প্রাণনাসের হুমকিতে ফুলবাড়ীতে ১৩ বছর ধরে অনাবাদি জমি – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১০ আগস্ট, ২০২৫
     ৭:১০ অপরাহ্ণ

প্রাণনাসের হুমকিতে ফুলবাড়ীতে ১৩ বছর ধরে অনাবাদি জমি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১০ আগস্ট, ২০২৫ | ৭:১০ 99 ভিউ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ১নং এলুয়াড়ী ইউনিয়নের এলুয়াড়ী ডাঙ্গা গ্রামে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে অনাবাদি পড়ে আছে ৯ বিঘা তিন ফসলি জমি। জমির সব বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রাণনাশের হুমকির কারণে জমির মালিক শহিদুল্লাহ চাষাবাদ করতে পারছেন না। ভুক্তভোগী শহিদুল্লাহ জানান, ২০১১ সালে তিনি এলুয়াড়ী মৌজার ২০৯৩ দাগে ২ একর ৫১ শতক এবং ৩১৭৯ দাগে ৪০ শতক জমি ক্রয় করেন। জমি তিনি তার দুই নাবালক সন্তান তামিম মোহাম্মদ সাদমান ও তাছিন মোহাম্মদ শায়েনের নামে খাজনা-খারিজ ও মাঠ রেকর্ড করে ভোগদখল শুরু করেন। কিন্তু একই গ্রামের সৈয়দ আলী, রেজাউল আলম, শাহিন আলমসহ ১৫-২০ জনের একটি দল জমিতে চাষাবাদে বাধা দেয় এবং

গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। শহিদুল্লাহর দাবি, প্রতিপক্ষরা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর ছত্রছায়ায় থাকায় তিনি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার পাননি। বর্তমানেও রাজনৈতিক পরিবর্তন হলেও তাদের প্রভাব অটুট রয়েছে। প্রতিপক্ষ সৈয়দ আলীর বক্তব্য অনুযায়ী, তারা মূল মালিকের ওয়ারিশদের কাছ থেকে জমি ক্রয়ের জন্য বায়না করেছেন। তবে দলিলপত্রে দেখা যায়, জমির মূল মালিক ছিলেন চন্ডিদাসের স্ত্রী নন্দরানী দেবী। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৮ মার্চ ১৩৬৫ নং দলিলে চিরিরবন্দর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আবু বক্কর শাহের কাছে বিক্রি করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর ৪৫১২ নং দলিলে আবু বক্কর শাহ শহিদুল্লাহর কাছে জমি বিক্রি করেন। শহিদুল্লাহ অভিযোগ করেন, তিনি থানায় একাধিকবার অভিযোগ করলেও তৎকালীন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু রায় চৌধুরীর হস্তক্ষেপে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এছাড়া প্রতিপক্ষরা তৎকালীন এমপি এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমানের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তিনি সহায়তা পাননি। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসাহাক আলী এবং থানার ওসি একেএম মহিব্বুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে শহিদুল্লাহ স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন, যাতে তিনি তার বৈধ ক্রয়কৃত জমিতে চাষাবাদ শুরু করতে পারেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাড়ি নির্মাণে বাধা দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি যুবদল কর্মীদের, প্রতিবাদ করায় প্রবাসীকে পিটুনি মেট্রোরেলের রক্ষণাবেক্ষণে নেই বরাদ্দ, দুর্ঘটনার দায় ঠিকাদারদের ঘাড়ে চাপালেন এমডি নিরাপত্তাহীনতার কারণে একে একে বাতিল হচ্ছে ক্রয়াদেশ, আরও অসংখ্য কারখানা বন্ধের শঙ্কা ট্রাম্পের নির্দেশ: নাইজেরিয়ায় ইসলামপন্থী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামরিক প্রস্তুতির আহ্বান রাজনৈতিক কৌশলে পরাজিত বিএনপি কি জামায়াতকে নিষিদ্ধের পথে হাঁটবে! প্রধান উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে পদোন্নতির নামে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোরামপ্রীতি: বঞ্চিত ৮৭৯ চিকিৎসক দেশে হিন্দু ৩ কোটি হলেও বিএনপির মনোনয়ন পেলেন মাত্র ২ জন, বাদ পড়লেন অনেক হিন্দু নেতা বিএনপির নয়নকে ‘বুড়িগঙ্গার পানি’ দিয়ে ধোয়ার মন্তব্যে ঝড়, এনসিপির পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা জামায়াত কি আদৌ মওদুদীর ‘বিকৃত আকিদা’ ঝেড়ে ফেলতে পেরেছে? নাকি আগের পথেই আছে? মহিলা পরিষদ: অক্টোবরে ২৩১ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন-সহিংসতার শিকার জেলহত্যা দিবস: শেখ হাসিনার বাণীতে কলঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা তুলসি গ্যাবার্ডের ঘোষনা ‘ওয়াশিংটনের পুরানো রেজিম চেঞ্জের যুগ শেষ’ অপসো স্যালাইনের প্রায় ৬শ শ্রমিক ছাঁটাই: পোশাক খাতের পর খড়গ এবার ওষুধ শিল্পের ওপর বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের বিবৃতি ১ কোটি টাকায় বিক্রি হতে পারে সরকারি চাকরি: নতুন প্রশ্ন ফাঁস সিন্ডিকেটের উত্থানে তীব্র উদ্বেগ, প্রতিবাদে নামার আহ্বান হাসান জাহিদের প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে সরকারকে কড়া সমালোচনা, যোগ্য প্রার্থীদের জন্য ন্যায্যতার দাবি মালয়েশিয়ায় কর্মী রফতানিতে চরম ধস: শেখ হাসিনার আমলে ৩.৫ লাখের বিপরীতে ইউনুসের সময়ে গেলেন মাত্র ২,৬৭০ জন পর্দার আড়ালে দরকষাকষি: শর্ত নতুন সংবিধান প্রণয়ন জাতীয় চার নেতার অবদান ও জেলহত্যা দিবস নিয়ে স্মৃতিচারণ বিটিএমএ সভাপতি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল উন্মাদের মতো কথা বলেন