
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

তেহরানে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাজা, হাজারো শোকাহত মানুষের উপস্থিতি

ছাত্র সংগঠনের অফিসে প্রেম নিবেদন, রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ নেতার

তিন দিনে গাজায় ১৫ ইসরাইলি সেনা নিহত

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জিতল কে?

গাজার ত্রাণ সংস্থায় কেন এত বড় সহযোগিতা যুক্তরাষ্ট্রের

এশিয়ায় বাড়ছে উত্তাপ, হুমকির মুখে মানুষ-প্রকৃতি

সাগর পর্যন্ত শুকিয়ে যাচ্ছে
খামেনিকে ‘হত্যার পরিকল্পনা’র কথা স্বীকার ইসরাইলের

ইরানে ইসরাইলের ১২ দিনের যুদ্ধে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
তিনি স্বীকার করেন, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে সক্রিয়ভাবে হত্যা করতে চেয়েছিল ইসরাইলের সেনাবাহিনী। কিন্তু তাকে খুঁজে না পেয়ে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
যুদ্ধবিরতি চলার মাঝে ইসরাইলের প্রধান তিনটি সম্প্রচারমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাটজ ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধ কৌশল এবং খামেনিকে মারার পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন।
গত ১৩ জুন থেকে ইসরাইল এবং ইরানের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়। দুই দেশের যুদ্ধ চালাকালে ইসরায়েলের নিশানা ছিল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো। তবে খামেনিও ছিলেন ইসরায়েলের নিশানা।
ইসরাইলের ‘চ্যানেল ১৩’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (খামেনি) আমাদের নজরে পড়লে তাকে মেরে ফেলতাম।
আমরা তাকে অনেক খুঁজেছি।’ কিন্তু খামেনি আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয় বলে স্বীকার করেন কাটজ। খামেনিকে হত্যা করার সুযোগ মেলেনি জানিয়ে ইসরাইলের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘কান’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাটজ বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনার কথা বুঝতে পেরেছিলেন খামেনি। সেকারণে তিনি মাটির নিচের গভীর বাঙ্কারে গা ঢাকা দেন।’ তিনি বলেন, ‘কেবল তা-ই নয়, খামেনি তার দেশের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলেন...এরপর তাকে নিশানা করা আর সম্ভব ছিল না।’ কাৎজ বলেন, ‘তবে তাই বলে তিনি (খামেনি) সুস্থির থাকবেন এমন কথা আমি বলব না। তার নাসরাল্লাহর (হিজবুল্লাহ নেতা) মৃত্যু থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। যিনি দীর্ঘদিন ধরে বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন। খামেনিও একই কাজ করছেন।’ নাসরাল্লাহকে গতবছর ২৭
সেপ্টেম্বরে বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করে ইসরাইল। আর এবারে ইরানে ইসরাইল বিমান হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন ইরানি কমান্ডার এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। খামেনির জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলেও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুইজনই হুঁশিয়ার করেছিলেন। যুদ্ধের পরিণতিতে ইরানে শাসব্যবস্থা পরিবর্তন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলেন তারা। গত ১৭ জুন খামেনিকে হুঁশিয়ার করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা জানি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা কোথায় লুকিয়ে আছেন। তবে আমরা তাকে এখন হত্যা করব না।’ পরে অবশ্য ট্রাম্প সেই হুমকি থেকে সরে আসেন এবং জানান, ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। শেষে ইসরাইল কাটজও জানান, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরাইল
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে।
আমরা তাকে অনেক খুঁজেছি।’ কিন্তু খামেনি আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয় বলে স্বীকার করেন কাটজ। খামেনিকে হত্যা করার সুযোগ মেলেনি জানিয়ে ইসরাইলের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘কান’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাটজ বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনার কথা বুঝতে পেরেছিলেন খামেনি। সেকারণে তিনি মাটির নিচের গভীর বাঙ্কারে গা ঢাকা দেন।’ তিনি বলেন, ‘কেবল তা-ই নয়, খামেনি তার দেশের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলেন...এরপর তাকে নিশানা করা আর সম্ভব ছিল না।’ কাৎজ বলেন, ‘তবে তাই বলে তিনি (খামেনি) সুস্থির থাকবেন এমন কথা আমি বলব না। তার নাসরাল্লাহর (হিজবুল্লাহ নেতা) মৃত্যু থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। যিনি দীর্ঘদিন ধরে বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন। খামেনিও একই কাজ করছেন।’ নাসরাল্লাহকে গতবছর ২৭
সেপ্টেম্বরে বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়ে হত্যা করে ইসরাইল। আর এবারে ইরানে ইসরাইল বিমান হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন ইরানি কমান্ডার এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। খামেনির জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলেও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুইজনই হুঁশিয়ার করেছিলেন। যুদ্ধের পরিণতিতে ইরানে শাসব্যবস্থা পরিবর্তন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলেন তারা। গত ১৭ জুন খামেনিকে হুঁশিয়ার করেছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা জানি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা কোথায় লুকিয়ে আছেন। তবে আমরা তাকে এখন হত্যা করব না।’ পরে অবশ্য ট্রাম্প সেই হুমকি থেকে সরে আসেন এবং জানান, ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। শেষে ইসরাইল কাটজও জানান, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরাইল
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে।