
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উগ্রপন্থি মতাদর্শে প্রভাবিত: পাকিস্তান সেনাবাহিনী

কিছু টিভি নেটওয়ার্কের লাইসেন্স বাতিল করা উচিত: ট্রাম্প

সামরিক ড্রোন তৈরিতে এআই প্রযুক্তিতে নজর কিম জং উনের

জাতিগত নিধনের সব অস্ত্রই ব্যবহার করছে ইসরাইল: ইয়েমেনি নেতা

যুক্তরাষ্ট্র ‘পুতুল সরকার’ বসানোর চেষ্টা করছে, অভিযোগ মাদুরোর

রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত, সুনামির সতর্কতা জারি

কলা গাছ থেকে কাপড় বানিয়ে বাজিমাত তাইওয়ানের উদ্যোক্তার
বাগরাম বিমানঘাঁটি নিয়ে আবারও আফগানিস্তান দখলের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের?

আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনর্দখলের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ পদক্ষেপ নতুন করে আফগান আগ্রাসনের মতো দেখাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বর্তমান ও সাবেক মার্কিন কর্মকর্তারা। তাদের মতে, ঘাঁটি পুনর্দখলে অন্তত ১০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন ও উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে।
লন্ডনে এক সফরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সেই ঘাঁটি আবার চাই।’
তিনি দাবি করেন, চীনের কাছাকাছি অবস্থানেই ঘাঁটিটি হওয়ায় এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ‘ওটা চীনের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জায়গার মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে,’ মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর
প্রায় দুই দশক আফগানিস্তানে অবস্থানকালে বাগরামই ছিল মার্কিন সেনাদের প্রধান ঘাঁটি। সেখানে ফাস্টফুড চেইন বার্গার কিং ও পিজা হাটসহ নানা দোকানপাট ছিল। বিশাল এক কারাগার কমপ্লেক্সও ছিল ঘাঁটির অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর বাগরাম ঘাঁটি দখলে নেয় তালবোন যোদ্ধারা। ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১। ছবি: রয়টার্স তবে ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় যুক্তরাষ্ট্র ওই ঘাঁটিও ত্যাগ করে। এক মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাগরাম পুনর্দখলের কোনো সক্রিয় পরিকল্পনা নেই। ‘এটি বিশাল লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ হবে। এত সেনা, সরঞ্জাম ও অর্থ প্রয়োজন হবে যে কার্যত এটি একটি বিচ্ছিন্ন মার্কিন ঘাঁটিতে পরিণত হবে।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘাঁটিটি সুরক্ষিত রাখা প্রাথমিকভাবে কঠিন হবে এবং এটি
পরিচালনা ও রক্ষায় বিপুল জনশক্তি লাগবে। এমনকি তালেবান সম্মতি দিলেও আইএস, আল-কায়েদা ও অন্যান্য গোষ্ঠীর হুমকি থেকে এটি রক্ষা করা কঠিন হবে। ইরান থেকেও উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঝুঁকি থাকতে পারে। সাবেক এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘চীনের নিকটবর্তী হলেও এর বড় কোনো সামরিক সুবিধা নেই। ঝুঁকিগুলোই এখানে বেশি।’ ২০২০ সালে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে চুক্তি হয়েছিল, সেখানে সব আন্তর্জাতিক সেনা প্রত্যাহারের অঙ্গীকার ছিল। অথচ এখন ট্রাম্প বাইডেনকে দোষারোপ করে বলছেন, ঘাঁটিটি ধরে রাখা উচিত ছিল। বাগরাম বিমানঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের ফেলে পাওয়া পরিত্যক্ত সামরিক পোশাক। ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১। ছবি: রয়টার্স এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর বর্তমানে ২০২১ সালের ‘অগোছালো প্রত্যাহার’ নিয়ে পুনর্মূল্যায়ন করছে। অনেক নীতিনির্ধারকের
মতে, আফগানিস্তান এখন বড় চ্যালেঞ্জ নয়, আসল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে চীনের সঙ্গে। এদিকে গত সপ্তাহান্তে মার্কিন কর্মকর্তারা কাবুলে তালেবান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন সেখানে আটকে থাকা মার্কিনিদের মুক্তির বিষয়ে। আলোচনায় অংশ নেন ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ এবং বিশেষ প্রতিনিধি অ্যাডাম বয়লার।
প্রায় দুই দশক আফগানিস্তানে অবস্থানকালে বাগরামই ছিল মার্কিন সেনাদের প্রধান ঘাঁটি। সেখানে ফাস্টফুড চেইন বার্গার কিং ও পিজা হাটসহ নানা দোকানপাট ছিল। বিশাল এক কারাগার কমপ্লেক্সও ছিল ঘাঁটির অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর বাগরাম ঘাঁটি দখলে নেয় তালবোন যোদ্ধারা। ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১। ছবি: রয়টার্স তবে ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় যুক্তরাষ্ট্র ওই ঘাঁটিও ত্যাগ করে। এক মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাগরাম পুনর্দখলের কোনো সক্রিয় পরিকল্পনা নেই। ‘এটি বিশাল লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ হবে। এত সেনা, সরঞ্জাম ও অর্থ প্রয়োজন হবে যে কার্যত এটি একটি বিচ্ছিন্ন মার্কিন ঘাঁটিতে পরিণত হবে।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘাঁটিটি সুরক্ষিত রাখা প্রাথমিকভাবে কঠিন হবে এবং এটি
পরিচালনা ও রক্ষায় বিপুল জনশক্তি লাগবে। এমনকি তালেবান সম্মতি দিলেও আইএস, আল-কায়েদা ও অন্যান্য গোষ্ঠীর হুমকি থেকে এটি রক্ষা করা কঠিন হবে। ইরান থেকেও উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঝুঁকি থাকতে পারে। সাবেক এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ‘চীনের নিকটবর্তী হলেও এর বড় কোনো সামরিক সুবিধা নেই। ঝুঁকিগুলোই এখানে বেশি।’ ২০২০ সালে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে চুক্তি হয়েছিল, সেখানে সব আন্তর্জাতিক সেনা প্রত্যাহারের অঙ্গীকার ছিল। অথচ এখন ট্রাম্প বাইডেনকে দোষারোপ করে বলছেন, ঘাঁটিটি ধরে রাখা উচিত ছিল। বাগরাম বিমানঘাঁটিতে মার্কিন সেনাদের ফেলে পাওয়া পরিত্যক্ত সামরিক পোশাক। ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১। ছবি: রয়টার্স এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর বর্তমানে ২০২১ সালের ‘অগোছালো প্রত্যাহার’ নিয়ে পুনর্মূল্যায়ন করছে। অনেক নীতিনির্ধারকের
মতে, আফগানিস্তান এখন বড় চ্যালেঞ্জ নয়, আসল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে চীনের সঙ্গে। এদিকে গত সপ্তাহান্তে মার্কিন কর্মকর্তারা কাবুলে তালেবান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন সেখানে আটকে থাকা মার্কিনিদের মুক্তির বিষয়ে। আলোচনায় অংশ নেন ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ এবং বিশেষ প্রতিনিধি অ্যাডাম বয়লার।