রাজনৈতিক প্রচারকেন্দ্র ছিল নভোথিয়েটার – ইউ এস বাংলা নিউজ




রাজনৈতিক প্রচারকেন্দ্র ছিল নভোথিয়েটার

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ জুলাই, ২০২৫ | ৮:৩৮ 15 ভিউ
বিজ্ঞান দেখতে গিয়ে শেখ হাসিনার ভাষণ, মহাকাশ শিখতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনী, এটাই ছিল গত ১৫ বছরে ঢাকার নভোথিয়েটারের বাস্তবতা। কোটি কোটি টাকার সরকারি প্রকল্পে বিজ্ঞানের নামে চলেছে রাজনৈতিক প্রচারণা, অনিয়ম আর অদূরদর্শী ব্যবস্থাপনা। তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও মহাকাশে আগ্রহী করার লক্ষ্যে নির্মিত প্রতিষ্ঠানটি পরিণত করা হয়েছে একপক্ষীয় প্রচারের আধুনিক মিলনায়তনে। শুধু থ্রিডি সিনেমা হলই নয়, পুরো নভোথিয়েটার রূপ নেয় এক ধরনের ‘রাজনৈতিক প্রদর্শনীকেন্দ্রে।’ অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৫ সালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প নেয় সরকার, যার ব্যয় ধরা হয় ৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ৩০ মিনিটের একটি প্রামাণ্যচিত্র, যা

২০১৬ সাল থেকে প্রতিটি শোয়ের শুরুতেই দেখানো হয়। নির্মাণ করে জাপানি প্রতিষ্ঠান ‘গোটো ইনক, জাপান’। রচনা, ধারাবর্ণনা, সম্পাদনা ও পরিচালনায় ছিলেন সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক। প্রামাণ্যচিত্রটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর বেশির ভাগ অংশে রয়েছে পুরোনো ফুটেজ, স্থিরচিত্র এবং বক্তৃতার সংকলন, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এবং শেখ হাসিনার বক্তব্য। ভিডিওটির কিছু অংশে টুঙ্গিপাড়া, ধানমন্ডি ৩২, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ইত্যাদির দৃশ্য ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ফুটেজে ভরপুর এ নিুমানের ভিডিওতে ২০ কোটি টাকার ব্যয়কে অস্বাভাবিক মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। একে তারা বৈজ্ঞানিক চেতনার পরিপন্থি এবং রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হিসাবে দেখছেন। সরেজমিন দেখা যায়, নভোথিয়েটারের প্লানেটারিয়ামে প্রতিদিন গড়ে ৪-৫টি শো হয়, টিকিট মূল্য

১০০ টাকা। কিন্তু দর্শক উপস্থিতি অত্যন্ত কম। এক কর্মকর্তা জানান, ২৬০ আসনের মধ্যে অনেকদিন এক-তৃতীয়াংশও পূর্ণ হয় না। দর্শকদের প্রধান অভিযোগ-নতুন কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য, সাম্প্রতিক মহাকাশ মিশন কিংবা ইন্টারঅ্যাকটিভ কনটেন্ট নেই বললেই চলে। এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রতিটি শোর শুরুতে রাজনৈতিক প্রামাণ্যচিত্র দেখানোটাও দর্শকবিমুখতার অন্যতম কারণ। নভোথিয়েটারে আবাসনের অনুমতি না থাকলেও গ্রাউন্ড ফ্লোর ও থিয়েটার রুম দখল করে সেখানে পরিবারসহ বসবাস করছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। ফলে বিজ্ঞানচর্চার পরিবেশ বিপর্যস্ত হচ্ছে। দর্শনার্থীরা বলছেন, শিক্ষাবিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠান এখন যেন ‘কোয়ার্টার’ বানিয়ে ফেলা হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলেও নেই কার্যকর কোনো পদক্ষেপ-যেন এক রকম নীরব সম্মতিই রয়েছে এর পেছনে। মিরপুরের গৃহিণী তানিয়া হক বলেন, ২০২৩

সালে ছেলেকে বিজ্ঞানের নানা বিষয় দেখাতে নভোথিয়েটারে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি, বিজ্ঞানের বদলে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ভাষণের ভিডিও। বিজ্ঞানের নামে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রচারণা। টাকা খরচ করে এসব দেখতে পরে আর যাইনি। একজন স্কুল শিক্ষিকা জানান, শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাই, কিন্তু পুরোনো ফিল্ম ও ইন্টারঅ্যাকশনের অভাবে তারা বিরক্ত হয়। বিশেষ কিছু যদি না-ই শিখতে বা দেখতে পারে তাহলে অহেতুক শিশুদের নিয়ে যাওয়ার কোনো মানেই হয় না। এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের গল্প প্রচার হলেও নভোথিয়েটারের অনলাইন টিকিটিং সিস্টেম একেবারেই অকার্যকর। ওয়েবসাইটে ঢুকলে দেখা যায়, কোনো হালনাগাদ তথ্য নেই। নাম পরিবর্তনের পরও ভার্চুয়াল গ্যালারিতে এখনো লেখা রয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার’। থ্রিডি গ্যালারিতেও রয়েছে

