রতন-সাদিকুরদের স্বপ্নভঙ্গের গল্প – ইউ এস বাংলা নিউজ




রতন-সাদিকুরদের স্বপ্নভঙ্গের গল্প

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ এপ্রিল, ২০২৫ | ৯:০৩ 33 ভিউ
‘আমেরিকান ড্রিম’ নামে একটি কথা প্রচলিত আছে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ ব্যবস্থায়। গোটা দুনিয়ার নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মিলনে গড়ে ওঠে এই ধারণা। নতুন নতুন স্বপ্ন নিয়ে একেকজন একেক প্রান্ত থেকে পাড়ি জমাতে চান সেই স্বপ্নরাজ্যে। তবে কখনও কখনও তা দুঃস্বপ্ন হয়ে ধরা দেয়। এলোমেলো হয় জীবন চলার গতিপথ। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি কার্যকরের পর যেসব বাংলাদেশি নাগরিক ফেরত এসেছেন, তাদের সবার রয়েছে স্বপ্নভঙ্গের গল্প। এখন পর্যন্ত ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মধ্যে পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলেছে। মুন্সীগঞ্জের রতন মোড়ল জানান, দালালকে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে ২০২৪ সালের মার্চের শেষ দিকে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা শুরু। প্রথমে

তাঁকে নেওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেখানে মাস দেড়েক একটি হোটেলে রাখা হয়। সেই হোটেলে আরও কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাদের আলাদাভাবে ওই দেশে নেওয়া হয়েছিল। এরপর রতনকে নেওয়া হয়েছিল ব্রাজিল। নতুন জায়গায় গিয়ে সেখানকার হোটেলে আরও ৩০-৩৫ বাংলাদেশি নাগরিককে পান। এরপর সবাই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হন। পথে ইকুয়েডর, বলিভিয়া, পেরু, পানামাসহ কয়েক দেশ ঘুরে মেক্সিকো গিয়ে পৌঁছান। পানামায় তিন দিন গহিন জঙ্গলে তাঁবুতে থাকতে দেওয়া হয়। সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকেন। রতন বলেন, আমেরিকায় ঢোকার পরই দেশটির সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর যারা দায়িত্ব পালন করেন তারা আমাকে আটক করে। সাধারণ অ্যাসাইলামের আবেদন করতে বলেন। সেই

আবেদনের পর টেক্সাসে একটি সেফ হাউসের মতো স্থানে নেওয়া হয়। আমেরিকায় যে সাত মাস ছিলাম তার মধ্যে চারটি আলাদা সেফ হাউসে নেওয়া হয়েছিল। খাওয়া, চিকিৎসা, খেলার ব্যবস্থা ছিল। নিজের টাকায় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়। রতন আরও বলেন, অ্যাসাইলামের আবেদন মঞ্জুর না হওয়ায় ১১ মার্চ দেশে ফেরত আসতে হয়েছে। সাধারণ যাত্রীর মতো পাঠানো হয়। হাতকড়া পরানো বা কোনো খারাপ আচরণ করেনি। জমি বিক্রি করে মামুন নামে এক দালালের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছি। রতন বলেন, অবৈধভাবে যাতে কেউ দেশের বাইরে না যায়, এই পরামর্শ আমাদের। বড় স্বপ্ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলাম। সেটা ধূলিসাৎ। আবার যদি কোনো দেশে যাওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয় তাহলে

বৈধভাবে চেষ্টা করব। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের পর সিলেটের গোলাপগঞ্জের সাদিকুর রহমান দেশে ফেরত এসেছেন। তাঁর স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার জানান, গত জুলাইয়ে ব্রাজিল থেকে কয়েকটি দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান সাদিকুর। এর বিনিময়ে দালালকে ১৮ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে ব্রাজিলে চার বছর ছিলেন। সাধারণ অ্যাসাইলাম আবেদন বাতিলের পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সুমাইয়া বলেন, দেশে ফেরার পর ক্যান্সার আক্রান্ত মাকে সেবা করছেন সাদিকুর। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির ২০ বছরের তরুণ ইব্রাহিম খলিলের গল্পটি ভিন্ন। এইচএসসি পরীক্ষার পর তিনি পরিবারের কাছে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার বায়না ধরেন। এরপর প্রথমে ৭ লাখ টাকা এক দালালকে দেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার কথা বলে ওই দালাল

ভারতে নিয়ে যান ইব্রাহিমকে। তাঁর বোন শারমিন বেগম জানান, প্রথম দালাল প্রতারণার পর দ্বিতীয় আরেক দালালকে ধরা হয়। জমি বিক্রি ও ঋণ করে একসঙ্গে তাঁকে ৪৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে প্রথমে ব্রাজিল পৌঁছান। সেখান থেকে বিভিন্ন দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান ইব্রাহিম। পথে একটি দেশে যাওয়ার পর দেড়-দুই লাখ টাকা দালালকে দিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছার পর আট মাসের মতো সেফ হোমে ছিলেন। সব মিলিয়ে ৭২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া সংসদে ১০০ নারী আসনের পক্ষে বিএনপি, তবে সংরক্ষিত : সালাহউদ্দিন অপরাধের শীর্ষে দেশের তিন শহর যতদিন উপভোগ করব ততদিনই খেলা চালিয়ে যাবো: সাকিব শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ সিরাজগঞ্জে সরকারি ভবন দখল করে জামায়াতের কার্যালয় আগামী বছরের হজ: আবেদন আহ্বান মন্ত্রণালয়ের ‘ডু অর ডাই’ কর্মসূচি ঘোষণা ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নিলামে ১৭ কোটির বেশি ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক ভুয়া এনআইডি দিয়ে পাসপোর্ট গিয়ে ৩ রোহিঙ্গা আটক ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে আমেরিকা: ট্রাম্প বাংলাদেশের রেকর্ড হলো, আবার হলোও না গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত মিনিকেট নামে চাল সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ ভোক্তা অধিকারের মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বন্ধ এক ম্যাচ পরই তিন বদল বাংলাদেশ দলে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জাপা মহাসচিব উড্ডয়নের পরই যুক্তরাজ্যে প্লেন বিধ্বস্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত