
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে হামলা, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পালটা জবাব তেহরানের

তেহরানে নতুন করে বিস্ফোরণ

জরুরি বৈঠকের ডাক আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার

ইরান-ইসরাইল সংঘাতের সম্ভাব্য পরিণতি কী হবে পারে?

নেপাল থেকে আসছে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

ইরান-ইসরাইল সংঘাতের সম্ভাব্য পরিণতি কী হবে পারে?

ইরান-ইসরাইলের সংঘাতে আদানির মাথায় হাত, ঝুঁকিতে পাহাড়সম বিনিয়োগ
ইরান-ইসরায়েল বন্ধু থেকে যেভাবে চরম শত্রু হয়ে উঠল

আজকের দিনে ইরান ও ইসরায়েল একে অপরের কট্টর শত্রু হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এক সময় এই দুই দেশের মধ্যে ছিল গভীর কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক বন্ধুত্ব, এমনকি সামরিক সহযোগিতাও। ইতিহাস বলছে, একসময় ইরান ছিল ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একজন।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর তুরস্কের পরে দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে ১৯৫০ সালে ইরান রাষ্ট্রটিকে স্বীকৃতি দেয়। তখন ইরানে শাসন করছিলেন শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি। তার আমলেই ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উভয় দেশ একে অপরের রাজধানীতে দূতাবাস স্থাপন করে এবং নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক সফর ও সহযোগিতা চালু হয়। ইরান তখন ইসরায়েলকে নিয়মিতভাবে তেল সরবরাহ করত।
১৯৫৭ সালে যখন ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা ‘সাভাক’ প্রতিষ্ঠিত হয়,
তখন একে সহায়তা করেছিল ইসরায়েলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। মূলত মার্কিন সমর্থন নিশ্চিত করতেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখায় মনোযোগী হয় ইরান। তবে জনগণের মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব ছিল আগেও। বিশেষ করে ধর্মীয় নেতারা এবং বামপন্থিরা ইসরায়েলকে ‘অধিকারহীন একটি দখলদার রাষ্ট্র’ হিসেবে বিবেচনা করতেন। ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাদের অবস্থান ছিল কঠোরভাবে ইসরায়েলবিরোধী। এই জনবিচ্ছিন্ন সম্পর্কের অবসান ঘটে ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে। আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে, নতুন সরকার প্রথমেই ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তেহরানে ইসরায়েলের দূতাবাসকে রূপান্তরিত করা হয় ফিলিস্তিন দূতাবাসে। সেই থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েলের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে ইরান। এরপর থেকেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমশ অবনতির দিকে যায়। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি
এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন ইসরায়েলের জন্য নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে। জবাবে ইসরায়েল একে একে ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করতে শুরু করে বলে অভিযোগ ওঠে। আজকের দিনে এসে দুই দেশের বৈরিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে যুদ্ধ একটি বাস্তব সম্ভাবনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধুত্ব থেকে চরম শত্রুতে রূপান্তরের এই যাত্রা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে একটি দৃষ্টান্তমূলক মোড়লিপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।
তখন একে সহায়তা করেছিল ইসরায়েলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। মূলত মার্কিন সমর্থন নিশ্চিত করতেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখায় মনোযোগী হয় ইরান। তবে জনগণের মধ্যে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব ছিল আগেও। বিশেষ করে ধর্মীয় নেতারা এবং বামপন্থিরা ইসরায়েলকে ‘অধিকারহীন একটি দখলদার রাষ্ট্র’ হিসেবে বিবেচনা করতেন। ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাদের অবস্থান ছিল কঠোরভাবে ইসরায়েলবিরোধী। এই জনবিচ্ছিন্ন সম্পর্কের অবসান ঘটে ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে। আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে, নতুন সরকার প্রথমেই ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। তেহরানে ইসরায়েলের দূতাবাসকে রূপান্তরিত করা হয় ফিলিস্তিন দূতাবাসে। সেই থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েলের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে ইরান। এরপর থেকেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমশ অবনতির দিকে যায়। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি
এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন ইসরায়েলের জন্য নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে। জবাবে ইসরায়েল একে একে ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করতে শুরু করে বলে অভিযোগ ওঠে। আজকের দিনে এসে দুই দেশের বৈরিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে যুদ্ধ একটি বাস্তব সম্ভাবনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধুত্ব থেকে চরম শত্রুতে রূপান্তরের এই যাত্রা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে একটি দৃষ্টান্তমূলক মোড়লিপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।