
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

লিজ দলিলে গণভবন হস্তান্তর করল পূর্ত মন্ত্রণালয়

মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে নিহত প্রিয়ার কবরে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা

৪৫০ যাত্রী নিয়ে এক ঘণ্টা উড়ে ফিরে এলো বিমান

ওয়েবসাইটে জাল নথি তুলে ৬৭ কোটির কর ফাঁকি

ভয়ের দেয়ালে আটকে গেছে শৈশব

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণে ২২ সদস্যের কমিশন গঠন

‘গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছে একটি গ্রুপ’
উপদেষ্টা মাহফুজের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ: অস্ট্রেলিয়ায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার লেনদেন তদন্তাধীন!

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বনি আলমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, মাহফুজের বড় ভাইয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৬ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ধরা পড়েছে, যা অস্ট্রেলিয়ার আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা AUSTRAC-এর নজরে এসেছে। এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড” হিসেবে পরিচিত মাহফুজ আলম, যিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োজিত আছেন, এখন বিতর্কের কেন্দ্রে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাসরত তার বড় ভাই, যিনি উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি পার্টটাইম ট্যাক্সি
চালক হিসেবে কাজ করেন, তার কমনওয়েলথ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাকাউন্টে গত ৯ মাস ধরে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হচ্ছিল। গত ২৪ জুলাই ২০২৫-এ মধ্যপ্রাচ্য থেকে সাড়ে ৬ কোটি টাকার একটি লেনদেন AUSTRAC-এর তদন্তের আওতায় আসে, যার পরিপ্রেক্ষিতে তার ভাইয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। বনি আলমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই অর্থ বাংলাদেশের একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর প্রকল্প থেকে ‘কমিশনভিত্তিক হিস্যা’ হিসেবে এসেছে। অভিযোগে বলা হয়, মাহফুজ দেশে ফাইল তদবির ও লবিংয়ের মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করতেন, এবং তা তার ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হতো। এই লেনদেনকে অনেকে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ‘ছাগল কাণ্ড’র সঙ্গে তুলনা করছেন, যা জনমনে ব্যাপক সমালোচনার
সৃষ্টি করেছিল। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বনি আলম প্রশ্ন তুলেছেন, “আমরা কি শুধু একজন বা দুজন সমন্বয়ককে লক্ষ্য করব, নাকি পুরো সিস্টেমে যারা প্রবেশ করেছে তাদেরকেও কঠিনভাবে পর্যবেক্ষণ করব?” তিনি প্রস্তাব করেছেন, দেশের সকল সমন্বয়ক ও তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের (পিতা, মাতা, ভাই, বোন, স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি, শ্যালক-শ্যালিকা) আর্থিক লেনদেন ও সম্পদ বিবরণী জাতীয় তদন্তের আওতায় আনা হোক। বিশেষ করে, তিনি হাতিয়ার আলোচিত সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ ও তার পরিবারের সম্পত্তির তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে মাহফুজের বিরুদ্ধে উঠা এই অভিযোগকে নোয়াখালীর গৌরবময় ইতিহাসের প্রতি অবমাননা হিসেবে দেখছেন। এক্স প্ল্যাটফর্মে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত মাহফুজের
এমন কাণ্ড দেশের উন্নয়নপ্রয়াসকে বাধাগ্রস্ত করবে।” অন্তর্বর্তী সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে, তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত তথ্য এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মাহফুজ আলম এখনও এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি। এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলেছে। বনি আলমের দাবি অনুযায়ী, “সময় এসেছে সততা ও আদর্শিক নেতৃত্বকে রক্ষা করার এবং দুর্নীতির বিষবৃক্ষকে মূল থেকে উপড়ে ফেলার।” এই অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি এবং এর ফলাফল এখন দেশের জনগণের নিকট নিবিড় পর্যবেক্ষণের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চালক হিসেবে কাজ করেন, তার কমনওয়েলথ ব্যাংক অফ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাকাউন্টে গত ৯ মাস ধরে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হচ্ছিল। গত ২৪ জুলাই ২০২৫-এ মধ্যপ্রাচ্য থেকে সাড়ে ৬ কোটি টাকার একটি লেনদেন AUSTRAC-এর তদন্তের আওতায় আসে, যার পরিপ্রেক্ষিতে তার ভাইয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। বনি আলমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই অর্থ বাংলাদেশের একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর প্রকল্প থেকে ‘কমিশনভিত্তিক হিস্যা’ হিসেবে এসেছে। অভিযোগে বলা হয়, মাহফুজ দেশে ফাইল তদবির ও লবিংয়ের মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করতেন, এবং তা তার ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হতো। এই লেনদেনকে অনেকে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের ‘ছাগল কাণ্ড’র সঙ্গে তুলনা করছেন, যা জনমনে ব্যাপক সমালোচনার
সৃষ্টি করেছিল। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বনি আলম প্রশ্ন তুলেছেন, “আমরা কি শুধু একজন বা দুজন সমন্বয়ককে লক্ষ্য করব, নাকি পুরো সিস্টেমে যারা প্রবেশ করেছে তাদেরকেও কঠিনভাবে পর্যবেক্ষণ করব?” তিনি প্রস্তাব করেছেন, দেশের সকল সমন্বয়ক ও তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের (পিতা, মাতা, ভাই, বোন, স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি, শ্যালক-শ্যালিকা) আর্থিক লেনদেন ও সম্পদ বিবরণী জাতীয় তদন্তের আওতায় আনা হোক। বিশেষ করে, তিনি হাতিয়ার আলোচিত সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ ও তার পরিবারের সম্পত্তির তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে মাহফুজের বিরুদ্ধে উঠা এই অভিযোগকে নোয়াখালীর গৌরবময় ইতিহাসের প্রতি অবমাননা হিসেবে দেখছেন। এক্স প্ল্যাটফর্মে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত মাহফুজের
এমন কাণ্ড দেশের উন্নয়নপ্রয়াসকে বাধাগ্রস্ত করবে।” অন্তর্বর্তী সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে, তদন্ত চলমান থাকায় বিস্তারিত তথ্য এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মাহফুজ আলম এখনও এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি। এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলেছে। বনি আলমের দাবি অনুযায়ী, “সময় এসেছে সততা ও আদর্শিক নেতৃত্বকে রক্ষা করার এবং দুর্নীতির বিষবৃক্ষকে মূল থেকে উপড়ে ফেলার।” এই অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি এবং এর ফলাফল এখন দেশের জনগণের নিকট নিবিড় পর্যবেক্ষণের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।