
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত তালিবান সরকার

সৌদি আরবে চিরুনি অভিযান: এক সপ্তাহে গ্রেপ্তার ২৩ হাজারের বেশি

জেলেনস্কি-ট্রাম্প আলোচনার পরেও টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র পেল না ইউক্রেন

অর্থসংকটে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বড় ছাঁটাই

শান্তি মিশনের লোভে টুর্কের ফাঁদে পা দিয়ে ধোঁকা খেল সেনাবাহিনী: ফিরছেন ১৩১৩ সদস্য

হামাসকে অস্ত্র ছাড়তে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: গাজায় শান্তি চুক্তির প্রথম পর্যায় সফল

মক্কা নগরী ঘিরে নতুন পরিকল্পনা সৌদির
ল্যুভর জাদুঘর থেকে অমূল্য রত্নরাজি চুরি, ঐতিহাসিক নিদর্শন খুইয়ে মুষড়ে পড়েছে প্যারিস

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর জাদুঘর থেকে অমূল্য রত্নরাজি চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঐতিহাসিক নিদর্শন খুইয়ে মুষড়ে পড়েছে প্যারিসবাসী। এমন দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির অনুরাগী ফরাসিরা।
সোমবার ভোররাতে অজ্ঞাতপরিচয় একদল দুর্বৃত্ত জাদুঘরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে কয়েকটি বিরল হীরার অলংকার ও সোনার গহনা নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ফ্রান্সজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জাদুঘরের নিরাপত্তাকর্মীরা সকালে নিয়মিত টহলের সময় রেনেসাঁ গ্যালারির একটি প্রদর্শনী কক্ষের তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। পরে দেখা যায়, কাচের প্রদর্শনী বাক্স ভেঙে কয়েকটি অমূল্য রত্ন নিখোঁজ। কর্তৃপক্ষ দ্রুত পুলিশে খবর দিলে তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন।
ফরাসি পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এটি অত্যন্ত পরিকল্পিত
ও পেশাদার চুরি। চোরেরা আগে থেকেই জাদুঘরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে রেখেছিল। তারা নিরাপত্তা ক্যামেরা ও অ্যালার্ম সিস্টেম সাময়িকভাবে অচল করে রত্নগুলো নিয়ে যায়। চুরি হওয়া রত্নগুলো মূলত ফরাসি রাজপরিবারের ঐতিহাসিক সংগ্রহের অংশ ছিল, যা “রয়্যাল জুয়েলস অব ফ্রান্স” নামে পরিচিত গ্যালারিতে প্রদর্শিত হতো। কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী, অন্তত ছয়টি অমূল্য রত্ন ও অলংকার চুরি গেছে। ১. মারি আঁতোয়ানেতের হীরার নেকলেস: ১৮শ শতকের শেষভাগে নির্মিত এই নেকলেসটি ছিল ৬০০-এর বেশি খাঁটি হীরায় তৈরি। ফরাসি রানি মারি আঁতোয়ানেত এটি বিশেষ উৎসবে পরতেন। এর ঐতিহাসিক মূল্য ছাড়াও এটি ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন হীরার অলংকার হিসেবে পরিচিত। ২. লুই চতুর্দশের রুবি ব্রোচ: রাজা লুই চতুর্দশের ব্যবহৃত
এই ব্রোচটি ২৪ ক্যারেট সোনার ওপর স্থাপিত বিশাল রুবি পাথর দিয়ে তৈরি। এটি ফরাসি রাজকীয় প্রতীক ‘ফ্লুর-দে-লি’-এর আকৃতিতে নির্মিত ছিল। ৩. “লে ব্লু দে ল্যুভর” নীলা আংটি: একটি বিরল নীলা (স্যাফায়ার) পাথর বসানো এই আংটিটি ১৭শ শতকে তৈরি। এটি মূলত রানি মেরি দে মেডিসির উপহার ছিল তার কন্যাকে। বলা হয়, এই পাথরের উৎপত্তি শ্রীলঙ্কায়। ৪. রানির পান্নার কানের দুল: দুটি বড় পান্না পাথর বসানো কানের দুলটি ছিল রানির ব্যক্তিগত সংগ্রহের অংশ। এটি পরে ল্যুভর সংগ্রহে যুক্ত হয়। দুল দুটির প্রতিটি প্রায় ২৫ ক্যারেট ওজনের এবং স্বর্ণ ও মুক্তায় অলঙ্কৃত। ৫. রাজমুকুটের সোনার অলংকার: রাজমুকুটের সামনের অংশে বসানো ক্ষুদ্র হীরা, রুবি ও টোপাজ দিয়ে তৈরি সোনার অংশটিও
উধাও হয়ে গেছে। এটি ছিল জাদুঘরের অন্যতম প্রধান প্রদর্শনী উপাদান। ৬. ১৮শ শতকের মুক্তার মালা: ৮০টি প্রাকৃতিক মুক্তায় তৈরি এই মালাটি ফরাসি রাজপরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হতো। মালাটির প্রতিটি মুক্তা হাতে পালিশ করা এবং মূল্যবান সোনার ক্ল্যাম্পে বাঁধানো ছিল। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিটি রত্নই ছিল অনন্য এবং তার প্রতিলিপি পৃথিবীর কোথাও নেই। রত্নগুলো ল্যুভরের বিশেষ নিরাপত্তা কাচের প্রদর্শনী বাক্সে রাখা ছিল। পুলিশের ভাষ্য মতে, চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মূল্য কয়েক কোটি ইউরো হতে পারে। ল্যুভর জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চুরি হওয়া রত্নরাজি ১৭শ ও ১৮শ শতকের রাজপরিবারের সংগ্রহের অংশ ছিল। এসব অলংকার শুধুমাত্র আর্থিক নয়, সাংস্কৃতিক দিক থেকেও অমূল্য ঐতিহ্যের প্রতীক। জাদুঘরের পরিচালক পিয়ের মারসো বলেন,
“এটি শুধু একটি চুরি নয়, এটি ফ্রান্সের ইতিহাসের ওপর আঘাত।” চুরির ঘটনায় জাদুঘরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ল্যুভরে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও, এই ঘটনা নিরাপত্তার বড় ধরনের দুর্বলতা প্রকাশ করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ইতোমধ্যে ফরাসি সীমান্ত ও বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যাতে চোরেরা দেশ ছাড়তে না পারে। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা আশাবাদী, দ্রুতই চোরদের শনাক্ত করে রত্নরাজি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
ও পেশাদার চুরি। চোরেরা আগে থেকেই জাদুঘরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে রেখেছিল। তারা নিরাপত্তা ক্যামেরা ও অ্যালার্ম সিস্টেম সাময়িকভাবে অচল করে রত্নগুলো নিয়ে যায়। চুরি হওয়া রত্নগুলো মূলত ফরাসি রাজপরিবারের ঐতিহাসিক সংগ্রহের অংশ ছিল, যা “রয়্যাল জুয়েলস অব ফ্রান্স” নামে পরিচিত গ্যালারিতে প্রদর্শিত হতো। কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী, অন্তত ছয়টি অমূল্য রত্ন ও অলংকার চুরি গেছে। ১. মারি আঁতোয়ানেতের হীরার নেকলেস: ১৮শ শতকের শেষভাগে নির্মিত এই নেকলেসটি ছিল ৬০০-এর বেশি খাঁটি হীরায় তৈরি। ফরাসি রানি মারি আঁতোয়ানেত এটি বিশেষ উৎসবে পরতেন। এর ঐতিহাসিক মূল্য ছাড়াও এটি ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন হীরার অলংকার হিসেবে পরিচিত। ২. লুই চতুর্দশের রুবি ব্রোচ: রাজা লুই চতুর্দশের ব্যবহৃত
এই ব্রোচটি ২৪ ক্যারেট সোনার ওপর স্থাপিত বিশাল রুবি পাথর দিয়ে তৈরি। এটি ফরাসি রাজকীয় প্রতীক ‘ফ্লুর-দে-লি’-এর আকৃতিতে নির্মিত ছিল। ৩. “লে ব্লু দে ল্যুভর” নীলা আংটি: একটি বিরল নীলা (স্যাফায়ার) পাথর বসানো এই আংটিটি ১৭শ শতকে তৈরি। এটি মূলত রানি মেরি দে মেডিসির উপহার ছিল তার কন্যাকে। বলা হয়, এই পাথরের উৎপত্তি শ্রীলঙ্কায়। ৪. রানির পান্নার কানের দুল: দুটি বড় পান্না পাথর বসানো কানের দুলটি ছিল রানির ব্যক্তিগত সংগ্রহের অংশ। এটি পরে ল্যুভর সংগ্রহে যুক্ত হয়। দুল দুটির প্রতিটি প্রায় ২৫ ক্যারেট ওজনের এবং স্বর্ণ ও মুক্তায় অলঙ্কৃত। ৫. রাজমুকুটের সোনার অলংকার: রাজমুকুটের সামনের অংশে বসানো ক্ষুদ্র হীরা, রুবি ও টোপাজ দিয়ে তৈরি সোনার অংশটিও
উধাও হয়ে গেছে। এটি ছিল জাদুঘরের অন্যতম প্রধান প্রদর্শনী উপাদান। ৬. ১৮শ শতকের মুক্তার মালা: ৮০টি প্রাকৃতিক মুক্তায় তৈরি এই মালাটি ফরাসি রাজপরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হতো। মালাটির প্রতিটি মুক্তা হাতে পালিশ করা এবং মূল্যবান সোনার ক্ল্যাম্পে বাঁধানো ছিল। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিটি রত্নই ছিল অনন্য এবং তার প্রতিলিপি পৃথিবীর কোথাও নেই। রত্নগুলো ল্যুভরের বিশেষ নিরাপত্তা কাচের প্রদর্শনী বাক্সে রাখা ছিল। পুলিশের ভাষ্য মতে, চুরি হওয়া অলংকারগুলোর মূল্য কয়েক কোটি ইউরো হতে পারে। ল্যুভর জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চুরি হওয়া রত্নরাজি ১৭শ ও ১৮শ শতকের রাজপরিবারের সংগ্রহের অংশ ছিল। এসব অলংকার শুধুমাত্র আর্থিক নয়, সাংস্কৃতিক দিক থেকেও অমূল্য ঐতিহ্যের প্রতীক। জাদুঘরের পরিচালক পিয়ের মারসো বলেন,
“এটি শুধু একটি চুরি নয়, এটি ফ্রান্সের ইতিহাসের ওপর আঘাত।” চুরির ঘটনায় জাদুঘরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ল্যুভরে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও, এই ঘটনা নিরাপত্তার বড় ধরনের দুর্বলতা প্রকাশ করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ইতোমধ্যে ফরাসি সীমান্ত ও বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যাতে চোরেরা দেশ ছাড়তে না পারে। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা আশাবাদী, দ্রুতই চোরদের শনাক্ত করে রত্নরাজি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।