানা ছিল, যার মধ্যে ফ্যান্টম অ্যাপারেলস অন্যতম। তিনি আরও জানান, ১৯৯০ এবং ২০০০-এর দশকেও মালিবাগে ছোট ছোট কারখানা ছিল যা ২০১০-এর দশকের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বা ঢাকার উপকণ্ঠে স্থানান্তরিত হয়েছে। গাজীপুরের স্যান্ডব্লাস্টিং ইউনিটগুলোর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একসময় শত শত স্যান্ডব্লাস্টিং ইউনিট গোপনে বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ জিন্স স্যান্ডব্লাস্টিংয়ের কাজ করত। এই কারখানাগুলোও কমপ্লায়েন্স সমস্যার কারণে ২০১০-এর দশকের শেষের দিকে বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা বন্ধের সঙ্গে রপ্তানির একটি বিপরীতমুখী চিত্রও তুলে ধরেন প্রেসসচিব। তিনি লেখেন, "আজ, বাংলাদেশে সক্রিয় গার্মেন্টস কারখানার সংখ্যা দুই হাজারের সামান্য বেশি, যা ১৯৯০ এবং ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকে প্রায়
পাঁচ হাজার ছিল। তবুও আমাদের গার্মেন্টস রপ্তানি এখন ১৯৯০-এর দশকের শেষ বা ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকের তুলনায় চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি।" তিনি আরও জানান, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের বার্ষিক গার্মেন্টস রপ্তানি প্রথমবারের মতো এক বিলিয়ন ডলারের সীমা অতিক্রম করেছিল, অথচ এই বছর শুধু ইয়াংওয়ান (Youngone) বা হা-মীম গ্রুপের মতো জায়ান্টদের প্রত্যেকেই এক বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পোশাক রপ্তানি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু হা-মীম গ্রুপেই প্রায় ৫০,০০০ শ্রমিক কাজ করে। কারখানা বন্ধ হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, গত ২৫ বছরে নানা কারণে সারা দেশে প্রায় ৩,০০০ গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়েছে। কমপ্লায়েন্স ইস্যু এর মধ্যে একটি অন্যতম
কারণ। দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং অদক্ষতাও অন্য কারণ হিসেবে কাজ করেছে। কিছু কারখানা পরিশোধ করতে না পারা ঋণের ভারে ভেঙে পড়েছে। আবার শান্তার (Shanta) মতো কিছু প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস উৎপাদন পুরোপুরি ছেড়ে অন্য খাতে মনোনিবেশ করেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বিশৃঙ্খল মনে করেছে, এবং কেউ কেউ অর্থ উপার্জন করে কানাডার মতো জায়গায় পাড়ি জমিয়েছে। তবে এই কারখানা কমে যাওয়ার বিষয়টিকে তিনি দুশ্চিন্তার বলে মনে করেন না। তার মতে, "কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত রপ্তানির পরিসংখ্যান বাড়ছে, ততক্ষণ নন-কমপ্লায়েন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশের জন্য খারাপ কিছু নয়। আমাদের অনিরাপদ বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কারখানার দরকার নেই। বড় কারখানা মানেই সাধারণত উন্নত কমপ্লায়েন্স।" বিজিএমইএ-এর প্রেস রিলিজ এবং
কিছু সাংবাদিকদের সমালোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আপনি যদি আজকাল বিজিএমইএ-এর প্রেস রিলিজগুলো পড়েন, তবে মনে হবে যেন প্রতিটি কারখানা বন্ধ হওয়া সরকারের ব্যর্থতা—যেন কর্তৃপক্ষ তাদের ‘বাঁচাতে’ না পারার জন্য দোষী।" তিনি এই ধরনের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে বলেন যে তারা কখনো কষ্ট করে দেখেন না এই বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোর শ্রমিকরা আরও বড়, আরও ভালোভাবে পরিচালিত প্ল্যান্টগুলোতে কাজ খুঁজে পেয়েছে কি না। তিনি আরও মনে করিয়ে দেন যে, ২০০০-এর দশকের শুরুতে বাংলাদেশে প্রায় তিন মিলিয়ন গার্মেন্টস শ্রমিক ছিল, আর এখন সেই সংখ্যাটি প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন। শফিকুল আলম এই ধরনের সমালোচনাকে "শহরের একমাত্র বুদ্ধিমান" সেজে অন্যদের "আবুল" মনে করার মানসিকতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।



