
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আরএসএস প্রচারকরা বিয়ে করেন না, সংগঠনটির প্রচারক ছিলেন মোদিও

ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান

হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইট বলছে, চীন থেকে ছড়িয়েছে কোভিড

কট্টর হিন্দুত্ববাদী আরএসএস ‘প্রচারকরা’ কেন বিয়ে করতে পারেন না?

আফগানিস্তানে পরিত্যক্ত মার্কিন অস্ত্র এখন জঙ্গিদের হাতে

গাজার যুদ্ধাহত শিশুর ছবি বিশ্বসেরা

জোট সরকারে থাকছেন না বিলাওয়াল
ফিলিস্তিনে বন্দি দিবস: অবরুদ্ধ ভূখণ্ড, কারাবন্দি জাতি

গাজা—আধুনিক বিশ্বের একমাত্র অবরুদ্ধ ভূখণ্ড। দখলদার ইসরাইলের ‘রাষ্ট্র খেঁকো’ ছকের নিশানায় থাকা অসহায় ফিলিস্তিন মানচিত্রের একটি অংশ। বিশ্ব ইতিহাসে যাদের আরেক নাম—কারাবন্দি জাতি! বছরের পর বছর ধরে ইসরাইলের নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়ে আসছে ফিলিস্তিনিরা। কখনো অবরুদ্ধ, কখনো আবার বিনা দোষে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই থেমে থেমে চলছে এই অন্যায়-অবিচার।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে শুরু করে। ইসরাইলি থাবায় এবার মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা। ত্রাণ সরবরাহেও প্রতিনিয়ত ইসরাইলের বাধা। এরই মধ্যে ধরপাকড়ও বাড়িয়েছে দখলদার সেনারা। যেখানে যেভাবে পারছে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাচ্ছে নিজেদের আস্থানায়।
বৃহস্পতিবার আলজাজিরার খবরে
বলা হয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৫ হাজার ২৫০ থেকে বেড়ে প্রায় ১০ হাজার হয়েছে। আলজাজিরা। ফি বছর ১৭ এপ্রিল ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিষয়গুলো আলোকপাত করা হয়। পুরো ফিলিস্তিনজুড়েই বন্দি দিবস পালিত হয় এই দিনে। ১৯৭৪ সালে ১৭ এপ্রিল ইসরাইলি কারাগার থেকে প্রথমবারের মতো মুক্তি পান মাহমুদ বকর হিজাজি নামের এক ফিলিস্তিনি বন্দি। এর পর থেকে প্রতিবছর এ দিনে ফিলিস্তিনি বন্দিকে সম্মান জানাতে ও ইসরাইলি দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ পালিত হয় বিশেষ এই দিবস। বন্দিদের অধিকার সংস্থা আদ্দামির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইসরাইল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের কারাগারে বন্দি আছেন প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি। এই বন্দিদের
মধ্যে ৩ হাজার ৪৯৮ জনকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪০০ জন শিশু, ২৭ জন নারী এবং ২৯৯ জন যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন। আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলি কারাগারে এখনো আটক আছে ৪ শতাধিক শিশু। যাদের বেশিরভাগই বিচারপূর্ব বন্দি। অর্থাৎ, এখনো তাদের কোনো দোষ প্রমাণ হয়নি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দির সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ইসরাইলের এই আটক নীতি বহু দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করছে। ফিলিস্তিনি বন্দি ও সাবেক বন্দিদের কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৭ সাল থেকে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরাইল। যা ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার প্রায় ২০
শতাংশ। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, কারাবন্দি দিবসে পশ্চিমতীরজুড়ে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। প্রিয়জনদের ছবি নিয়ে তাদের মুক্তির দাবিতে রাজপথে নেমেছিলেন তারা। এদিকে বুধবার ভোর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি বিমান বাহিনী খান ইউনিসে তাঁবুতে আঘাত করেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছে, কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ছিল। সে আগুনে জীবন্ত পুড়ে মারা যায়। হামলায় আহতরা এখন নাসের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার গাজার পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইসরাইলি আর্টিলারি গোলাগুলো রাফাহ শহরের উত্তরাঞ্চলে শোনা গিয়েছে। তবে সর্বশেষ এ হামলায় হতাহতের কোনো প্রাথমিক খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত এক মাসে গাজায় ৫ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে ইসরাইল। এমন অবস্থায় গাজায় এক গ্রাম খাদ্য বা সাহায্যও ঢুকতে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলের উগ্র-ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির। তার মতে, গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দিলে তা ইসরাইলের ‘হামাসকে পরাজিত করার প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী—১৮ মাস আগে শুরু হামলায় কমপক্ষে ৫১,০৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১১৬,৫০৫ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে গাজা সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১,৭০০-এরও বেশি।
বলা হয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৫ হাজার ২৫০ থেকে বেড়ে প্রায় ১০ হাজার হয়েছে। আলজাজিরা। ফি বছর ১৭ এপ্রিল ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিষয়গুলো আলোকপাত করা হয়। পুরো ফিলিস্তিনজুড়েই বন্দি দিবস পালিত হয় এই দিনে। ১৯৭৪ সালে ১৭ এপ্রিল ইসরাইলি কারাগার থেকে প্রথমবারের মতো মুক্তি পান মাহমুদ বকর হিজাজি নামের এক ফিলিস্তিনি বন্দি। এর পর থেকে প্রতিবছর এ দিনে ফিলিস্তিনি বন্দিকে সম্মান জানাতে ও ইসরাইলি দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ পালিত হয় বিশেষ এই দিবস। বন্দিদের অধিকার সংস্থা আদ্দামির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইসরাইল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের কারাগারে বন্দি আছেন প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি। এই বন্দিদের
মধ্যে ৩ হাজার ৪৯৮ জনকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪০০ জন শিশু, ২৭ জন নারী এবং ২৯৯ জন যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন। আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলি কারাগারে এখনো আটক আছে ৪ শতাধিক শিশু। যাদের বেশিরভাগই বিচারপূর্ব বন্দি। অর্থাৎ, এখনো তাদের কোনো দোষ প্রমাণ হয়নি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দির সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ইসরাইলের এই আটক নীতি বহু দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করছে। ফিলিস্তিনি বন্দি ও সাবেক বন্দিদের কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৭ সাল থেকে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরাইল। যা ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার প্রায় ২০
শতাংশ। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, কারাবন্দি দিবসে পশ্চিমতীরজুড়ে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনিরা। প্রিয়জনদের ছবি নিয়ে তাদের মুক্তির দাবিতে রাজপথে নেমেছিলেন তারা। এদিকে বুধবার ভোর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি বিমান বাহিনী খান ইউনিসে তাঁবুতে আঘাত করেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছে, কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ছিল। সে আগুনে জীবন্ত পুড়ে মারা যায়। হামলায় আহতরা এখন নাসের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার গাজার পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইসরাইলি আর্টিলারি গোলাগুলো রাফাহ শহরের উত্তরাঞ্চলে শোনা গিয়েছে। তবে সর্বশেষ এ হামলায় হতাহতের কোনো প্রাথমিক খবর পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত এক মাসে গাজায় ৫ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে ইসরাইল। এমন অবস্থায় গাজায় এক গ্রাম খাদ্য বা সাহায্যও ঢুকতে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলের উগ্র-ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির। তার মতে, গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দিলে তা ইসরাইলের ‘হামাসকে পরাজিত করার প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী—১৮ মাস আগে শুরু হামলায় কমপক্ষে ৫১,০৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ১১৬,৫০৫ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে গাজা সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১,৭০০-এরও বেশি।