ইসরাইলের যে ‘দিবাস্বপ্ন’ কখনো পূরণ হবে না – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইসরাইলের যে ‘দিবাস্বপ্ন’ কখনো পূরণ হবে না

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫:১০ 41 ভিউ
দখলদার ইসরাইল একটা প্রশ্ন বারবারই করে আসছে, তা হলো— ‘হামাস আত্মসমর্পণ করবে কবে?’ কিন্তু এই প্রশ্নটাই ভুল। কারণ, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে যুদ্ধ এখন আর কৌশল নয়, এখন টিকে থাকার এক সংগ্রাম চলছে। হামাসের অস্তিত্ব এখন গোটা ফিলিস্তিন জাতির প্রতীক। এ বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশ্লেষক ডেভিড হিয়ার্স্ট বলেন, ‘হামাসের পরিণতি আজ ফিলিস্তিনেরই পরিণতি’। ইসরাইলের দিবাস্বপ্ন গত ১৮ মাসের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন। তারপর দুই মাসের অবরোধ ও ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার পরও ইসরাইল এখনো সেই দিবাস্বপ্ন দেখেই চলেছে যে, হামাসও ‘ফাতাহ’র মতো’ হবে—অর্থ নেবে, বন্দি দেবে, অস্ত্র ছাড়বে। তবে হামাস কখনোই ফাতাহ হতে রাজি নয়। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি বারবার

বলে আসছে, তাদের দুটি মূল শর্ত রয়েছে। যে শর্তে তারা অনড়। তা হলো: ১) অস্ত্রত্যাগ নয়; ২) ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার। তাদের প্রস্তাব ছিল—একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির। সব জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে কিছু ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি এবং গাজার প্রশাসনিক ক্ষমতা অন্য দলগুলোর হাতে ছেড়ে দেওয়া। তবুও আত্মসমর্পণ নয়। নেতানিয়াহু: শান্তি-প্রচেষ্টার অন্তরায় মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি-প্রচেষ্টার বিষয়ে হিয়ার্স্ট যে বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন, তা হলো- এই সমস্যা সমাধানে প্রধান বাধা ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজেই। তিনি জানুয়ারিতে এক সমঝোতায় সই করে নিজেই তা ভেঙে দেন। জিম্মি মুক্তির দ্বিতীয় ধাপে না গিয়েই তিনি আবার যুদ্ধ শুরু করেন—কেবল নিজের জোট সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য। তিনি বলেন, যুদ্ধ এখন খাদ্যভিত্তিক অস্ত্র হয়ে গেছে—ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার

খাদ্য গুদামগুলো বোমা মেরে ধ্বংস করছে। তারা নিরীহ অসহায় গাজাবাসীর বিরুদ্ধে ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।এতে ক্ষুধা-তৃষ্ণায়, রোগে-শোকে জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নিচ্ছে নারী ও শিশুরা। তবু হামাস পিছু হটছে না। ‘আত্মসমর্পণ’ মানে ‘জাতীয় আত্মঘাত’ ১৯৮২ সালে বৈরুতে অবরুদ্ধ হয়ে ফিলিস্তিনি সংগঠন ফাতাহ ক্ষমতা হারায় এবং তাদের তৎকালীন নেতা ইয়াসির আরাফাতকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। তবে হামাস কখনোই সেই পথে হাঁটেনি। কেন? কারণ, গাজা এখন কেবল একটা ভূখণ্ডই নয়, ফিলিস্তিনিদের জন্য পবিত্র ভূমি হয়ে উঠেছে। এখানে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে—প্রতিটি পরিবারই কাউকে না কাউকে হারিয়েছে। ফলে এই ভূমির প্রতিরোধ মানেই গোটা ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ। ধর্ম, শৃঙ্খলা ও প্রতিরোধের জোট হামাস কেবল একটি সগঠন বা রাজনৈতিক দলই নয়,

এটি একটি ধর্মীয় আন্দোলন। তারা আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদেই এই আন্দোলন শুরু করেছিল। তাদের সেই দৃষ্টিভঙ্গিই আজ গোটা গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিস্তার লাভ করেছে। যেমন— ২৩ বছর বয়সি প্যারামেডিক রিফাত রাদওয়ান মৃত্যুর মুহূর্তে তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। কারণ তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন না। এই অনুভূতি আজ হাজারো ফিলিস্তিনির মধ্যে বিরাজমান—যারা হয়তো হামাসের সদস্য নন, কিন্তু তারা তাদের সেই ধর্মীয় বিশ্বাস হারাননি। ‘জয়’ ইতোমধ্যেই অর্জিত হয়েছে হামাস জানে, তারা যদি অস্তিত্ব হারায়ও তবুও তারা একটি লক্ষ্য পূরণ করে ফেলেছে। তা হলো— ফিলিস্তিনি আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবিকে আবারও বিশ্ব সংলাপের কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরিয়ে আনা। যেমন— মার্কিন জনগণের মধ্যেও ইসরাইলের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব বাড়ছে। পিউ গবেষণা অনুযায়ী,

৫৩ শতাংশ মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক এখন ইসরাইলকে বিশ্বের জন্য অস্বস্তিকর মনে করেন। এছাড়া ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় শক্তিগুলোও একে একে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে। যুদ্ধ কখনো চিরস্থায়ী হয় না ইসরাইলের যদি লক্ষ্য হয় ‘যুদ্ধেই সমাপ্তি’— সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের জন্যও সেই একই লক্ষ্য। তাই তো যুদ্ধ দিয়ে এই দ্বন্দ্ব কখনো মীমাংসা হবে না। নেতানিয়াহু যতই চাপে থাকুন না কেন, গাজায় যতই ধ্বংসলীলা চালানো হোক না কেন, হামাসের ‘না’ শব্দটি আজ একক দলের প্রতিরোধ নয়—এটি গোটা একটা জাতির অস্তিত্ব রক্ষার ঘোষণা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সমুচা না আনায় স্বামীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন স্ত্রী ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনব না : হাইকোর্ট দি‌নে বাংলা‌দে‌শি‌দের ২০টি স্টাডি ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দে‌বে ইতা‌লি দূতাবাস হারানো এনআইডি তুলতে আর লাগবে না জিডি ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’ চবি শিক্ষার্থীর মাথায় সতর্কবার্তা প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে উত্তাল চবি ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি ভাঙার হুঁশিয়ারি দিল এক মুসলিম দেশ চট্টগ্রাম নগরজুড়ে চলছে দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা বৃষ্টি ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা রেকর্ড ছুঁয়ে কমলো স্বর্ণের দাম তেল খাতে আবার শক্তিশালী হতে পারবে সিরিয়া? কিমের প্রিয় কন্যাকে নিয়ে চীন সফর, কেন এত আলোচনা? বিশেষ কর সুবিধা চায় প্রশাসন ক্যাডার মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার ও মালিকের বাসায় হামলা-ভাঙচুর চট্টগ্রামে পাইকারি বাজারে কমেছে চালের দাম দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ ৪ সেপ্টেম্বর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে ০৪ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি এখনো নিয়োগ হয়নি সেই ৫৩৬ পুলিশের