রোজার কাজা, কাফফারা ও ফিদিয়ার বিধান – ইউ এস বাংলা নিউজ




রোজার কাজা, কাফফারা ও ফিদিয়ার বিধান

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ মার্চ, ২০২৫ | ৮:০৫ 14 ভিউ
রোজা ইসলামের ফরজ বিধান। কোনো কারণে সময়মতো রোজা রাখতে না পারলে তা কাজা আদায় করতে হয় এবং রোজা রেখে কোনো ওজর বা অসুবিধার কারণে ভেঙে ফেললে তাও পরে কাজা করতে হয়। কাজা হলো একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজা। আর কখনো যদি রোজা রেখে বিনা ওজরে তা ভঙ্গ করা হয়, আল্লাহতায়ালা অত্যন্ত নাখোশ হন। এর জন্য কাজা ও কাফফারা আদায় করতে হয়। মানুষমাত্রই ভুল করতে পারে বা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। রমজানে কোনো কারণে কেউ রোজা রাখতে না পারলে বা রোজা পালন করতে গিয়ে কোনো ত্রুটি হলে অথবা রোজা রাখার পর তা ভেঙে গেলে তার প্রতিকারস্বরূপ ইসলাম যে বিধান দিয়েছে, তাকে

রোজার কাজা-কাফফারা-ফিদিয়া বলা হয়। কাজা মানে হলো বকেয়া। কাফফারা মানে জরিমানা। রমজানের রোজা অতিগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় তা ভঙ্গ করলে কখনো শুধু কাজা বা শুধু কাফফারা এবং কখনো কখনো কাজা ও কাফফারা উভয়টি আদায় করতে হয়। কাজা হলো একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজা রাখা। আর কাফফারা হলো একটির পরিবর্তে ৬০টি রোজা রাখা। এই ৬০টি বিরামহীনভাবে রাখতে হবে। তবে রোজার কাফফারার আরেকটি বিকল্প আছে। তা হলো—৬০টি রোজার পরিবর্তে ৬০ জন গরিব মানুষকে দুবেলা খাওয়ানো। এ ছাড়া দাসমুক্তিও একটি মাধ্যম। ফকিহগণ বলেন, বর্তমানে যেহেতু দাসদাসী বা গোলামের প্রচলন নেই, সুতরাং এ মাধ্যমটির সুযোগ আর বাকি নেই। কাফফারা তিন প্রকারে আদায় করা যায়—১. একটি গোলাম আজাদ

করা বা দাসমুক্ত করা; ২. ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা পালন করা। কাফফারার রোজার মাঝে বিরতি হলে বা ভাঙলে আরেকটি কাফফারা ওয়াজিব হয়ে যাবে; ৩. ৬০ জন মিসকিনকে দুবেলা ভালোভাবে আহার করানো বা আপ্যায়ন করা। আর বার্ধক্য বা জটিল কোনো রোগের কারণে যার রোজা রাখার একেবারেই সামর্থ্য নেই এবং পরে কাজা করার সামর্থ্য ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই, এমন ব্যক্তি রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া প্রদান করবে। ফিদিয়া হলো প্রত্যেক রোজার পরিবর্তে একজন মিসকিন ব্যক্তিকে দুবেলা তৃপ্তিসহ খাবার খাওয়ানো বা এর মূল্য দেওয়া। একটি রোজার পরিবর্তে একটি ফিদিয়া ওয়াজিব হয়। (আদদুররুল মুখতার: ২/৪২৬)। বোখারি ও মুসলিমে সহিহ রিওয়ায়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘একদা রমজানে এক লোক রাসুল (সা.)-এর

কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি নিজেকে ধ্বংস করে ফেলেছি, আমি রোজা পালন অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করে ফেলেছি। রাসুল (সা.) তাকে বললেন, তুমি একজন দাসকে মুক্ত করে দাও। সে বলল, এমন সক্ষমতা আমার নেই। রাসুল (সা.) বললেন, তবে এর বদলে দুই মাস (বা ৬০ দিন) রোজা রাখো। লোকটি বলল, এমন শারীরিক সক্ষমতা আমার নেই। তখন তিনি বললেন, তবে তুমি ৬০ জন মিসকিনকে খাওয়াবে। লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! এরকম আর্থিক সক্ষমতাও তো আমার নেই। তখন রাসুল (সা.) তাকে অপেক্ষা করতে বললেন। এর কিছুক্ষণ পর কোনো একজন সাহাবি রাসুল (সা.)-কে এক ঝুড়ি খেজুর হাদিয়া দিলেন। তখন রাসুল (সা.) ওই লোকটিকে

ডেকে বললেন, এগুলো নিয়ে গিয়ে গরিবদের মধ্যে সদকা করে দাও। লোকটি বলল, ইয়া রাসুল (সা.), এই এলাকায় আমার মতো গরিব আর কে আছে? এ কথা শুনে রাসুল (সা.) স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি হাসলেন। রাসুল (সা.) বললেন, আচ্ছা, তবে খেজুরগুলো তুমিই তোমার পরিবার নিয়ে খাও।’ (বোখারি: ১৩৩৭; মুসলিম: ১১১১) জাকাত-ফিতরা যাদের দেওয়া যায়, ফিদিয়া তাদের দিতে হয়। ফিদিয়া এককালীন বা একসঙ্গেও আদায় করা যায়। একজনের ফিদিয়া অনেককে দেওয়া যায়, আবার অনেকের ফিদিয়া একজনকেও দেওয়া যায়। অনুরূপ একদিনের ফিদিয়া একাধিক জনকে দেওয়া যায়, একাধিক দিনের ফিদিয়া একজনকে দেওয়া যায়। যাকে ফিদিয়া দেওয়া হবে, তার রোজাদার হওয়া জরুরি নয়। যেমন নাবালেগ মিসকিন, অসহায় অসুস্থ

বা অতিবৃদ্ধ, যারা নিজেরাই রোজা পালনে অক্ষম, তাদেরও জাকাত, ফিতরা ও সদকার মতো ফিদিয়া প্রদান করা যাবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
শৈশবের ঈদ বনাম আধুনিক ঈদ লোহাগাড়ায় বাস সংঘর্ষে নিহত ৫ ভারতে ঈদের নামাজ আদায়কারীদের ওপর ফুল ছিটালেন হিন্দুরা তামিম ইকবালের ঈদের শুভেচ্ছা প্রস্তুত সিলেট: ঈদে ১৫ লাখ পর্যটক সমাগমের প্রত্যাশা ভোলায় বাবাকে খুন করে পালিয়েছে ছেলে ভারসাম্যপূর্ণ রাষ্ট্র গঠনে যাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থার বিকল্প নেই মাদক সেবীদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিক পেটালেন যুবদল নেতা গেন্দা মুন্সীগঞ্জে ১০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি ঈদে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত: নিশো চাঁদ রাতে শ্রীমঙ্গল রণক্ষেত্র, সাবেক মেয়রসহ আটক ১৪ দিনাজপুরের গোর-এ শহীদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে ৬ লাখ মুসল্লি আগামী ঈদ করবেন আরাকানে, আশা রোহিঙ্গাদের হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল ও টিকিট সংক্রান্ত অভিযোগ কলকাতায় ঈদের নামাজের আগে স্বাধীন ফিলিস্তিনির দাবিতে মিছিল ঈদের দিন গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৬৪ মিয়ানমারে কেন এত বিধ্বংসী ভূমিকম্প মিয়ানমারে ভূমিকম্পে দুই কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে: জাতিসংঘ সেমাই-চিনির দরে স্বস্তি বিক্রিও বেশি