‘বঙ্গবন্ধু গ্যালারি’ এবং ‘শেখ রাসেল এক্সিবিশন’। প্রযুক্তির দিক থেকেও প্রতিষ্ঠানটি স্থবির। ঝাপসা প্রজেকশন, পুরোনো থ্রিডি ইফেক্ট আর বছর দশেক আগের কনটেন্টেই চলছে। কুড়িগ্রাম থেকে আসা কলেজ শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, দেশ নাকি ডিজিটাল করে ফেলেছে, দীর্ঘদিন থেকে শুনে এসেছি। কিন্তু একটা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের টিকিট অনলাইনে কাটা যায় না! ভেতরে গিয়ে দেখি ২ বছর আগে যা দেখে গেছি সেই একই ফিল্ম, নতুন কিছুই নেই। এদিকে ২০০৪ সালে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠিত ভাসানী নভোথিয়েটারের নাম রাজনীতির পালাবদলে বদলেছে পাঁচবার। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা বিজয় সরণির নামফলক থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ অংশ মুছে ফেলে। এরপর আইন সংশোধন করে সরকারিভাবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার’

নাম থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ শব্দ দুটি বাদ দেওয়া হয়। নাসার স্পেস ক্যাম্প অ্যাম্বাসেডর আফরোজ মামুন বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে এসব পুরোনো যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ হয় না। আধুনিক প্লানেটারিয়ামের জন্য ‘হাইব্রিড’ প্রযুক্তি জরুরি, যেখানে ডিজিটাল ও অপটিক্যাল প্রজেকশনের সমন্বয়ে দর্শকদের ৩৬০ ডিগ্রি ‘ফুলডোম’ অভিজ্ঞতা দেওয়া যায়। কিন্তু ঢাকার নভোথিয়েটারে সেই কাঠামোই অনুপস্থিত। তিনি বলেন, নভোথিয়েটার কেবল অ্যাস্ট্রোনমি নয়, ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন, স্টার গেজিং, গবেষণা ও ইন্টারডিসিপ্লিনারি ওয়ার্কশপের জন্যও ব্যবহৃত হতে পারত। বিদেশে এসব কেন্দ্রে শিশু-কিশোরদের জন্য নিয়মিত ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশন, বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও করপোরেট ইভেন্ট আয়োজিত হয়। আমাদের দেশ শুধু ফিল্ম প্রদর্শনেই সীমাবদ্ধ। অদক্ষদের দিয়ে প্লানেটারিয়াম চলবে না। দায়িত্বে এমন পেশাদারদের রাখতে

হবে, যারা বিষয়টি বোঝেন। প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বেসিস-এর সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, একটি বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে যখন রাজনৈতিক ভাষণ, পারিবারিক ইতিহাসই প্রধান কনটেন্ট হয়ে ওঠে, তখন তা বৈজ্ঞানিক চেতনার প্রতি এক ভয়াবহ অবমাননা। রাষ্ট্রীয় অর্থে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে একতরফা প্রচারের হাতিয়ার হয়ে পড়ে, নভোথিয়েটার তার একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ। তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে নভোথিয়েটারকে কাঠামোগতভাবে সংস্কার এবং এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পুনরুদ্ধারের। নভোথিয়েটারের মহাপরিচালকের দপ্তরে গিয়ে অতীতের অনিয়ম ও দর্শকবিমুখতার বিষয়ে জানতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ মেলেনি। প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর মহাপরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জানান, ‘স্যার কথা বলবেন না।’ পরে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন পরিচালক নায়মা ইয়াসমীন। তিনি বলেন, ‘স্যার নতুন এসেছেন তো, তাই...।’ এক প্রশ্নের জবাবে নায়মা ইয়াসমীন বলেন, দর্শকরা বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করতেন, প্রতিটি শোর আগে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে এক ধরনের প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হতো, যা তাদের বিরক্ত করত। কিন্তু আমাদের করণীয় কিছু ছিল না, মন্ত্রণালয় ও মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ীই কাজ করতে হতো। বর্তমানে এসব প্রামাণ্যচিত্র আর দেখানো হয় না। আমরা এখন চেষ্টা করছি নভোথিয়েটারকে তার মূল উদ্দেশ্যে ফিরিয়ে নেওয়ার। বিজ্ঞানভিত্তিক কনটেন্ট প্রদর্শনের মাধ্যমে দর্শকদের আগ্রহ ফেরাতে কাজ করছি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জন্মদিনে ‘ধুরন্ধর’ রূপে দেখা দিলেন রণবীর গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ ৪১ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ইলন মাস্ককে রাজনীতির বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী হামাস ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না ইসরাইল: নেতানিয়াহু ইসরাইলকে গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে ব্রিকস সম্মেলন শুরু করলেন লুলা গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।