মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড, মৃত্যু ১৩ – ইউ এস বাংলা নিউজ




মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড, মৃত্যু ১৩

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৪:৫৮ 24 ভিউ
উত্তরাখণ্ডে দুর্যোগ যেন নিত্যসঙ্গী। কয়েকদিন আগেই পাহাড়ি জনপদগুলোতে প্রবল বর্ষণে ধস আর হড়পা বান আঘাত হেনেছিল, থেমে গেছে চারধাম যাত্রা। এবার সেই দুর্যোগ নেমে এসেছে সমতল ভূমিতেও। সোমবার রাতের পর থেকে দেরাদুন শহর কার্যত ভয়াবহতার রূপ নিয়েছে। সহস্রধারায় মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে অনেক হোটেল, বাড়িঘর আর স্কুল ভাসিয়ে দেয়। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩ জন, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৬ জন। দেরাদুনের ঐতিহ্যবাহী টপকেশ্বর মহাদেব মন্দির ও ভেতরের বিশাল হনুমান মূর্তি পানির নিচে চলে যাওয়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। মন্দিরের পুরোহিত ও সন্ন্যাসীদের মতে, এতদিনে এমন দৃশ্য কখনো দেখা যায়নি। নবরাত্রির প্রাক্কালে এই দুর্যোগ মানুষকে আরও

ভীত করে তুলেছে। এবার শুধু পাহাড় নয়, সমতল ভূমিও বিপর্যস্ত। কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, হেমকুণ্ড সাহিব, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রীর ধ্বংসযজ্ঞের পর তার ছায়া নেমে এসেছে নৈনিতাল, রুদ্রপ্রয়াগ, চামলি, পাউরি, বাগীশ্বরী এমনকি দেরাদুনেও। বহু শ্রমিক ধসের কারণে আটকে পড়েছেন, এনডিআরএফ সর্বশক্তি দিয়ে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দেবভূমি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা পুরোপুরি অবরুদ্ধ। হরিদ্বার থেকে দেরাদুনের রেলপথ আগে থেকেই বন্ধ ছিল, এবার বন্ধ হয়ে গেল মুসৌরি যাওয়ার রাস্তা। হৃষিকেশের সড়ক আর চন্দ্রভাগার পানি মিলে সব ডুবিয়ে দিয়েছে। গাড়ি, বাজার, ঘরবাড়ি সব ভেসে গেছে। হিমাচল প্রদেশেও একই অবস্থা। অন্তত ৬৫০টি রাস্তা বন্ধ, ১২০০ বিদ্যুৎ সরবরাহকেন্দ্র অচল, দেড়শোর বেশি পানীয় জলের প্রকল্প স্তব্ধ। কুলু-মানালি হাইওয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় পর্যটকরা আটকা। আবহাওয়া

দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। দেরাদুন, নৈনিতাল, পিথোরাগড়, চম্পাবত ও উধম সিং নগরে প্রবল মেঘভাঙা বর্ষণ হতে পারে। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু মানুষ মনে করছেন, কথায় কাজ হচ্ছে না। বিরোধী দল আর পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো স্পষ্ট করে বলছে, চারধাম প্রকল্পে পাহাড় কেটে মহাসড়ক ও সুড়ঙ্গ নির্মাণই এই দুর্যোগের মূল কারণ। প্রকৃতিকে বারবার আঘাত করার ফলেই পাহাড়ি জনপদগুলো ধ্বংস হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভ্রমণ আর উন্নয়নের নামে ভয়াবহ মূল্য দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পাহাড় থেকে শুরু করে সমতল—সবখানেই আতঙ্ক। চারদিকে শুধু ধস, বন্যা আর মৃত্যুর খবর। সাধারণ মানুষ

জানিয়েছেন, দেবভূমিতে এ যেন অভিশাপের মতো নেমে এসেছে। আগামী দিনে এই প্রকল্পগুলো চালু থাকলে বিপর্যয় আরও বাড়বে। দুর্যোগ থামছে না, কেবল যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নামে মৃত্যুর তালিকা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাজ্যে ট্রাম্প, ‘বিশেষ সম্পর্ক’ জোরদারের আশা দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি, আটকা পড়েছেন ১৭৮ যাত্রী আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না বাংলাদেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির সাবেক ডিসি সুলতানার জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন বিশ্ব রেকর্ড করতে গিয়ে ভেঙে পড়ল নাইজেরিয়ান শেফের বিশাল হাঁড়ি মুসলিম দেশগুলো কি ন্যাটোর আদলে যৌথ বাহিনী গঠন করছে? কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে সুশীলা কার্কি লিবিয়ার উপকূলে শরণার্থী বহনকারী নৌকায় আগুন, নিহত অন্তত ৫০ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড, মৃত্যু ১৩ অস্কারে যাচ্ছে ইরানের ছবি নিরাপত্তাহীন পারমাণবিক কেন্দ্রে ফুয়েল লোড বিপজ্জনক ১৭ বিয়ে করা সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত রাজধানীতে আজ কোথায় কী ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকে খুলবে কি বাণিজ্য চুক্তির জট তরুণদের সর্বনাশা লিগ! ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস টিভিতে আজকের খেলা আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রধান চালিকাশক্তি হতে পারে ভারত-বাংলাদেশ একাদশে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর